গতবারের (২০১৪ সাল) নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছিলো 'মাজার' থেকে; ৫ বছর পর, এবারের প্রচার শুরু হচ্ছে মাজার থেকে, আধুনিক বাংলার মানুষ অনেকটুকুই বদলে গেছে ৫ বছরে, আমাদের রাজনীতির ক্লাউনরা বদলায়নি। আওয়ামী লীগ শুরু করছে শেখ সাহেবের সমাধিস্হল থেকে, বিএনপি শুরু করছে সিলেটের মাজার থেকে; বিএনপি জেনারেল জিয়ার কবর থেকে শুরু করলে কিছুটা হলেও অনর্থের অর্থ হতো। ৫ বছরে, আধুনিক বাংলাদেশের ২ বড় দলের রাজনৈতিক কালচারের কোন পরিবর্তন ঘটেনি, বানরেরা বানরই থেকে যায় আজীবন।
আজকের বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চয় মাজার ইত্যাদিকে রাজনীতিতে দেখতে চাওয়ার মতো নীচু স্তরে নেই, এমন কি অশিক্ষিতরাও জানেন যে, মাজার হলো মৃত ব্যক্তির কবর মাত্র; সিলেটের মাজারের স্হান আমাদের রাজনীতি কোন অবস্হায়ই থাকার কথা নয়; কিন্তু বিএনপি এখনো আমাদের অশিক্ষিতদের চেয়েও নীচু মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা উনার বাবার স্মরণে টুংগি পাড়া গেছেন, সেটা কিছুটা মেনে নেয়া যায়; তবে, আধুনিক বাংলার মানুষকে উৎসাহিত করার মতো কিছু টুংগি পাড়ায় নেই; উনি অগ্রিম বিজয় দিবসের একটা সভা করে, সেখান থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারতেন; সেটা হতো জাতির এক মহান দিনের উৎযাপন ও জাতীয় রাজনীতির সমন্ময়।
বিএনপি দুনিয়ার গোজামিল দিয়ে রাজনীতি করে, এই গোজামিল রাজনীতির কালচারের সাথে মাজার মুজার যুক্ত থাকা সম্ভব; আসলে, সিলেটের মাজারে একটা ওরস দিয়ে শুরু করলে সেটাই ওদের জন্য সুন্দর শুরু হতো; ফখরুল সাহেব দ্রুত আজমীর শরীফ ভ্রমণ করলে হয়তো গুরুত্বটা আরেকটু বৃদ্ধি পেতো।
২ দলের ক্লাউনরা আধুনিক বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে অপমান করেছে, এই দেশের মানুষের রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্টাকে খুবই নীচু স্তরের বলে ধরে নিয়েছে; আসলে এসব ক্লাউনরাই বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে বানরের স্তরে রয়ে গেছে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের থেকে অনেক বেশী রাজনীতি ও রাজনৈতিক কালচার বুঝেন। এরা আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি দেখছে, আধুনিক বিশ্বের সাথে চলছে; কিন্তু নিজেরা বানরের পর্যায়ে রয়ে গেছে, দেশের মানুষকে অন্য জাতিদের কাছে পিগমী প্রমাণ করেছে মাজার বাজার থেকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮