News Link
ভারতের মাটির নীচে তেল নেই, তারপরও বাংলাদেশ সরকার জ্বালানী তেলও ভারত থেকে আমদানী করছে, এবং ভবিষ্যতে ওদের উপর নির্ভরশীল থাকার জন্য "পাইপ লাইন" গড়ার প্রকল্প উদ্বোধন করেছে; এই পাইপলাইনের ১২৫ কিলোমিটার হবে বাংলাদেশে, ভারতে মাত্র ৫ কিলোমিটার; ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল আসবে ভারত থেকে।
বর্তমানে বিদেশ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে প্রতি ব্যারেলে পরিবহন খরচ হয় ৩ ডলারের মত। সেই তেল চট্টগ্রামে শোধন করে সড়কপথে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় তেল পরিবহনে খরচ হয় ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার; ফলে পরিবহন ব্যয় দাঁড়ায় সব মিলিয়ে ৮ ডলার। আর ভারত থেকে পাইপলাইনে পরিশোধিত তেল এনে দেশের উত্তরাঞ্চলে সরবরাহ করতে পরিবহন ব্যয় হবে সাড়ে ৫ ডলারের মত।
এই ৩ ডলার বাঁচাতে গিয়ে জাতি বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের সুযোগ হারাবে। পরিবহনে ৩ ডলার বাঁচলো, কিন্তু পরিশোধিত তেল কখন কত দামে কেনা হবে, সেটা কি জাতি কখনো জানবে? তেলের দাম কখনো স্হির নয় বিশ্ব বাজারে।
বাংলাদেশে তেল "পরিশোধন" করার পর, দেশের উত্তরান্চলে তেল পাঠানো হয় "সড়ক পথে", এতে ৫ ডলার খরচ বেড়ে যায়; ভারত থেকে তেল আনলে "পাইপ লাইনে" আসবে, ব্যারেল প্রতি ৩ ডলার খরচ কমে যাবে; পাইপলাইনে খরচ কমলে, বাংলাদেশের ভেতরে "রিফাইনারী" করে, পাইপ লাইনে পাঠানো হচ্ছে না কেন?
ভারত থেকে আনলে পাইপলাইন গড়ো, চট্রগ্রাম থেকে আনলে যেতে হবে সড়কে, তুগলকি কান্ড! ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ভারত থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পাইপ লাইন হয়ে গেলে তেল আমদানিতে পরিবহন খরচ ও সময় দুটোই নাকি বাঁচবে। আরে গর্দভেরা, পরিশোধিত তেলের দাম কি স্হির, নাকি বদলায়? তেলের দামই বেশী দিয়ে পরিবহন ব্যয় কমানোর ভাবনা, কি ইডিওটিক কান্ড!
বাংলাদেশে রিফাইনারী করলে, মানুষ তাতে বিনিয়োগ করতে পারতো ৭/৮ বিলিয়ন ডলার, শতশত ইন্জিনিয়ারের চাকুরী হতো, শতশত টেকনিশিয়ানের চাকুরী হতো; এই সামান্য পাটী গণিত ও ব্যবসার নীতি কি শেখ হাসিনার মাথায় ঢোকে না? উনি কি আসলে, অংকে ও ব্যবসায় বেগম জিয়ার লেভেলে আছেন? এটা কি শেখ সাহেবের মেয়ে, নাকি গার্মেন্টস'এর মেয়ে?
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১