জেনারেল জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল, তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন না; তিনি মিলিটারী এডমিনিষ্ট্রেটর হওয়ার পর, আওয়ামী লীগকে কৌশলে রাজনীতি থেকে দুরে রাখেন; চোর হোক আর টোর হোক, আওয়ামী লীগই বাংগালীদের রাজনৈতিক দল ছিলো। আওয়ামী লীগ নিজেদের ভুলের জন্য, লোভের জন্য, ও অন্যায়ভাবে সম্পদ দখলের জন্য জনপ্রিয়তা হারায়েছিলো; কিন্তু তারা জাতিকে কক্ষচ্যুত করেনি, সেই সাহস তাদের ছিলো না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের উপরের অংশ ভুল ও অন্যায় করলেও, দলের তৃণমুল অংশের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সাহস ছিলো। কিন্তু যারা জিয়াকে সাপোর্ট করেছিলো, তারা জিয়ার মিলিটারী শাসনের বিপক্ষে টু-শব্দ করার, সমালোচনা করার মতো অবস্হানে ছিলো না; তারা নিজেরা জানতেন, তারা কে, আর জিয়া কে? তারা নিজেরা ছিলেন বাংলাদেশ-বিরোধী, আর জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন; এক অদ্ভুত দল, এক জেনারেল উহার সৃষ্টিকর্তা, সেই জেনারেলের বিরোধীরাই আবার সেই দলের সাপোর্টার!
শেখ বাকশাল করেছিলেন, তখনকার বাংলাদেশে বাকশাল বুঝার মতো রাজনীতিবিদ তেমন বেশী ছিলেন না; জনতা সেটা বুঝার কথা নয়; সেটা জনতাকে বুঝিয়ে বলার দায়িত্ব ছিলেো শেখ সাহেবের; তিনি গরজ অনুভব করেননি, সেই সুযোগ নিয়েছিলো সিআইএ ও আইএসআই। শেখ হত্যার পর, জেনারেল জিয়ার যুদ্ধকালীন প্রাইম মিনিষ্টার, তাজুদ্দিন সাহেবকে রক্ষা করার দায়িত্ব ছিলো জেনারেল জিয়ার; জিয়া সেটা করেননি; উল্টো ষড়যন্ত্র করে, যুদ্ধকালীন কমরেডকে হত্যা করলেন! সেদিন তিনি বুঝতে পারেননি, ইহার ফলাফল কি হবে!
জেনারেল জিয়ার ভয়ানক অপরাধের ভাগটা বেগম জিয়া না নিলে, উনি ও উনার ২টি ছেলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারতেন; কিন্তু তিনিও জিয়ার মত ষড়যন্ত্রকেই জীবনের কর্মপন্হা হিসেবে নিলেন; স্বামীর কি শাস্তি হয়েছিলো, সেটা বুঝার চেষ্টা করলেন না। আজকে উনার শাস্তি হচ্ছে; এটা আবার মওদুদ, ফখরুল সাহেব, ড: খোন্দকার মোশারফরা বুঝার চেষ্টা করছেন না; যেদিন তাদের অবস্হাও বেগম জিয়া, কিংবা জেনারেল জিয়ার মতো অবস্হা হবে, হয়তো সেদিন টের পাবেন।
অনেকের সাথে আমিও ভেবেছিলাম, ইলেকশানের পর, হয়তো বেগম জিয়ার দোযখের মেয়াদ কমে আসবে; সেটা হচ্ছে না এখনো; বুঝা যাচ্ছে যে, উনাকে বুঝার জন্য আরো সময় দেয়া হচ্ছে! উনাকে অভিনন্দন, উনার সুস্হ জীবনের ১ বছর পুর্ণ হলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪