যেসব মানুষের আজকের খাবার নেই, আজকে চিকিৎসকের কাছে যাবার বা ঔষধ কেনার টাকা নেই, আজকে চাকুরী নেই, আজকে ঘরভাড়া দেয়ার টাকা নেই, এরা হলেন হত-দরিদ্র মানুষ; গত ১ বছরে, করোনার ফলে, বিশ্বে ১৫ কোটী মানুষ নতুন করে হত-দরিদ্রদের লেভেলে চলে গেছেন; ২০২১'এর শেষে, এদের সংখ্যা হবে ২৩/২৪ কোটী। বিশ্ব ব্যাপী, আয় কমে গেছে শতকরা ৪৫ ভাগ পরিবারের; আয় বেড়েছে শতকরা ১২ ভাগ পরিবারের।
উহানে করোনার উদ্ভব নিয়ে চীনের বক্তব্য পরিস্কার নয়; চীন প্রথমে বলেছিলো যে, ইহার উদ্ভব প্রকৃতি থেকে, কিন্তু সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে, ইহা অন্য কোন দেশ থেকে চীনে এসেছিলো; পশ্চিম বলছে, উহা চীনের ল্যাব থেকে বের হয়েছে। যেভাবে ইহার শুরু হোক না কেন, চীন জেনেশুনে ইহাকে বিশ্বে ছড়ায়ে দিয়েছে। চীন বুঝার আগে যেই পরিমাণ ছড়ায়েছিলো, চীন যদি ইউরোপ ও আমেরিকাকে সময় মতো তথ্য দিয়ে এসব দেশের সাথে কাজ করতো, ইহাকে গত বছর জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারীতে থামানো যেতো; চীন প্ল্যান করে ইহা সম্পর্কে বিশ্বকে জানায়নি।
চীন সরকার যেভাবে দেশকে কন্ট্রোল করে, আমেরিকা ও ইউরোপের পক্ষে বর্তমান অবস্হায় সেইরূপ কোন কিছু কল্পনা করাও কঠিন। এখন আমেরিকায় শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ ও জার্মানীতে শতকরা ১৫ ভাগ মানুষ টিকা নেবে না; চীনে টিকা দেয়ার সময় নেবে কি নেবে না, সেই রকম প্রশ্ন কাউকে করা হয় না; লিষ্টে নাম আসছে, লাইনে দাঁড়াতে হবে, টিকা নিয়ে চলে যাবে।
চীনে কারো চাকুরী যায়নি, গত মে' মাস থেকে পুরো চীন কাজ করছে; করোনার ফলে আজকে আমেরিকায় ২৫ মিলিয়ন বেকার, ভারতে চাকুরী হারায়েছে ১৯ মিলিয়ন মানুষ; ভারতের অস্হায়ী চাকুরীর শতকরা ৫০ ভাগ মানুষের আয়ের পথ এখনো বন্ধ। আফ্রিকার চাকুরীর খবর বিশ্ব কখনো জানে না, তাদের চাকুরী ছিলো না; ফলে,খুব একটা হারায়নি। বাংলাদেশের অবস্হা আপনারা দেখছেন।
১০২১'এর শেষের দিকে আমেরিকান অর্থনীতি ফিরে আসার শুরু করবে; কিন্তু চাকুরীর পরিমাণ আগের অবস্হায় ফিরে যাবে না; করোনার আগে বেকারত্বের হার ছিলো শতকরা ৩.৫ জন, এখন শতকরা ৯ জন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩৯