১৯৭১ সালের পরাজয় পাকিস্তানের কপোলে কলংকের তিলক এঁকে দিয়েছে; পাকী মিলিটারী ও প্রতিটি পাকিস্তানী নাগরিক এই পরাজয়কে ব্যক্তিগত পরাজয় হিসেবে নিয়েছে; পাকিস্তানীরা এতবড় পরাজয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলো না; পাকিস্তানের ৯১ হাজার যুদ্ধবন্দীদের মুখ তারা দেখতে চাহেনি; ভারত থেকে যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেয়ার পর, ৯১ হাজারের বড় অংশ, ভারত থেকে উড়োজাহাজে সোজা সৌদীতে চলে গেছে; সৌদী আরব তাদের চাকুরী দিয়েছে, সিকিউরিট মিকিউরিটিতে; এসব যুদ্ধবন্দীদের পরিবারও তাদের মুখ দেখতে চাহেনি; এ হলো পাকী জাতি; ওরা মিলিটারী জাতি; মিলিটারীতে প্রত্যেক পরিবারের লোক চাকরী করেছে কোন না কোন সময়; ওদের দেশে, ওরা মিলিটারীকে ক্ষমতায় চায়; ওরা চায় ভোট হোক, ইমরাণ খান সরকার গঠন করুক, কিন্তু মুল ক্ষমতা থাকুক মিলিটারীর হাতে।
পাকী জাতির মিলিটারী ইন্টেলিজেন্স হচ্ছে আইএসআই; ১৯৭২ সাল থেকে আইএসআই'এর মুল টার্গেট ছিলো বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে দেয়া, পেছনে টেনে রাখা; শেখ, তাজুদ্দিন সাহেবের মত নেতাদের হত্যা করা।
তারা সিআইএ ও জেনারেল জিয়ার সাথে কাজ করে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে; তারা শেখ হত্যায় সিআইএর কো-অরডিনেটর ছিলো; শেখ হত্যার পর, তাদের ও বাংলাদেশের মিলিটারীর যৌথ প্ল্যান অনুসারে তাজুদ্দিন আহমেদ'কে হত্যা করা হয়; আইএসআই'এর প্রত্যক্ষ সাহায্যে বিএনপি নামে দল গঠিত হয় শেখ সাহেব ও তাজউদ্দিন সাহেবের কবরের উপর।
বিএনপি'র শুরু থেকে ২০০৮ সাল অবধি, বিএনপি চালায়েছেন আমাদের মিলিটারীরা; বাহিরে বেগম জিয়া থেকে সাকা চৌধুরীরা ছিলেন সিভিলিয়ান অভিনে্তাদের দল; আমাদের মিলিটারীকে জেনারেল জিয়ার সময় থেকে আইএসআই টাকা থেকে শুরু করে, সব ধরণের সাহায্য করে এসেছে; তারা শুধু টাকা ও মাদক দেয়নি, তারা জাল টাকা ও টাকা চাপানোর মেশিন পাঠায়েছে বাংলাদেশে কনটেইনার ভরে ভরে।
গত কয়েক বছর আইএসআই'এর প্রভাব কমেছে আমাদের কেন্টনমেন্টেগুলোতে; এবার ড: কামালের ঘাঁড়ে চড়ে বিএনপি জামাত আবার জনগণের মাথায় জীবাণুর বাসা তৈরি করছে; এই মরা বিড়াল নড়েচড়ে উঠার সাথে সাথে বিড়ালের মালিক, আইএসআই অবশ্যই বাংগালী জাতির মেহমান হয়ে ঢাকা এসে উঠবে; সাথে নিয়ে আসবেন আফগানী হিরোইন ও টাকা ছাপানোর মেশিন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৬