বেশীর ভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স এখন ৬০ বছরের বেশী; উনাদের দরকার চিকিৎসা। মুক্তিযোদ্ধা মিনিস্ট্রি উনাদের জন্য হেলথ-কার্ড চালু করতে পারেন, যেটা মুক্তিযোদ্ধাকে তাঁর দরকার মত ডাক্তার ও হাসপাতালে ভর্তি হতে সাহায্য করবে; মিনিস্ট্রির একটা ডিপার্টমেন্ট এই বিষয়ে কাজ করতে পারে; মুক্তিযোদ্ধা উনার সামর্থ অনুযায়ী বিলের একাংশ বা পুরোটা দেবেন; বাকী অংশ মিনিস্ট্রি বহন করবে। এ ব্যাপারে একটা ফান্ডও গঠন করা যেতে পারে, যাতে বাকী মুক্তিযোদ্ধারা সামর্থানুসারে টাকা দিতে পারে।
ব্লগে একটা পোস্ট দেখলাম, যেখানে লিখেছেন, রাংগুনিয়া থেকে ১৯৯১ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধা; আজ উনার পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্হা এত খারাপ যে, উনার দরকারী চিকিৎসা হচ্ছে না; ব্লগার শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন; শেখ হাসিনা অন্যদের তুলনায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সামন্য ভালো কিছু করেছেন; কিন্তু আরও দরকার, এবং সেগুলো প্রশাসনিকভাবে করতে হবে; উনার কাছে সাহায্য চেয়ে হবে না।
মুক্তিযোদ্ধাদের যখন সাহায্যের দরকার, তা আসার দরকার ছিল স্হানীয় কমান্ড থেকে; উনারা ইউনিয়ন, থানা, জেলা, বিভাগীয়, বাংলাদেশ, মংগল গ্রহ শাখা প্রশাখা কমান্ড খুলে দেশ ভরে ফেলেছেন; কিন্তু ওগুলো কোনভাবে দরকারের সময় কাজে লাগে না; কারণ, ঐগুলোর কমিটিটে সরকারী দলের " ভুয়া সার্টিফিকেটধারীরা" পদ দখল করে বসে থাকে সব সময়; বিএনপি'র সময় বিেনপি, আওয়ামী লীগের সময় আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কারখানা খুলেছিল; কারখানায় তৈরিগুলো এখন প্রায় কমিটি চালাচ্ছে।
যাক, কমান্ড কিছু না করলেও মিনিস্ট্রি নিজেই চিকিৎসার ভার নিতে পারে; সরকার একটি পুরো মিনিস্ট্রি খুলে রেখেছেন এই লোকগুলোকে সাহায্য করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০