প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের ভাগ্য ভালো যে, উনি বাংলাদেশে জন্মাননি; বাংলাদেশের গোপালগন্জে যদি তিনি মনিকাকে ভালোবাসতেন, তার ফলাফল হতে পারতো ভয়ংকর।
গোপালগন্জের তুহিন মোল্লা, মাত্র ১৮ বছরের তরুণ, তিনি যাকে ভালোবেসেছিলেন তাকে নিয়ে ঈদের দিন সামান্য বেড়াতে গিয়েছিলন; সেজন্য তাঁকে প্রাণ দিতে হলো; প্রেমের জন্য প্রাণ দিয়েছেন হ্য়তো লাখ লাখ মানুষ: রোমিও-জুলিয়েট, লাইলী মজনু, শিরি-ফরহাদ, কানাডার একই পরিবারের ৩ মেয়ে(বাবার হাতে), ট্রয়ের প্রিন্স; তবে, কারো মৃত্যু এতো কস্টকর হয়নি!
ছেলেকে রক্ষা করতে গিয়ে তুহিন মোল্লার বাবাও পংগু হয়ে গেছেন আজীবনের জন্য, উনার হাত-পা কিছুই থাকবে না। একজন বাবা দেখলেন, উনার ছেলেকে উনার চোখের সামনে হত্যা করা হচ্ছে; বাবা নিজের হাত-পা সবই হারালেন নিজের ভালোবাসার ছেলেকে রক্ষা করতে, কিন্তু পারলেন না।
আমাদের সেক্সপিয়ার নেই, তুহিন মোল্লার ভালোবাসার কাহিনী হয়তো সামান্যতম সময়ে বাতাসে মিশে যাবে।
এই জাতিতে এখন কত লাখ জীবিত জল্লাদ আছে, এদের থেকে মানুষকে রক্ষা করার উপায় কি? জাতি মানবতার শিক্ষা পাচ্ছে না কেন? কবিরা তো বলছে যে, প্রেম স্বর্গীয়; প্রেমের জন্য মানুষকে কোরবানীর পশুর মতো টুকরো করছে কেন আমাদের জাতির কিছু মানুষ?
ঈদের দিনে, প্রীতি ফুটবল খেলতে গিয়ে নোয়াখালীতে প্রাণ হারালো একই পরিবারের ৩ জন, ৩ ভাই; নোয়াখালীর প্রীতি ফুটবল খেলায় কি জল্লাদেরা দর্শক?
হবিগন্জে রোজার সময় ফল কিনতে গিয়ে বাদানুবাদ হয়েছে সামান্য, তার জের ধরে, ঈদের পরদিন ৮ গ্রামের লোক মারামারি কাটাকাটি করতে নামলো; মারলো ৩ জনকে, আহত করলো ১০০ জনকে; ঈদের পরে, এত সহজে এ ধরণের যুদ্ধের শুরু করছে কারা?
দেশের মানুষের উপর অশুভ সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে; এগুলোকে গণনার মাঝে নিতে হবে; থানাগুলোতে নতুন বিভাগ খুলতে হবে মানুষকে কাউনসেলিং করার জন্য; প্রতি বছর প্রতি গ্রামের মানুষকে একটা কাউনসেলিং সেশনে এনে, সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করার দরকার, মানুষের মানবিক গুণ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়ার দরকার।