ইসরায়েলের নতুন সরকার এখনো গঠিত হয়নি, কোয়ালিশ গঠন হয়েছে; সরকার গঠন করতে ৬১ জন এমপি দরকার, ইয়াইর ল্যাপিদ ৬১ জন এমপি নতুন ইউনিটি সরকারের পক্ষে যোগাড় করেছেন; একটু এদিক ওদিক হলে, উহা শেষ। যেই নেতাটা সবচেয়ে বেশী চাপে আছে, সেজন হলেন, মনসুর আব্বাস, ইসরায়েলের মুসলিম নাগরিকদের দলের নেতা; কোয়ালিশনে উনার ৪ জন এমপি আছেন।
কোয়ালিশনে যোগ দেয়ায়, হামাসের পক্ষ থেকে মনসুর আব্বাসকে "বিশ্বাসঘাতক" ডাকা হয়েছে; এই হলো হামাসদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা! হামাসের এই ধরণের মনোভাবের কারণে যদি ১ জন এমপিও মনসুর আব্বাসের দল থেকে সরে যায়, পুরো কোয়ালিশন শেষ। ইসরায়েলের মুসলমানদের এই প্রথমবারের মতো কোন কোয়ালিশনে নেয়া হলো; এটি ইসরায়েলের মুসলমানদের জন্য ও ফিলিস্তিনের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ ঘটনা।
ইসরায়েলের মুসলিম এলাকাগুলোর উন্নয়ন হয়নি; প্রথমত: মুসলিম এলাকায় সব সময় মুসলিম রিপ্রেজেন্টেটিভ থাকে, এরা ইহুদীদের মতো দক্ষ ও সৎ নয়; ২য় কারণ হলো, বেদুইনরা তাদের আগের ট্রেডিশন ছেড়ে আধুনিক জীবনে প্রবেশ করতে চাহে না; ইহুদীরা বারবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি; বেদুইনরা কোর্টে গিয়ে ইহুদী এডমিনিষ্ট্রেটরদের বিপক্ষে তাদের ট্রেডিশন ও সংস্কৃতি বিনাশের প্রচেষ্টা বন্ধের জন্য মামলা করেছে।
কোয়ালিশনে অংশ নেয়ার শর্ত হিসেবে মনসুর আব্বাস ১৬ বিলিয়ন ডলারের বাজেট চেয়েছে মুসলিম এলাকার জন্য, কোয়ালিশন তাতে একমত হয়েছে। মনসুর আব্বাস অন্য আরবদের মতো, ওরা নিজ গোত্রের কাছে বিশ্বাঘাতক হতে চাহে না; সে যদি বেরিয়ে যায়, কোয়ালিশন শেষ, ১৬ বিলিয়ন ডলার শেষ।
নাফতালি বেনেট ভয়ানক লোক, সে ধর্মীয়ভাবে বিশ্বাস করে যে, সিনাই থেকে গোলান ও জর্ডান অবধি ইহুদীদের যায়গা, এখানে অন্য কোন জাতির থাকার অধিকার নেই। সে নাতানিয়াহু থেকে আরো উগ্র হওয়ায়, সে লিকুদ থেকে বেরিয়ে এসেছিলো; তার বক্তব্য ছিলো, নাতানিয়াহু আরবদের লালন পালন করছে, সে সারা ফিলিস্তিনে নতুন ইহুদী সেটেলমেন্টের পক্ষে। এই ভয়ংকর লোককে কিছুটা থামাতে মনসুর আব্বাস কিছুটা সুযোগ পেয়েছে; এখন হামাস মনসুর আব্বাসকে বিশ্বাসঘাতক ডাকছে; হামাস ফিলিস্তিনীদের স্বার্থ-বিরোধী কাজ করে চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩২