মির্জা ফখরুল প্রস্তাব দিয়েছিল যে, বর্তমান পরিস্হিতি থেকে বের হওয়ার জন্য 'সর্বদলীয় বৈঠকের দরকার'; এটা একটা বড় সুযোগ ছিল, কমপক্ষে মির্জা সামনের সারিতে আসতে পারতো, মির্জা বিএনপি'তে ফোকাস হতো; এতে খালেদা জিয়া ও তারেক পেছনে সারিতে চলে যেতো। মির্জা অস্হায়ী সেক্রে হিসেবে ৯১ দিনের তান্ডবের জন্য দায়ী ছিল; কিন্তু নিজ হাতে নিশ্চয় পেট্রোল বোমা মারেনি; এবং খোকা, মিলনদের মতো দেশ ছেড়ে পালানোর লোক নন; সুতারাং, উনাকে জেলের বাহিরে রেখে, উনার কথানুযায়ী বৈঠক করার দরকার ছিল।
দেশের সবাই চায় যে, খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে বের হয়ে যাক; কিন্তু বিএনপি'র লোকদের ভুল ধরণা, খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি ঠিকবে না; মির্জাকে বৈঠক করতে দিলে, মির্জার ভালো দিক দেখতে পেতো বিএনপি; তখন বিএনপি'র লোকেরা খালেদা জিয়ার বাইরে ভাবতে পারতো।
যদিও ধারণা করা হয়েছিল যে, পরপর ২ বার ক্ষমতায় না থাকলে, বিএনপি থাকবে না; আসলে, বিএনপি, বা বিএনপি'র মতো দল বাংলাদেশে থাকবে আরো অনেকদিন।
বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষাহীনতা, অন্যের অধিকার হরণের মনোভাব, ভারত বিদ্বেষ, বাকশাল বিদ্বেষ, অন্য ধর্মের লোকদের প্রতি বিদ্বেষ, সামাজিক অনাচার করার স্পৃহা বিএনপি বা বিএনপি'র মতো পার্টি চালানোর জন্য খুবই উর্বর।
মির্জাকে জামিনে বের করে, তাকে বৈঠক করার সুযোগ দেয়া হোক; সে বিএনপি'র মানুষের সাপোর্ট পেয়ে সামনে আসুক; সে খালেদা জিয়া, তারেক, হানিফ, মায়া বা ড: হাছানদের চেয়ে ভালো লোক।