সমাজে নারীর অবস্হান, সন্মান, ভুমিকা, প্রভাব সবই নির্ভর করছে সমাজিক, শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক পরিবেশের উপর। স্হান, কাল অনুসারে ধর্মের প্রভাব আছে বেশ, কিন্তু উহা তাঁদের জন্য সুখবর নয়। সাংবিধানিক ও আইনী প্রক্রিয়ায়, পশ্চিমা বিশ্বে নারীরা নিজেদের সামজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক অবস্হান দৃঢ় করেছেন গত কয়েক শতকে; এখন শিক্ষিত তৃতীয় বিশ্বেও নারীদের অবস্হান ক্রমেই ভালো দিকে যাচ্ছে। নারী জাতী মা'য়ের জাতি হওয়ায়, তাঁদের প্রাথমিক অবস্হান হিসেবে গণনায় নেয়া হয় পরিবারে; সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিবান, সচ্চল পরিবার হলো নারীর জন্য সবচেয়ে স্বাস্হ্যকর পরিবেশ।
দরিদ্র ও কম শিক্ষিত পরিবারের নারীকে আজকের পশ্চিমা বিশ্বেও অনেক কষ্টকর পরিস্হিতির মোকাবেলা করতে হয়; সৌভাগ্যের বিষয় হলো, স্বাভাবিক জীবনের অধিকারী দরিদ্র নারীরা ইউরোপ ও আমেরিকায় খুব সহজেই সামাজিক ও অন্য নারীদের সাহায্য পেয়ে থাকেন। তৃতীয় বিশ্বের বেশীরভাগ নারীরা নিজেরাই স্বাবলম্বী না হওয়াতে, অন্য নারীকে সাহায্য করার মতো অবস্হানে থাকেন না।
দরিদ্র পরিবারগুলোতে নারীরাই কম শিক্ষা পেয়ে এসেছে; মাত্র কিছু সময় আগেও, তৃতীয় বিশ্বে ইহা ছিলো ভয়ংকর স্তরে; বাংলাদেশ হওয়ার পর, আজ অবধি ২ কোটীর বেশী কিশোরীকে চাকরাণী ও ঝি'তে পারিণত করা হয়েছে, এবং আজকেও চলছে। এঁরা সামন্তবাদের সময়ের দাসীর মতোই জীবন যাপন করেছেন; এঁদের সামাজিক অবস্হান নেই, পারিবারিক জীবনও নেই বললেই চলে।
বর্তমানে আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র পরিবারের নারীরা ভয়ংকর সময় অতিক্রম করছেন; দরিদ্র পরিবারের মা'কে সন্তানদের কষ্ট ও গ্লানি বহন করতে হয়; আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র পরিবারের কর্তারা সবচেয়ে কম দায়িত্বশীল ও স্ত্রী নির্যাতনে দক্ষ। ল্যাটিন আমেরিকায়, কিছু কিছু দেশে চার্চগুলো দরিদ্র নারী ও পিতৃহীন পরিবারগুলোকে সাহায্য করে। কিন্তু এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশ সমুহে মসজিদ, বা মুসলিমদের এই ধরণের সাহায্যের কোন ব্যবস্হা নেই। এই এলাকাতেও চার্চগুলো কিছুটা সাহায্য করে। বর্তমান বিশ্বে ইহুদী নারীরা বেশ ভালো পরিবেশে আছেন, তাদের মাঝে দারিদ্রতা নেই বললেই চলে, এরা শিক্ষায় সবার চেয়ে সামনে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:১৬