
মশা আমাদের 'জাতীয় কীটপতংগ' হওয়ায় ঢাকার মেয়রেরা মশার গায়ে হাত তোলেন না; এবং মশা আমাদের রাজধানীর লোকদের ভালোবাসেন, উনাদের নীলরক্ত পান করে, বুড়িগংগার সুপেয় মিনারেল ওয়াটারে বংশ বিস্তার করে আরামে আছেন; ফলে, ডেংগু মেংগু ঢাকায় স্হায়ী জ্বর হিসেবে প্রসিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের রাজধানীর বস্তির লোকদের নিয়ে ব্লগারদের ভাবা উচিত!
ভারত, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, সিংগাপুর, ব্রাজিল, মেক্সিকো, পেরু, পেরুগুয়ে, গুয়াতেমালা, কোস্তারিকা ও আরো কয়েকটি দেশে ডেংগুর প্রাথমিক টিকা আছে, এবং আরো উন্নয়ের কাজ চলছে; বেশ কয়েক প্রকারের (হয়তো, ৪ ধরণের) ডেংগু ভাইরাস আছে, এবং সময়ের সাথে এই ভাইরাসগুলো নিজেদের বদলায়ে, নতুন ধরণের ষ্ট্রাইফ তৈরি করে; ফলে, হয়তো, প্রতি বছরের টিকাগুলো সামান্যভাবে আলাদা ধরণের হতে পারে। মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ এই টিকার ব্যাপারে এসব দেশের সাথে কাজ করছে না, আমি বাংলাদেশের নাম দেখিনি। যদি বাংলাদেশ ইতিমধ্যে কিছু না করে থাকে, বাংলাদেশের উচিত এদের সাথে কাজ করে, ঢাকা শহরের ২ কোটী মানুষের জন্য প্রাথমিকভাবে টিকা প্রস্তত করা; কারণ, এই টিকা খুবই দামী, মাথাপিছু ২০০ ডলারের বেশী দাম; কিন্তু ঢাকার মানুষেরা হলো আমাদের রাজধানীর মানুষ, এঁদের প্রতি জাতির দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে!
'বাংলাদেশ এপিডেমিওলোজী ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ' সংস্হাটি দেশে ডেংগু মেংগু কন্ট্রোল করার কথা; এদেরকে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা 'হু' ইত্যাদি এসব ব্যাপারে অনেক ডলার দেয়, মনে হয়; এরা এসব ডলার কিভাবে খরচ করে, জাতীয় বাজেট মাজেট দেখে বুঝার উপায় নেই; কিন্তু এদের হাতে এই দেশের মানুষের জীবনমরণ নির্ভর করে, এবং এদের হাতে টাকাও আছে!
উপরের যেসব দেশের নাম আছে, তাদের মাঝে সিংগাপুর, গুয়াতেমালা, কোস্তারিকার জনসংখ্যা হয়তো ঢাকা থেকে কম হতে পারে; তারা যদি ডেংগু পেংগু নিয়ে টিকা ডেভেলোপমেন্ট করতে পারে, বাংলাদেশেরও পারার কথা। বাংলাদেশের ফার্মাসিুটিক্যাল কোম্পানীগুলো নাকি অনেক টাকার মালিক, বিদেশেও ঔষধ রপ্তানী করে; তাদেরকে ডাকলে, তারা নিশ্চয় কয়েকজন রিসার্চ সায়েন্টিষ্টস দেবেন।
আমাদের ব্লগেও এই ব্যাপারে দক্ষ লোকজন আছেন, এঁদের মাঝে ব্লগার কলাবাগান মনে হয়, রিসার্চে যুক্ত আছেন; উনি সশরীরে আসতে না পারলে, উপদেশ দিতে পারবেন; উনি স্যাটেলাইটেও ভালো, ঘরের জানালা থেকে নাকি আমাদের স্যাটেলাইট দেখেন কাজের পর। টিকা প্রস্ততের সময় টিকা পরীক্ষা করার জন্য ব্লগার রাজিব নুরের পরিবারের সদস্যরা (পরী ব্যতিত, বেচারী ছোট মানুষ, ডেংগু জ্বরে অনেক ভুগেছে!) হয়তো ভলনটিয়ার হবেন; আমি নিজেও ভলনটিয়া হতে পারি; তবে আমার বয়স সমস্যা হতে পারে, রক্ত আগের মতো ঘন নয়; ব্লগার ইনাম আহমেদ চাইবে না আমি ভলনটিয়ার হই! অবশ্য ব্লগার ইনাম আহমেদ জোয়ান এখনো, আমরা উনাকে বুঝায়ে টুঝায়ে ভলনটিয়ার করে ফেলবো। সবকিছু পজেটিভ, বাংলাদেশে সরকার, কিংবা শেখ হাসিনা ভেবে দেখতে পারেন!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




