পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, টিকা আসছে: রাশিয়া, চীন, আমেরিকা থেকে টিকা আসতেছে, সব চুড়ান্ত; বাকী আছে জার্মানী ও ফ্রান্স থেকে আসা; অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, মাথাপিছু ৩/৪টা টিকা দেয়াও সম্ভব হবে; ২ হাতে ২ টিকা, পেছনের দিকে ২ টিকা; করোনা তো করোনা, করোনার বাবা, নিমোনিয়াও পালিয়ে যাবে; হয়তো, আমাদের টিকার ঠেলায় ত্রিপুরা, পাশ্চিম বাংলা ও আসাম থেকেও করোনা পালাবে। শুধু সমস্যা হচ্ছে এক যায়গায়, যিনি এগুলো বলছেন, উনি আমাদের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ভাই; আসলে, ইহা একটু বড় ধরণের সমস্যা, এরা মোটামুটি বকবক; এবং এরা ২ বছরেও টিকা দিয়ে শেষ করতে পারবে না। প্রথমে যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের সাইকেল ঘুরে আসবে, তখনো দেশের ৫০ ভাগ মানুষ টিকা পাবেন না।
টিকা কি রওয়ানা দিয়েছেন, পায়ে হেঁটে নাকি গরুগাড়ীতে, নাকি বাসে, নাকি উড়োজাহাজে আসছেন; এবং সংখ্যায় কি পরিমাণ, দাম কত, সেটা কেহ জানে না; নিশ্চয় মন্ত্রীও জানে না, আসলে উহা জানা হয়তো সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। উহা কখন এসে পৌঁচাবে, সেটাও কেহ জানে না। মন্ত্রী বলেছেন, সব চুড়ান্ত, সবকিছু সব সময় চুড়ান্ত হয়েই থাকে!
ক্রেতা হলো বাংলাদেশ, সাপ্লায়ার ছিলো ভারত, সবকিছু ছিলো চুড়ান্ত; কাজ হয়নি, টিকা আসতে পারেনি, টিকা কাঁটাতার পার হতে পারেনি। এই কাঁটাতারের সমস্যা সম্পর্কে কেহ আগে বলেননি; কাঁটাতারের সমস্যা দেশের মানুষকে জানালে, পেনসিডিল স্পেশালিষ্টরা উহাকে কাঁটাতার পার করে দিতো। সবচয়ে বড় কথা, এই মন্ত্রীকে আমেরিকা থেকে ইমপোর্ট করায় উনি আমাদের সাপ্লাই চেইনের বড় সাপ্লায়ার, নারায়নগন্জের ধোলই খাল চিনেন না; ধোলাই খালের এক্সপোর্ট জোনে অর্ডার দিলে, তারা আমাদের টিকা দিয়ে, রোহিংগাদের টিকা দিয়ে, দিল্লীতেও পাঠাতে পারতো।
যারা ১ ডোজ দিয়েছে, তারা নাকি ২য় ডোজের জন্য বসে আছে? আরে মিয়া, ২ ডোজ হলো সাদা চামড়ার লোকদের জন্য, উহারা ভিটামিন-ডি ও ফরমালিন পায় না, তাই ডোজ একটু বেশী লাগে, আমাদের ১ ডোজেই কাম শেষ। টিকার সাথে দুপুর বেলার কড়া ভিটামিন-ডি ও ফরমালিন মিশে ডোজ বড় হয়ে যাবে, এক ডোজেই কর্ম সাবাড়!
মন্ত্রী যেইভাবে সবকিছু চুড়ান্ত করেছেন, সেই পরিমাণ টিকা এসে গেলে, টিকা না পেয়ে, আগে যারা মারা গেছেন, তাদের নামে টিকা সংরক্ষণ করে স্মৃতিসৌধ গড়ে রাখা হবে, জাতি বলতে পারবে যে, সবার জন্য টিকার ব্যবস্হা করা হয়েছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫