**** কমেন্ট ব্যানে আছি, আপনাদর পোষ্টে কমেন্ট করতে পারছি না
ভারতে বিদেশী সাহায্য আসার শুরু করেছে; সবার আগে সাহায্য এসেছে ইসরায়েল থেকে; লিষ্টে কি কি আছে আমি জানিনা; একটা বিষয় পরিস্কার যে, কোন ভলনটিয়ার ডাক্তার বা নার্স পাঠাতে পারেনি ইসরায়েল। ইসরালের জনসংখ্যা হচ্ছে ৮৭ লাখ, এদিকে একা দিল্লী শহরে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৮৭ লাখের কাছাকাছি হয়ে যাবে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে; দিল্লীর জনসংখ্যা সাড়ে ৩ কোটী। আমেরিকা, ফ্রান্স ও বৃটেন সাহায্য পাঠিয়েছে, আরো পাঠাবার কথা বলছে; বৃটেনের সাহায্যের প্যাকেটে আছে ১০০টি ভেন্টিলেটর; বুঝতে পারছেন, বিশ্বের অবস্হা কি? ব্রুকলীনের মাইমনডিস সাধারণ হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ২৫৩টি ।
ফ্রান্স বহনযোগ্য অক্সিজেন জেনারেটর পাঠায়েছে কয়েকটা; এগুলো মিলিটারীতে ব্যহারের জন্য তৈরি, হাসপাতালে প্লাগ-ইন করে ব্যবহার করার মতো। এদিকে ভারত হচ্ছে বিশ্বের বড় অক্সিজেন রপ্তানীকারক একটি দেশ।
চীন ভারতের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে, অনুমতি পেলে সাহায্য পাঠাবে। ঢাকা চুপচাপ, কিছু বলছে না, আমরা সবাই জানি ঢাকা কেন চুপচাপ আছে; ইহা কষ্টকর পরিস্হিতি, এই অবস্হার মাঝে থাকা ঠিক নয়। আমেরিকা নিজেদের অর্ডার থেকে এষ্ট্রোজেনিকার টিকা পাঠাবে; বৃটেন পাঠাচ্ছে ৩০ হাজার ডোজ!
ভারত সাহায্য পাচ্ছে, কিন্তু ব্রাজিল কোন রকম সাহায্য পাচ্ছে না; ইহার কারণ কি? একটা কারণ হতে পারে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ইমেজ, লোকটা মাস্ক পরেনি, এবং করোনায় ভুগেছিলো; ব্রাজিলের দরিদ্র মানুষগুলো বিশ্বের দয়া থেকে বন্ছিত হয়েছে!
আফ্রিকার কোন দেশ আমেরিকার সাহায্য পাচ্ছেনা, এবং বিশ্ব এই ব্যাপারে চুপ। ভারতের ক্রাইসিস পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা আমরিকা, কানাডা ও ইউরোপের কাছে টিকা চেয়েছে। কানাডার কাছে দরকারের বাহিরে কোন টিকা আছে কিনা বলা মুশকিল।
মহামারীতে বিশ্বের অবস্হা কিছুটা আঁচ করা যাচ্ছে; বাংলাদেশ বিপদে পড়লে সাহায্য পাবার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ; আশাকরি, আমাদের সরকারের লোকের ভারতের বর্তামান অবস্হা ও ভারতের জন্য বিশ্বের সাহায্য লিষ্ট দেখতে পাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪৭