আমি বরাবরই চাকুরীজীবি ছিলাম, দেশে ও বিদেশে চাকুরী করেছি; দেশের চাকুরী সম্পর্কে এটুকু বলতে পারবো, বাংলাদেশে চাকুরী করার পর, বেশীর ভাগ মানুষ মানসিক রোগীতে পরিণত হওয়ার কথা; মানসিক রোগীদের জন্য ভালো সংবাদ হলো, তাঁরা নিজের মাসিক রোগ সম্পর্কে জানেন না।
গত ২ বছর আমি চোখের রোগে ভুগেছি, চাকুরী করিনি; চোখের অবস্হা ভালোর দিকে যায়নি; বাংলাদেশের গরম ও বাতাস দুষণে উহা আরও বেড়ে যায়; বেশ ভালো সমস্যায় আছি। গত মাসে একটা চাকরী ধরেছি; বয়স বেড়ে যাওয়ায় যথেষ্ট ম্যাঁওপ্যাঁওয়ের মাঝ দিয়ে যেতে হয়েছে। চোখের কারণে, আমার দক্ষতার চেয়ে একটু সহজ চাকুরী নিয়েছি, দায়িত্ব কম, বেতনও কম, চাকুরী পেতেও সহজ হয়েছে।
আমার চাকরীটা সামান্য বেতনের, কিন্তু মালটি বিলিয়ন ডলারের ব্রোকারেজ কোম্পানীতে; কাজটা হলো, সব ব্রোকারেজ কোম্পানীগুলো নেটওয়ার্ক ও সফটওয়ারের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে; কেহ কিছু বদলালে, তখন ওরা পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করতে পারলেও ব্যবসায়িক দিক থেকে সমস্যা হয়; এগুলোকে ঠিক রাখার জন্য লোকজন আছে! আমার কাজ হলো, কোন পক্ষ থেকে কোন রদ বদল হলে, সেটা বিজনেস লোকদের জানানো ও অন্য ব্লোকারদের লোকদের সাথে কথা বলে, কানেকশান করে দেখা।
আমি চাকুরী পাবার পর, আমাদের গ্রুপ আমাকে ৪টি ব্রোকারের কানেকশান নিয়ে কাজ করতে দেয়; আমি কাজ শুরু করি; সবকিছু আশাতীত ভালোভাবে চলছিলো। একটাতে সামান্য সমস্যা হচ্ছিল, সেটা ঠিক করার পর, কোম্পানীর ভারতীয় অফিস থেকে সেটা পরীক্ষা করেছে সীমিত আকারে। এবার আমাকে বড় আকারে পরীক্ষার দায়িত্ব দেয়া হলো; অন্য পক্ষের ব্রোকার, 'কেনটর'; ওদের কর্মচারী, ফরাসী একটা মেয়ে আমার সাথে এই কাজটা করছে কয়েকদিন, সব ভালো; গত পরশু, হঠাৎ মেয়ের ম্যানেজার আমাকে ইমেইল করলো, বললো, আমরা ঐ মেয়েকে বেশী কাজ দিচ্ছি; আমি উহাকে বললাম যে, তুমিসহ আমরা সবাই ওয়ার্কার, এই কোম্পানীগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে, ওরা জানে কি করছে, তোমার মাথা ব্যথা কেন? সে বললো, উনি ঐ মেয়ের ম্যানেজার, ঐ মেয়ের অনেক কাজ আছে, অন্যদের সাহায্য করা ঐ মেয়ের কাজ নয়; এই ম্যানেজারের নাম আসিফ খলীফা, আমেরিকায় বড় হওয়া মুসলমান বেরাদার।
আরেকটা ব্রোকারেজের সাথে আগের থেকে এই কোম্পানীর সমস্যা ছিল; সেখানে কাজ করে আরেক বেরাদার, নাম সুলাইমান আসগর; আমি যেই কোম্পানীতে কাজ করি, এরা আসগরকে টেলিফোন করতেও ভয় পায়; কাজটা আমাকে দিয়েছে। উহা আমার নাম জিজ্ঞাসা করার পর, কিছু না বলে কাজ করে দিয়েছে; ৩/৪ দিন, সবই ভালো। গতকাল শুক্রবার, দিনের ১২টার একটু পরে একটা সমস্যা হয়েছে, আমি কল করলাম, উহা নেই; ম্যাসেজ রাখলাম। দিনের ৩টার দিকে সে আমাকে কল করে বলে যে, শুক্রবার ১২টার পর তাকে আমার কল করাই ঠিক হয়নি; এই বলে সে ফোন রাখে দেয় বাংলাদেশ ষ্টাইলে। আমি আবার ফোন করলাম সমস্যার ব্যাপারে, উহা আর ফোন ধরেনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯