সন্ত্রাসীরা গাড়ী চালাচ্ছে, মোটর সাইকেল চালচ্ছে, আরামে বসবাস করছে; তাদের কোন ভয় নেই; যখন হুকুম পচ্ছে ইতালিয়ান মারছে, জাপানী মারছে, আমেরিকানদের মারবে; দরকার হলে, ভারত চলে যাবে, বিদেশ চলে যাবে। ১৭ কোটীর মাঝে এসব সন্ত্রাসীকে নজরে রাখতে হলে খুবই দক্ষ ও বড় পুলিশ বাহিনী দরকার।
দেশের হিংসাত্মক রাজনীতি ও দুর্নীতিগ্রস্হ অর্থনীতি 'সন্ত্রাস'কে পেশা হিসেবে প্রতিস্ঠিত করেছে; 'সন্ত্রাস' এমন পেশা যেখানে বিনিয়োগ হলো 'অপরাধী মন'; আবার এই পেশা থেকে যা আসে পুরোটাই লাভ। দেশে বেকার বাড়ার সাথে সন্ত্রাস সামানুপাতিক হারে বাড়ে; সরকারে যারা আছে, তারা অনুপাতের অংক কম বুঝে।
আবার পুলিশের উপস্হিতির সাথে, সামানুপাতিক হারে সন্ত্রাস কমে; এটা বুঝতে আরো সহজ। পুলিশ বাড়ালে চাকুরীও বাড়বে; সমস্যা কোথায়? টাকা তো আছে, মনে হয়; আমাদের 'রাখাল থেকে রাজা' হওয়া, বাংলাদেশ গভর্ণর তো রিভার্ভের উপর ঘুমায়, আর বলে উনার বিছানার উচ্চতা বাড়ছে প্রতি রাতে; উনি সরকারকে ওখান থেকে খরচ করতে দেয় না কেন? উনি কি যক্ষে পরিণত হয়েছেন?
১৭ কোটীর মাঝে, ১০% যদি অপরাধী মনের মানুষ বাস করে, বাংলাদেশে ১ কোটী ৭০ লাখ অপরাধী মনের মানুষ আছে; ৮০ হাজার পুলিশ দিয়ে কি হবে? ৮০ হাজারের মাঝে তো ৬০ হাজার হবে ঘুষখোর; ঘুষখোরেরা সন্ত্রাসীদের পালন করে। রাজনৈতিক কারণে, সরকারী সন্ত্রাসীদের পুলিশরা সালাম করে বেড়ায়।
দেশে নতুন ২ লাখ পুলিশের দরকার আছ; দেশের মোট ৩ লাখের মতো পুলিশ থাকলে সন্ত্রাসীরা তাপ অনুভব করবে; সন্ত্রাসীরা পালানোর জায়গা পাবে না, সন্ত্রাস করতে ভয় পাবে।
খুবই ভালো বেতন দিয়ে ১০ হাজার গোয়েন্দা পালন করা দরকার, যারা মানুষের সাথে কাজ করবে না, যারা সন্ত্রাসী ও অপরাধ জগতের মানুষকে চিহ্নিত করে দেবে; পুলিশরা ওদের আইনের অধীনে নিয়ে আসবে।
আমাদের রাখাল রাজা বলুক, কত টাকা রিজার্ভ হলে আমাদের ইমপোর্ট চলবে; বাকী টাকা ছাত্রদের পড়ালেখা, চাকুরী সৃস্টি ও সন্ত্রাস দমনে, পুলিশ বাড়ানোর জন্য ব্যয় করা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪