কোন সৈনিক যুদ্ধ চাহে না; আজকের সভ্যতায় যুদ্ধা লাগায় রাজনীতিবিদরা, আগে লাগাতো রাজ, উজির ও সেনাপতিরা; যুদ্ধে, নিজের দেশ রক্ষায় সৈনিকদের প্রাণ যায়, অন্যের দেশ আক্রমণ করলে সৈনিকদের প্রাণ যায়; যুদ্ধের রেজাল্ট যাই হোক না কেন, প্রাণ যাবে সৈনিকের; তাই, সৈনিককে নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য সবই করতে হবে। সৈনিকেরা অন্য পক্ষের সৈন্যদের বাগে পেলেই কি হত্যা করে? আসলে, তা ঠিক নয়, সৈন্যেরা অন্য পক্ষের সৈন্যদের অকারণে হত্যা করে না, তারা তাদের পরাজিত করার চেষ্টা করে, বন্দী করার চেষ্টা করে। কখন তারা হত্যায় মেতে উঠে? যখন তারা মগজ হারায়।
পিলখানায় একদিনে ৫৭ জন অফিসার প্রাণ হারায়েছিলেন; সামান্য পরিমাণ অফিসার রক্ষা পেয়েছিলেন। ঘটনার দিনের আগের রাতেই কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছিলো, সেগুলোকে বিবেচনায় নিলে, ২৫ ফেব্রুয়ারীর মিটিং অবশ্য স্হগিত করার দরকার ছিলো। অফিসার হিসেবে, নিজের সৈনিকদের বুঝতে হবে: তাদের আচরণ, তাদের চলাফেরা, তাদের মাঝে কোন পরিবর্তন দেখলে, সেটাকে সাথে সাথে এনালাইসিস করে কারণ ও সম্ভাব্য পরিস্হিতির জন্য ব্যবস্হা নেয়ার দরকার হয়।
ততকালীন বিডিআর'এর মিটিং'এ কেহ অস্ত্র সাথে নেয়ার নিয়ম ছিলো না; কিন্তু অফিসারদের অফিসে অস্ত্র রাখার ব্যাপারে কোন নিয়ম ছিলো না; আগের রাতের ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার জন্য পিলখানার ভেতরের ক্লাব (?) ঘরে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র রাখার দরকার ছিলো।
মিটিং ভেংগে যাবার পরপরই অফিসারদের উচিত ছিলো নিকটবর্তী গেইট দিয়ে পিলখানা থেকে বের হয়ে যাওয়া। গেইটের প্রহরীরা যদি বের হতে বাধা দিতো, তাদের ১/২ জনকে ওভার-পাওয়ার করা কোন সমস্যা হওয়ার কথা ছিলো না।
মিটিং শুরু হওয়ার আগেই, সৈনিকদের অস্ত্রাগার অফিসারদের কন্ট্রোলে রাখার দরকার ছিলো। অফিসারদের ফোন পাবার সাথে সাথে সেনাপ্রধানের উচিত ছিলো হেলিকপ্টারে করে পিলখানার ভেতরে অবতরণ করা, কিংবা দেয়ালের বাহিরে অবতরণ করা; দরকার হলে, হেলিকপ্টার থেকে, অফিসারদের অবস্হানের নিকটবর্তী গেইট, কিংবা দেয়াল ভেংগে দেয়ার।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫