আমেরিকান সরকার, সিনেট, কংগ্রেস, গভর্ণরগুলো ও সিডিসি নিজেদেরকে ইডিয়ট হিসেবে প্রমাণ করেছে; তারা চীনে করোনা ভাইরাসের ভয়ংকর সংক্রমণের কথা ৩ মাস আগে জানার পরও, কোনভাবেই প্রস্তুতি নেয়নি; গত ২ সপ্তাহের মাঝেই আমেরিকার করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লাখ পেরিয়ে হয়ে গেছে, মৃতের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশী; এবং আগামী কয়েক সপ্তাহ ইহা বাড়তেই থাকবে। অনেক হাসপাতালে দরকারী পরিমাণ মেডিক্যাল মাস্ক, প্রটেকটিভ গিয়ার নেই, বলছে হাসপাতালের লোকজন; বিশেষ করে, সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্র 'ভেনটিলেটর' পরিমাণ মতো নেই। হাসপাতালের কর্মীরা একই মাস্ক বারবার ব্যবহার করছে।
আমেরিকা বাংলাদেশকেও অনুরোধ করেছে, এই মহুর্তে যদি অব্যবহৃত ভেনটিলেটর থাকে, তাদেরকে সাময়িকভাবে দিতে। আমেরিকার ক্যাপাসিটি আছে, এরা তৈরি করে ফেলবে; ৪/৫টি কোম্পানীকে জরুরী ভিত্তিতে তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। এখনো ভেনটিলেটরের অভাবে কেহ প্রাণ হারায়নি এই দেশে; ভয় পাচ্ছে, আগামী ২/৩ সপ্তাহের মাঝে টানাটানি হতে পারে।
আজকে ৩ সপ্তাহ প্রেসিডেন্ট প্রতিদিন নিউজ ব্রিফিং'এ উপস্হিত থেকে সব জানাচ্ছে, সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে, বলছে সবই আছে; কিন্তু অনেক হাসপাতাল প্রয়োজনীয় পরিমাণ সরন্জাম পাচ্ছে না।
আমেরিকা, বৃটেন, ইতালী, স্পেন বিশ্বের অনেক দেশের কাছে ভেনটিলেটর ও মেডিক্যাল সরন্জাম চাচ্ছে; কিন্তু যারা এগুলো প্রস্তত করতে জানে, তারা প্রায় সবাই লকডাউনে আছে। অনেক জাতি এগুলোর উৎপাদন বন্ধ করে, পুরো ব্যবসা চীনের হাতে ছেড়ে দিয়ে বসে আছে; এটাই ক্যাপিটেলিজমের উৎপাদন ব্যবস্হার একটি বড় বৈশিষ্ঠ্য।
আমাদের জাতি ভেনটিলেটর বানাতে জানে না, মেডিক্যাল মাস্ক বানাতে জানে না, মেডিক্যাল সরন্জাম বানাতে জানে না; ফলে, স্পেন, ইতালী, বৃটেনের থেকে টেলিফোন পাবার পর, ইডিয়টের মতো বলতে হয়েছে, আমাদের কাছে কিছুই নেই, আমরা এগুলো বানাতেও জানি না। আমরা যদি এগুলো বানাতে জানতাম, আমরা জরুরী ভিত্তিতে কিছু হলেও তৈরি করার চেষ্টা করলে, বিশ্বের কারো না কারো প্রান বাঁচানোর কাজে লাগতো।
জাতির শুরু থেকে আমাদের সরকারগুলো ভিক্ষাকেই জীবিকা হিসেবে নিয়েছিলো, জাতিকে কখনো কাজে লাগায়নি; সরকার প্রধান ও ব্যুরোক্রেটরা বিদেশে গিয়ে ভিক্ষা শুরু করেছিলো ১৯৭২ সাল থেকেই, এবং সেই ভিক্ষাকে লুটপাট করে, খেয়েদেয়ে ভালো থেকেছে। কোনদিন মানুষকে শিক্ষিত করেনি, প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল শিক্ষা দেয়নি, সস্তা শ্রমিকের নামে দাস ব্যবসা করে চলেছে; পুরুষ বিক্রয় করেছে, এখন গরীব নারীদেরও বিক্রয় করছে।
জাতি আজীবন আমেরিকা ও ব্রিটিশের কাছে হাত পেতেছে; ইতালী গেছে বাংগালীরা নৌকায় করে; ড: ইউনুস স্পেনের রাণী থেকে ৫৫ মিলিয়ন ডলার বিনা সুদে এনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছিলেন; আজকে ওরা সাহায্য চেয়েছে, জাতি সেই পুরানো ভিক্ষুকের মতো নীচের দিকে চেয়ে অব্যাহতি পেয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫