ইউরোপ, জাপান, কানাডা, আমেরিকা সব সময় বাংলাদেশের বেলায় উৎসাহী ছিলো; কিন্তু বাংলাদেশের মিলিটারী সরকারগুলো ইউরোপকে হতাশ করেছে; এখন শেখ হাসিনার অপরিচ্ছন্ন সরকারের কারণে ই্উরোপ, কানাডা, জাপান বাংলাদেশকে নিয়ে কিছুটা হতাশ। ইউরোপ আমেরিকা এই ধরণের অপরিচ্ছন্ন সরকার নিয়ে বেশী কথা বলছে না, তারা মনে করছে, শেখ হাসিনা হয়তো এইভাবেই উগ্রপন্হি ও সামরিক সরকারের সাপোর্টারদের ক্ষমতা থেকে দুরে রাখছে। কিন্তু শুধু উগ্রপন্হীদের ক্ষমতা থেকে দুরে রাখার জন্য অস্বাভাবিক নির্বাচন করার ফলে, জাতি বিভ্রান্ত ও হতাশ হয়ে এনার্খীতে ভোগার শুরু করছে, দেশের সমুহ ক্ষতি হচ্ছে, আরো হবে।
পুরোপুরি সঠিকভাবে নির্বাচন করে জামাত ও বিএনপি'র ক্ষতিকর নেতাগুলোকে ক্ষমতা থেকে দুরে রাখা সম্ভব। জামাত আসলে প্রজাতন্ত্র ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না; তারা নিজ দলের বাহিরে, দেশের নাগরিকদেরও পছন্দ করে না; এবং বর্তমান বাংলাদেশে তারা কোন শক্তি নয়; কিন্তু তারা অন্যদের সাথে মিশে জাতির ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে; তাদের দমিয়ে রাখার জন্য এমন কোন ব্যবস্হা নেয়ার দরকার নেই, যা জাতির মুল অংশের স্বার্থহানী করে। বিএনপি বর্তমানে মৃত ঘোড়া, তাদের মুলশক্তি ছিলো ক্যান্টনমেন্ট; ক্যান্টনমেন্ট নেই, তারা মৃত ড্রাকুলা।
বার্মার যেই পরিমাণ সম্পদ আছে, ইউরোপ তাদের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করার কথা; কিন্তু ইউরোপিয়ানরা বার্মার সাথে ঘনিষ্ট নয়; এর মুল কারণ মিলিটারী; দেশে ১৯৬২ সালের পর, অনেক বছর সঠিকভাবে নির্বাচন হয়নি, সরকারগুলো ছিলো অপরিচ্ছন্ন; বার্মার ব্যাপারে একমাত্র চীন ব্যতিত কেহ উৎসাহী নয়। চীন সরকার নিজ দেশের মানুষকে অনেকটা দরকারী সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করে, মানুষ হিসেবে নয়; বার্মার বেলায়ও তাদের মনোভাব একই; সেজন্য তারা বার্মার মিলিটারীকে পকেটে নিয়ে, বার্মার মানুষদের নিজ দেশে দাসে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
শেখ হাসিনা যেইভাবে কৌশল প্রয়োগ করে নির্বাচন করছেন, ইহা সঠিক নয়; স্বাধীনতার পক্ষের লোকেরা জামাত-বিএনপিকে ক্ষমতার বাহিরে রাখার জন্য এই ধরণের নির্বাচন নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেন না; কিন্তু আসলে, এই ধরণের অপরিচ্ছন্ন নির্বাচন ও সরকার থেকে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইঁদুরের ভয়ে ধানের চাষ বন্ধ করলে চাষীর পরিবারই উপোষ থাকবে একদিন; ইঁদুরকে ধান থেকে দুরে রাখার জন্য অনেক পন্হা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭