কিছু কিছু বাংগালী মানুষ নিজের মায়ের থেকে শাশুড়ির খবর নাকি বেশী রাখে; এর পেছনে কারণ থাকতে পারে, কিছু কিছু বাংগালী বউ নাকি জল্লাদের মতো; তাই হয়তো, শিকড়ে পানি ঢালে যাতে লাউগাছ সবুজ থাকে। ড: কামাল সাহেবের অবস্হাও অনেকটা সেই রকম, উনার উচিত টুংগী পাড়া যাওয়া, উনি ডালিম হাতে কাশিমপুরের জেলের গেটে দাঁড়িয়ে আছেন।
উনি হয়তো বটতলার উকিল হতেন, শেখ সাহেব উনাকে ধরে এনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বড় পদ দিয়েছেন; সেসব কাজে লাগায়ে উনি বিশ্বের বড় বড় উকিলদের খাতায় নাম লেখায়ে ৩০০ কোটীর মতো ক্যাশ বানায়ে, উহার উপর শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছেন। সুখে থাকলে ভুতে কিলায়; উনার গুরুকে যেই পক্ষ বিনাশ করেছে, সেই পক্ষের বউ'এর জন্য চোখের পানি ছাড়ছেন!
উনি নাকি বিএনপি'র মাথা থেকে জামাতকে নামানোর জন্য বেগম জিয়ার সাথে আলপ করবেন! বেগম জিয়া আছেন নিজ কষ্ট নিয়ে, এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর দায়িত্ব দিয়েছেন ছেলেকে; ছেলে হলো ডিজিটাল সভাপতি, লন্ডনে বসে ইন্টারনেট দিয়ে বিএনপি চালায়! ড: সাহেব মরা গাছ জড়ায়ে ধরে কাঁদতে গেছেন।
বিএনপি এখনো ড: কামাল হোসেনের দলের তুলনায় হাতী, আসলে মরা হাতী; এই মরা হাতির সাময়িক মাহুত হয়েছেন আমাদের ড: সাহবে; উনার সমস্যা হচ্ছে, মরা হাতি এমনিতে হাঁটে না, উহার আবার উপর সওয়ার হয়েছে জামাত; জামাত হলো আরব্য উপন্যাসের দৈত্যের মতো, ঘাঁড়ে চড়লে আর নামে না। ইহাকে উনি নিজে সরাতে পারছেন না, বেগম জিয়ার সাহায্যের দরকার।
ড: সাহেব বুঝতে পারছেন না, বিএনপি'র এই অবস্হা কেন, ঘষা দিলে কাজ হয় না কেন? উনি ভুল যায়গায় দৌড়াচ্ছেন, বিএনপি'র শক্তি বেগম জিয়া ছিলো না কোনদিন; বরং বিএনপিই ছিলো বেগম জিয়া ও ডা: বদরুদ্দোজা সাহবেদের জন্য আলাদিনের প্রদ্বীপ, আর উহার মুলশক্তি ছিল ঢাকা কেন্টনমেন্টের দৈত্যরা; উহারা এখন এই প্রদ্বীপের মালিকের চাকর নন।
ড: কামাল আসলে কিছুই ছিলো না, অন্ধকারের উপগ্রহ ছিলো, শেখ সাহেবের আলোয় উনাকে আকাশ দেখা গিয়েছিলো; এখন আলোকের উৎস নেই, উনি আধারের উপগ্রহ, নিজের কোন আলো নেই। এখন আলো ধার করতে যচ্ছেন আরেক মৃত উপগ্রহের কাছ থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২১