করোণা ভাইরাস থেকে মৃত্যু ও সংক্রমণের যেই ডাটা চীনারা বিশ্বকে দিচ্ছে, উহা সত্য বলে বিশ্বাস করলে নাস্তিকেরও পাপ হবে; চীনে মৃত ও সংক্রমণের সঠিক সংখ্যা কতো, হয়তো শীং জি পিংও কোনদিন জানতে পারবে না; উহাকেও নীচের লেভেলের নেতারা সঠিক ডাটা জানতে দেবে না কোনভাবেই। ফরলামিন দেয়া মাছ, মাংস যখন পঁচে যায়, অবশ্যই উহা তাজা সাপের মাংস, কিংবা বাদুরের তাজা মাংস থেকে হাজার গুণে ভয়ংকর; এই কারণে, বাংলাদেশে নতুন নতুন ভাইরাসের জন্ম না হয়ে, চীনে বারবার নতুন ভাইরাসের জন্ম নেয়াটা সন্দেহের সৃষ্টি করছে: উহা কি ল্যাব থেকে, পশুপাখী হয়ে, সর্বভুক চীনাদের শরীরে ঢুকছে?
আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ইরান, ইসরেয়েল, ভারত বাইওলোজিক্যাল অস্ত্রের অধিকারী; এরা নতুন নতুন জীবাণু নিয়ে কাজ করছে ল্যাবে। আমেরিাকনরা ধুর্ত, উহারা এসব পরীক্ষা নিজ দেশে করছে, নাকি আফ্রিকায় করছে কে জানে! তবে, চীনারা নিজ দেশে পশুপাখী,এমনকি নিজের মানুষের উপরও পরীক্ষা চালাতে পারে; উহারা এই রকম ভয়ংকর জাতি; ইসোয়েলীরা ভারতকে এইসবের ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করছে, মনে হয়।
করোণার চালচলন, আচরণ ইত্যাদি এখনো অনেকটা অজানা; তবে, বুঝা যাচ্ছে যে, অনেকের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে, নিমোনিয়া। শীতকালীন সময়ে অনেক ভাইরাসই বয়স্কদের শরীরে নিমোনিয়াকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসে; নিমোনিয়া বসন্তকাল ও গ্রীস্মকে পছন্দ করে না তেমন। ফলে, মনে হচ্ছে, ঢাকায় যদি আপনারা ইতিমধ্যে ঋতুরাজের আগমণী গান শোনেন, ইহা বাংগালীদের জন্য সুখবর। ব্লগার নুরু সাহেব হয়তো এখনো শীতের পিঠা খাওয়ার সুযোগ পাননি; কিন্তু এবার শীত আগে চলে গেলেই ভালো হবে, নুরু সাহেব পিঠা খেতে পারবেন আগামী বছর।
সেদিন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্হ্য বিভাগের খুবই উঁচু পদের এক মহিলা পরিচালিকা (নামের শেষ অংশ 'ফ্লোরা' ছিল, মনে হয়) ডয়েসে বেলের কাছে ইন্টারভিউ দিয়েছেন; উনি যেসব পদক্ষেপের কথা বলেছেন, সেগুলোকে বাচ্চাদের বালি দিয়ে পিকনিক পিকনিক খেলার মতো স্তরের মনে হলো; উনি কি বলছেন নিজেও জানেন না; বুঝা যাচ্ছিলো যে, গাভী নেই, উনি দুধ বিক্রয় কেন্দ্র খুলে বসেছেন। ডেংগু থেকে এসব মানুষ কিছুই শিখেনি ।
বাংলাদেশের জন্য ভাবনার বিষয় হলো, আমাদের ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের লোকেরা ভয়ে রোগীদের ঠিক মতো পরিচর্যা নাও করতে পারে; এদের উপর আস্হা রাখা ভয়ংকর রিস্কি ব্যাপার। তারচেয়ে ভালো হবে, প্রকৃতির উপর নির্ভর করা: কোকিল যদি এখনো প্রস্তুত না থাকে, পলাশের কুঁড়ি যদি এখনো জেগে না উঠে অসুবিধা নেই; ঋতুরাজ বসন্ত, তুমি একাই ঢাকা চলে এসো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৬