somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৈনিকদের জন্য সবচেয়ে বড় ট্রেনিং, নিজের প্রাণ রক্ষা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কোন সৈনিক যুদ্ধ চাহে না; আজকের সভ্যতায় যুদ্ধা লাগায় রাজনীতিবিদরা, আগে লাগাতো রাজ, উজির ও সেনাপতিরা; যুদ্ধে, নিজের দেশ রক্ষায় সৈনিকদের প্রাণ যায়, অন্যের দেশ আক্রমণ করলে সৈনিকদের প্রাণ যায়; যুদ্ধের রেজাল্ট যাই হোক না কেন, প্রাণ যাবে সৈনিকের; তাই, সৈনিককে নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য সবই করতে হবে। সৈনিকেরা অন্য পক্ষের সৈন্যদের বাগে পেলেই কি হত্যা করে? আসলে, তা ঠিক নয়, সৈন্যেরা অন্য পক্ষের সৈন্যদের অকারণে হত্যা করে না, তারা তাদের পরাজিত করার চেষ্টা করে, বন্দী করার চেষ্টা করে। কখন তারা হত্যায় মেতে উঠে? যখন তারা মগজ হারায়।

পিলখানায় একদিনে ৫৭ জন অফিসার প্রাণ হারায়েছিলেন; সামান্য পরিমাণ অফিসার রক্ষা পেয়েছিলেন। ঘটনার দিনের আগের রাতেই কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছিলো, সেগুলোকে বিবেচনায় নিলে, ২৫ ফেব্রুয়ারীর মিটিং অবশ্য স্হগিত করার দরকার ছিলো। অফিসার হিসেবে, নিজের সৈনিকদের বুঝতে হবে: তাদের আচরণ, তাদের চলাফেরা, তাদের মাঝে কোন পরিবর্তন দেখলে, সেটাকে সাথে সাথে এনালাইসিস করে কারণ ও সম্ভাব্য পরিস্হিতির জন্য ব্যবস্হা নেয়ার দরকার হয়।

ততকালীন বিডিআর'এর মিটিং'এ কেহ অস্ত্র সাথে নেয়ার নিয়ম ছিলো না; কিন্তু অফিসারদের অফিসে অস্ত্র রাখার ব্যাপারে কোন নিয়ম ছিলো না; আগের রাতের ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার জন্য পিলখানার ভেতরের ক্লাব (?) ঘরে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র রাখার দরকার ছিলো।

মিটিং ভেংগে যাবার পরপরই অফিসারদের উচিত ছিলো নিকটবর্তী গেইট দিয়ে পিলখানা থেকে বের হয়ে যাওয়া। গেইটের প্রহরীরা যদি বের হতে বাধা দিতো, তাদের ১/২ জনকে ওভার-পাওয়ার করা কোন সমস্যা হওয়ার কথা ছিলো না।

মিটিং শুরু হওয়ার আগেই, সৈনিকদের অস্ত্রাগার অফিসারদের কন্ট্রোলে রাখার দরকার ছিলো। অফিসারদের ফোন পাবার সাথে সাথে সেনাপ্রধানের উচিত ছিলো হেলিকপ্টারে করে পিলখানার ভেতরে অবতরণ করা, কিংবা দেয়ালের বাহিরে অবতরণ করা; দরকার হলে, হেলিকপ্টার থেকে, অফিসারদের অবস্হানের নিকটবর্তী গেইট, কিংবা দেয়াল ভেংগে দেয়ার।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৫
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×