আমাদের পার্লামেন্টটা বিশ্বের সবচেয়ে বড়, সুন্দর ও দামী পার্লামেন্ট; এখানে জাতির সবচেয়ে বড় জ্ঞানী গুণীরা আসার কথা ছিলো; এখানে বসেই তাঁরা জাতির আগামীদিনের কক্ষপথ রচনা করার কথা।
কিন্তু আমাদের পার্লামেন্টটাকে পারিবারিক ও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আড্ডাখানায় পরিণত করা হয়েছে; আমাদের পার্লামেন্টে দরকারী কোন বিল আজো আসেনি, ইহাকে বক্তৃতার মন্চ ও খাবার দাবার ক্লাবে পরিণত করেছে এমপি'রা ও স্পীকার। মানুষ এখন আমাদের এমপি'দের নামও জানে না, উনারা কি করেন কেহ জানে না।
এরশাদের মৃত্যুর পর হলেও, উনার দলটা বিলুপ্ত করার দরকার ছিলো, জাতির একটা কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতো, দু:স্বপ্নের গল্প হয়ে থাকতো জাতির মনে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেটা না ঘটে, দু:স্বপ্নের গল্পে নতুন নায়ক যোগ করা হচ্ছে , জেনারেল এরশাদের বউ ও ভাইয়ের সাথে উহার দুরন্ত ছেলে সাদকেও আমাদের পার্লামেন্টে আনার ব্যবস্হা হচ্ছে; এগুলো জাতির বিপক্ষে অপরাধ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
জে: জিয়া নিহত হওয়ার পর, জে: এরশাদ এসেছিলো মিলিটারীর শাসন চালু রাখতে, উনি আমৃত্যু সেটা চালিয়ে গেছেন। জে: এরশাদ বিএনপি দখল করার কথা ছিলো, হয়তো; কিন্ত সেটা ঘটেনি, তিনি নিজস্ব রাজৈতিক দল গঠন করেন; তাতে বুঝা গিয়েছিলো যে, আমাদের মিলিটারী ১৯৮২ সালের পর ভেতরে কমপক্ষে ৩ ভাগে বিভক্ত ছিল। যাক, মিলিটারীর সক্রিয় রাজনীতি ও কেন্টনমেন্টের তত্বাবধানে দল গঠন করার কারণে, জে: এরশাদ ও জে: জিয়ার দলকে নিষিদ্ধ করার দরকার ছিলো; হাইকোর্ট চাইলে আজকেও বিলুপ্তির প্রসেস শুরু করতে পারে।
পার্লামেন্ট হলো জাতির জন্য আইন প্রনয়নের স্হান, জাতির কক্ষপথ রচনার স্হান; এমন স্হানটাকে অদক্ষ, দুর্নীতিবাজ, ব্যবসায়ী ইত্যাদি ধরণের মানুষের আড্ডাখানা বানানো হয়েছে; আজকের এমপি'দের নিয়ে কেহ মাথা ঘামায় না, ওরা কি করে কেহ সেটা নিয়ে চিন্তিতও নয়, এমপি'দের সন্মান করেন, এমন মানুষ পাওয়াই দু:স্কর হবে।
বেগম এরশাদ কেন পার্লামেন্টে, ইহার সঠিক কোন উত্তর নেই; আসলে, মানুষ জানতেও চাহে না যে, বেগম এরশাদ কি জীবিত আছেন, উনি কি করেন। জে: এরশাদের ভাই কতজন আছে কে জানে? পার্লামেন্ট অনুযায়ী গণনা করলে, মনে হয় ১ জন মাত্র। জে: এরশাদের পালিত মালিত ইত্যাদি হিসেব করলে ৪ সন্তান আছে; ১ম'টা বাহির জগতে দুরন্তপনা শেষ করে, ভালো মানুষ সাজতে আমাদের পার্লামেন্টে আসবে, মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৭