২ দিন আগে (২/২৪/২১ ) সামুতে ব্লগার 'রেজা ঘটক'এর একটা পোষ্ট ছিলো, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, চাকুরীর লিখিত পরীক্ষায় খুব ভালো করেও তিনি ভাইবায় বাদ পড়ে যান; ভাইভাতে মুল সমস্যা ছিলো, ভাইভা চলাকালীন সময়ে, ভাইভা-বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজের গেষ্টদের সাথে ব্যস্ত ছিলেন। ভাইভা-বোর্ডের চেয়ারম্যান ভয়ংকর অন্যায় করেছে, লোকটা আরেকজন নাগরিকের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে; অনেক বড় পদে থেকেও নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে লোকটা জানতেন না। এই লোকটা তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর ছিলেন; এর আগে তিনি সোনালী, রূপলাী, ভুপালী, ইত্যাদির চেয়ারম্যান মেয়ারম্যান ছিলেন। এটা একটি ভয়ংকর দায়িত্বহীনতার ছোট উদাহরণ।
আজকের সভ্যতায়, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক নিজ যোগ্যতানুসারে একটা চাকুরী পাবার অধিকার রাখে; ইহা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মাঝে ২য় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়, ১ম গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো নাগরিকের শিক্ষা পাবার অধিকার। সরকারে ও প্রশাসনে থাকা বাংগালীরা হাজার ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থেকেন, হাজার বিষয়ে কথা বলেন; কিন্তু নাগরিকের মুল অধিকারগুলো নিয়ে কখনো কথা বলেন না; চাকুরীসৃষ্টি শব্দটা উচ্চারণও করেন না।
সংবাদে দেখলাম, আগামীকাল আমাদের প্রাইম মিনিষ্টার সংবাদ সন্মেলেন করে, বাংলাদেশের ' ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল' দেশে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলবেন। এটি একটি গুরত্বপুর্ণ বিষয়, জাতির এই বিষয়গুলো জানার দরকার, ব্লগারদেরও জানার দরকার।
আমি এই ছোট পোষ্টটা লিখছি, একটা বিষয় সিউর করতে যে, প্রাইম মিনিষ্টার এই বিষয়ের উপর অনেক ক্থা বলবেন; কিন্তু সবচেয়ে দরকারী কথাটা বলবেন না, সেটা হলো, "প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক বাংগালীর চাকুরী পাওয়াটা মৌলিক অধিকার, আমি সেটার ব্যবস্হা করার জন্য সর্বাধিক চেষ্টা করবো"।
উনি সাংবাদিক সন্মলনে অনেক কথা বলবেন, অনেক উন্নয়নের কথা বলবেন, বিপক্ষ দলগুলোর দোষ দেবেন, করোনার দোষ দেবেন; কিন্তু সবচেয়ে দরকারী কথাটা বলবেন না; এবং শ্রোতারাও সেই দরকারী বিষয়টা উনার থেকে শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন না।
স্বল্পোন্নয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল' দেশে পরিণত হওয়ার জন্য আজকের বিশ্বে ২টি বিষয় হলো মুল শক্তি: দক্ষ জনশক্তি ও চাকুরী সৃষ্টি। গত ৫০ বছরে বিশ্বে বিশাল উন্নয়ন ঘটলেও, বিশ্বে স্বল্পোন্নয়ন দেশ ক্রমেই বেড়েছে। বার্ষিক চাকুরী সৃষ্টির গড় পরিমাণ, মিমিমাম বেতন ও বেকারত্বের হার থেকে ১ জন বেকুবও বলতে পারে দেশের ষ্টেটাস কি!
একজন চাকুরী পাবার পর, তার দায়িত্ব হলো অন্যজনের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করা, এটা হলো উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় শর্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২১