somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একাত্তরের উত্তাল মার্চের ছাব্বিশটি দিন (২য় পর্ব)

২৫ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১১ মার্চ ’৭১, রৃহস্পতিবার
বরিশাল কারাগার থেকে ৪০ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। সংঘর্ষে ২ জন কয়েদি নিহত এবং ১০ জন আহত হয়। কুমিল্লা কারাগার থেকে কয়েদিদের পলায়ন এবং গুলিতে ৩ জন নিহত। নারায়নগঞ্জে সিনেমা হলে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি পরিবেশিত হয়। টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানী এক বিশাল জনসভায় বলেন, স্বাধীনতা ছাড়া আপোষের আর কোনো পথ খোলা নাই।
স্বাধীন বাংল্ াছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতা এক যুক্ত বিৃবতিতে বাংলাদেশের জনগণকে পাক-সরকার প্রদত্ত যাবতীয় খতাব ও পদক বর্জনের আহ্বান করেন। একইসঙ্গে তাঁরা কতিপয় ব্যাংকের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানে অর্থ পাচারের অভিযোগ উত্থাপন করেন। এই দিন সিএসপি ও ইপিসিএস সমিতির পদস্থ বাঙালি সরকারি কর্মচারীরা শেখ মুজিবের আহ্বানে আওয়ামী লীগের তহবিলে তাঁদের ১ দিনের বেতন প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে ন্যাপ বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মোজাফ্ফর আহমেদ ও ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের সহকারি আবাসিক প্রতিনিধি মিস্টার উল্ফ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
অন্যদিকে, করাচিতে মোহাম্মদ আসগর খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য হাতে আর মাত্র ক’টি দিন আছে; যদি ঢাকায় একটি গুলি চলে কিংবা সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে পাকিস্তান ধ্বংস হয়ে যাবে।’

১২ মার্চ ’৭১, শুক্রবার
স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন, সভা-সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদির মধ্য দিয়ে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত। সারাদেশের সিনেমা হলের মালিকরা চলমান আন্দোলনের সমর্থনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ জহিরুদ্দীন পাকিস্তানী খেতাব বর্জন করেন। পূর্ব রেলওয়ে কর্মচারী এবং চারু ও কারুশিল্পীগণ সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। বগুড়া জেলখানা ভেঙ্গে ২৭ জন কয়েদির পলায়ন এবং গুলিতে কয়েকজন হতাহত। আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এক বিবৃতিতে খাদ্যবোঝাই চট্টগ্রামমুখী মার্কিন জাহাজের গতি পরিবর্তন করে করাচী প্রেরণের ঘটনায় উৎকণ্ঠা ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন। ময়মনসিংহের এক জনসভায় মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবের ওপর আস্থা রাখার জন্য জনগণকে আহ্বান করেন। জাতীয় লীগের আতাউর রহমান খান ও পাঞ্জাবের মুসলিম লীগ নেতা পীর সাইফুদ্দিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মুলতানে পিপিপি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষার জন্য আমার দল সবরকমের সাহায্য করতে প্রস্তত। আমি ক্ষমতালোভী নই।’ রাওয়ালপিন্ডিতে সরকারি ঘোষণায় আগামী ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসের নির্ধারিত সম্মিলিত সশস্ত্রবাহিনীর কুচকাওয়াজ, খেতাব বিতরণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। রেডিও পাকিস্তান করাচি কেন্দ্রের বাংলা খবর পাঠক সরকার কবিরউদ্দিন বঙ্গবন্ধুর খবরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রতিবাদে রেডিও পাকিস্তান বর্জন করেন।

১৩ মার্চ ’৭১, শনিবার
শিল্পাচার্য জয়নল আবেদীন ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাকিম পাক-সরকার প্রদত্ত সকল খেতাব ও পদক বর্জন করেন। চট্টগ্রামে নারীসমাজের সমাবেশে বিলাসদ্রব্য বর্জন ও কালো ব্যাজ ধারনের আহ্বান জানানো হয়। ঢাকাস্থ জাতিসংঘ ও পশ্চিম জার্মানী দূতাবাসের কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারবর্গসহ ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার ২৬৫ জন নাগরিক বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
১১৫ নং সামরিক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে পাক-সরকার প্রতিরক্ষা বাজেট থেকে বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৫ মার্চ সকাল ১০ টার মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং ব্যর্থতায় চাকরি থেকে বহিষ্কারসহ ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের কথা উল্লেখ করা হয়। বঙ্গবন্ধু সামরিক কর্তৃপক্ষেও প্রতি এ ধরনের উস্কানিমূলক তৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক জনসভায় মওলানা ভাসানী বলেন, ভুট্টোর উচিত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করা। আমরা আমাদের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করব।’
জাতীয় পরিষদের সংখ্যালঘিষ্ঠ দলগুলো আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানায়। লাহোরে জামিয়াতুল উলামা-ই-ইসলাম পার্টির নেতা মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ-এঁর সভাপতিত্বে এ সংখ্যালঘু দলগুলোর এক সভায় বঙ্গবন্ধুর ৪ দফার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করা হয়। মুফতি মোহাম্মদ বলেন, পাকিস্তানের নীতিগত ও ব্যবহারিক ধারণার অস্তিত্ব থাকবে না যদি-না পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের ঐক্য থাকে।’ এ সভায় জামিয়াতুল উলামা-ই-ইসলাম ছাড়াও জামাত-ই-ইসলাম, কনভেনশন লীগ, কাউন্সিল লীগ প্রভৃতি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই দিন পাকিস্তানের ন্যাপ নেতা ওয়ালী খান ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুর দাবি সামরিক শাসন প্রত্যাহার ও জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

১৪ মার্চ ’৭১, রোববার
বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ২য় পর্যায়ের অসহযোগ আন্দোলনের আজ শেষ দিন। নতুন বিবৃতির মাধ্যমে তিনি আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য ৩৫টি নির্দেশ জারি করেন। এ নির্দেশের মধ্য দিয়ে তিনি কার্যত বাংলাদেশের প্রশাসনভার গ্রহণ করেন। নিজ বাসভবনে ন্যাপ প্রধান ওয়ালী খানের সঙ্গে রূদ্ধদ্বার বৈঠক। আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এএইচএম কামারুজ্জামান, তাজউদ্দিন আহমদ ও ন্যাপ নেতা গাউস বক্স বেজেঞ্জো।
১১৫ নং সামরিক নির্দেশের প্রতিবাদে দেশরক্ষা বিভাগের বেসামরিক কর্মচারীরা নগরীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিৃবতিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক কর্তৃপক্ষকে অবিবেচক হিসেবে উল্লেখ করে বেসামরিক কর্মচারীদের ভীত-সন্ত্রস্ত করার প্রচেষ্টার নিন্দা করেন এবং সামরিক হুমকির কাছে মাথা নত না করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকায় নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার (অব.) ইমাম হোসেন এক বিৃবতিতে অবিলম্বে বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল অবাঙালি সেনা প্রত্যাহার করে বাঙালি সেনাদের স্থলাভিষিক্ত করার আহ্বান জানান। ঝিনাইদহে কয়েকজন সিএসপি ও পিএসপি কর্মকর্তা প্রয়োজনে দেশের জন্য অস্ত্র ধারণ করার শপথ গ্রহণ করেন। বরিশালে এক জনসভায় আতাউর রহমান খান বঙ্গবন্ধুর প্রতি অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করার আহ্বান জানান। সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকার লালবাগ বালুরমাঠে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের জন্য খাদ্যশস্যবাহী মন্টেসেলো ডিক্টরি জাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে করাচিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, ওসান এগুরাস নামক সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ চট্টগ্রগ্রাম বন্দরে নোঙর করা হয়। ঢাকার দৈনিক পত্রিকাগুলোতে আর সময় নেই’ শিরোনামে এক যৌথ সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে সামরিক শাসন প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছার জন্য নিবেদন করেন। একইসঙ্গে বহির্শত্র“দের হাত থেকে দেশকে রক্ষা এবং শেখ মুজিব ও তাঁর দলকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে, করাচিতে পিপিপি নেতা জলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, সাংবিধানিক সমঝোতার পূর্বে শেখ মুজিবের দাবি অনুযায়ী যদি ক্ষমতা অর্পন করা হয়, তবে পাকিস্তানের দুই অংশের দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

১৫ মার্চ ’৭১, সোমবার
কঠোর সামরিক প্রহরায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া, সঙ্গে জেনারেল খাদেম হোসেন রাজা, জেনারেল হামিদ খান, জেনারেল খোদাদাদ খান, জেনারেল মিঠঠা খান, জেনারেল পীরজাদা, জেনারেল ওমর, জি ডব্লিউ চৌধুরী প্রমুখ ঢাকায় এসে পৌঁছেন। বিমান বন্দরে এ সময় কোনো সাংবাদিক ও বাঙালিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
সারাদেশে সরকারি, আধা-সরকারি অফিস আদালতে পূর্ণ কর্মবিরতি পালিত। সকল ভবন ও যানবাহেন কালো পতাকা ও স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলিত। কঠোর সামরিক নির্দেশ উপেক্ষা করে সকালে বেসরকারি কর্মচারীদের সভা ও রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল। শহীদমিনারে চিকিৎসকদের সভা ও নগরীতে শোভাযাত্রা। কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে তোপখানা রোডে মহিলাদের সমাবেশ। ভ্রাম্যমান ট্রাকে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর গণসঙ্গীত ও পথনাটক পরিবেশন। সন্ধ্যায় শহীদমিনারে বেতার ও টেলিভিশন শিল্পীদের দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন। তাজউদ্দিন আহমদ হরতাল ও ৩৫ দফা কর্মসূচীর সপক্ষে বিবৃতি প্রদান করেন। চলমান পরিস্থিতিতে পূর্ববাংলার কেন্দ্রিয় ও প্রাদেশিক সরকারের সমস্ত শাসনযন্ত্র আওয়ামী লীগের নির্দেশে চলতে থাকে। সকল নির্দেশ জারি করা হয় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ি থেকে।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে এক জনসভায় ১১৫ নং সামরিক বিধির কঠোর নিন্দা করেন। বাংলাদেশকে রক্ষার উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। খুলনার এক জনসভায় আতাউর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব্ েএকতাবদ্ধ।’ প্রবীণ রাজনীতিক আবুল হাশিম বলেন, ভুট্টোর কথামতো ইয়াহিয়া চললে পাকিস্তানের বিভক্তি অনিবার্য।’
পিপিপি নেতা ভুট্টো করাচিতে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, কেন্দ্রের ক্ষমতা দেশের দুই অংশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করতে হবে। ... কায়েমি স্বার্থবাদীমহল নির্বাচনে জনগণের বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। তাছাড়া এখন পাকিস্তান যে অবস্থার সম্মুখীন তাতে দুই অংশের ভৌগোলিক দূরত্বের কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনের প্রশ্ন প্রযোজ্য নয়।’
পিডিপি নেতা নূরুল আমীন ভুট্টোর এ প্রস্তাব অবাস্তব ও নৈরাশ্যকর বলে বিৃবতি দেন। জমিয়াতে ওলামায়ে পাকিস্তান, ন্যাপ (ওয়ালি), কাউন্সিল মুসলিম লীগ, পিডিপি ও জামাতে ইসলামের বেশ কয়েকজন নেতা করাচিতে এক বিবৃতি বর্তমান গুরুতর পরিস্থিতির জন্য ভুট্টোকেই দায়ী করেন।
পিআইএ বোয়িং এবং পাক বিমানবাহিনীর সি-১৩০ বিমানগুলো নিয়মিতভাবে যুদ্ধের সরঞ্জামসহ পাকসেনা বয়ে আনতে থাকে। ঢাকা বিমানবন্দরকে মেশিনগান ও বিমানবিধ্বংসী কামানে সজ্জিত করা হয়। বিমান বন্দর পরিণত হয় যদ্ধ বিমান ঘাঁটিতে।

১৬ মার্চ ’৭১, মঙ্গলবার
অসহযোগ আন্দোলনের এই ১৬তম দিনে আন্দোলনের সমর্থনে রাজপথে নামে- কেন্দ্রিয় ও প্রাদেশিক সার্ভিসেস ফেডারেশন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ব্রতচারী আন্দোলন, স্টেটব্যাংক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ, ঢাকা জিলা সমবায় ইউনিয়ন, নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন, চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি, তাঁতশিল্প উন্নয়ন সমিতি, মগবাজার সংগ্রাম পরিষদ প্রভৃতি।
বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে আইনজীবী, লেখক, শিল্পী, চাকুররিজীবীও সকল শ্রেনীর মেহনতি মানুষ অসহযোগ আন্দোলন অব্রাহত রাখার জন্য দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন। কবি আহসান হাবিব তাঁর সিতারা-ই-খেদমত খেতাব বর্জন করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মোতাবেক ইস্টার্ণ মার্কেন্টাইল ব্যাংক কেন্দ্রিয় সরকারের সমস্ত রাজস্ব গ্রহণ করতে শুরু করে। এর মধ্যে কেন্দ্রিয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধিন আবগারি ও বিক্রয়কর ছিল।
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের সমাবেশে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শহীদমিনারে সমাবেশ ও মিছিল। গাজীপুরের টঙ্গী, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রাম শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের সমাবেশ ও শোভাযাত্রা।
গাজীপুুরের জয়দেবপুরে জনতার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে ওঠে। সামরিক বাহিনী অসহযোগ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন চালায়- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জোহা হল ও মুন্নুজান হল, যশোর ও রংপুর সেনানিবাস এলাকা, ঢাকার পিলখানা- ফার্মগেট- রামপুরা- কচুক্ষেত, খুলনা চট্টগ্রাম এ।
বঙ্গবন্ধু কালো পতাকা-শোভিত একটি গাড়িতে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ভবনে যান। পুলিশের গাড়িগুলোতেও ছিল কালো পতাকা। জনতা প্রেসিডেন্ট ভবনের পথে জমায়েত হয়ে জয় বাংলা’ ধ্বনি দিতে থাকে। প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে নিরস্ত্র ইপিআর বাহিনী। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু জানান, আলোচনা আরও চলবে।
ময়মনসিংহের জনসভায় মওলানা ভাসানী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলকৃত করার জন্য শেখ মজিবকে আহ্বান করেন। মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। এমএম আহমদ, মৌলানা শাহ আহমদ নূরানী প্রমুখ কয়েকজন নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ প্রতিনিধি ঢাকায় উপস্থিত হন।
পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিমানযোগে ক্রমাগত সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র আনা বন্ধ করতে ভারত তাদের আকাশসীমার ওপর দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানগামী সকল বিদেশি বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে। বিশেষ ব্যবস্থায় দুই হাজারের বেশি অবাঙালি নাগরিক নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে একটি জাহাজ করাচির উদ্দেশ্যে গমন করে। রাওয়ালপিন্ডির ৩১ জন আইনজীবী কোয়ালিশন সরকার গঠনসংক্রান্ত ভুট্টোর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন। ভুট্টোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে লাহোরে তিনটি ছাত্র সংগঠনের ১২ ঘন্টার প্রতিকী অনশন ধর্মঘট পালন।
ভারতের প্রখ্যাত নেতা জয়প্রকাশ নারায়ন নয়াদিল্লীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে উপমহাদেশে মহাত্মা গান্ধীর পরে প্রধান অহিংস শক্তির অধিকারী হিসেবে আখ্যা দেন এবং বিশ্বের সকল মানুষ ও তাদের সরকারকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সমর্থন প্রদানে আহ্বান জানান।

১৭ মার্চ ’৭১, বুধবার
বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন ; ভোর থেকে তাঁকে শভেচ্ছা জানাতে আসার মানুষের ঢল ধামন্ডির ৩২ নং বাসভবনে। সকাল ১০ টায় ইয়াহিয়ার সঙ্গে ২য় দফা বৈঠক। কড়া সামরিক প্রহরায় আড়াই ঘন্টা অসমাপ্ত রূদ্ধদ্বার বৈঠক। আলোচনার পরবর্তী সময় ঠিক করা হয়নি।
চট্টগ্রামে মওলানা ভাসানী সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব বাংলা এখন স্বাধীন। সাড়ে সাত কোটি বাঙালি এখন স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ। তিনি শেখ মজিবের কাছে এক তারবার্তায় চট্টগ্রামে সামরিক বাহিনীর গণহত্যার তদন্তের দাবি জানান এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের চট্টগ্রামে পাঠাতে বলেন। সামরিক কর্তৃপক্ষ মার্চের প্রথম সপ্তাহে সামরিক বাহিনীর গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করে। সামরিক আদেশবলে তৈরি এবং সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এর রিপোর্ট পেশের শর্ত থাকায় বঙ্গবন্ধু এ কমিশনের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামে গণহত্যার তদন্তের জন্য ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, খোন্দকার মোশতাক আহমদ ও আবিদুর রেজা খানকে সদস্য করে চট্টগ্রাম তদন্ত কমিশন গঠন করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আগামী ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের কর্মসূচী ঘোষণা করে। ঐদিন সরকারি-বেসরকারি ভবনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু করে।
ন্যাপ নেতা ওয়ালী খান বিকেলে ইয়াহিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাংবাদিকদের কাছে তিনি শেখ মুজিবের ৪ দফার পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া পিপিপি নেতা ভুট্টো ও প্রধান বিচারপতি হামদুর রহমানকে ঢাকায় আসার আমন্ত্র জানান।

১৮ মার্চ ’৭১, বৃহস্পতিবার
আজ বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়ার মধ্যে কোনো নির্ধারিত বৈঠক না থাকায় জনমনে উৎকন্ঠা। সারাদিনভর মিছিলের পর মিছিল। সেনাসদস্যরা মহাখালীতে শ্রমিকদের ট্রাকে হামলা চালায়। আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর প্রতিবাদে এ ধরনের উসকানি আর সহ্য কার হবেনা বলে জানান। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ ও অন্যান্য ঘটনা সম্পর্কে সরেজমিন তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গঠিত ৩ সদস্যের দল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গমন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন দেশের সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুদ্ধিজীবীদের কাছে আসন্ন গণহত্যা ও যুদ্ধ থেকে পশ্চিম পাকিস্তানকে নিবৃত্ত করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তারবার্তা পাঠায়। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন প্রভৃতি শক্তির প্রতি তাদের সরবরাহকৃত অস্ত্রের দ্বারা বাঙালিদের হত্যা চালানোর প্রয়াস বন্ধ করার আবেদন জানায়। বিমান বাহিনীর প্রাক্তন বাঙালি সৈনিকরা স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ, সংগ্রাম কমিটি গঠন এবং শহীদমিনারে সমাবেশ করে।
আগামী ২৩ মার্চ উপলক্ষ্যে আতাইর রহমান খান এক বিবৃতিতে বলেন, শোষণহীন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরার প্রকৃষ্ট সময় হচ্ছে ২৩ মার্চ।’ চট্টগ্রামে মওলানা ভাসানী সাংবাদিকদের কাছে অসহযোগ আন্দোলনে জনগণের বর্তমান অংশগ্রহণকে তাঁর দীর্ঘ ৮৯ বছরের জীবনে আর কখনো দেখেননি বলে জানান। একইসঙ্গে তিনি ইয়াহিয়াকে ভুট্টোর কাছে পশ্চিম পাকিস্তানের ক্ষমতা অর্পনের আহ্বান জানান। ভুট্টো শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে গোপন আলোচনার জন্য পরদিন ঢাকায় আসতে ইয়াহিয়া তাঁকে যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
রাতে সরকারি ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামীকাল সকাল ১১ টায় প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়া-মুজিব তৃতীয় দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

১৯ মার্চ ’৭১, শুক্রবার
গাজীপুর জয়দেবপুরের রাজবাড়ি থেকে ইপিআর বাঙালি জওয়ানরা সেনানিবাসে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে সামরিক কর্তৃপক্ষ পাঞ্জাবি ব্রিগেডিয়ারের নেতৃত্বে জয়দেবপুরে একদল সেনা পাঠায়। সকাল ১১ টার দিকে এ দলটি সেখানে পৌঁছে অসহযোগ আন্দোলনে রত ইপিআর ও সাধারণ বাঙালিদের ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করে। গুলিবর্ষণ করে বোর্ড বাজারের নিরস্ত্র মানুষের ওপর। সম্মিলিতভাবে এ হামলা প্রতিরোধে চেষ্টা করে বাঙালি ইপিআর ও স্থানীয় মানুষ। কিন্ত পাকসেনাদের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের কাছে অচিরেই দূর্বল হয়ে পড়ে প্রতিরোধ। শহীদ হয় ১২৫ জন বাঙালি। সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী জয়দেবপুরে সান্ধ্যা-আইন জারি করে বহু স্থানীয় মানুষকে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে যায়, তাঁদের কেউ আর ফিরে আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেনাবাহিনীর এ নির্বিচার হত্যাকান্ডকে পশুত্বের সঙ্গে তুলনা করে এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে দেড় ঘন্টা ব্যাপী ৩য় দফা বৈঠক করেন। কোনো সমঝোতা হয়নি। সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগ উভয় পক্ষেও উপদেষ্টাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২ ঘন্টা ব্যাপী এ বৈঠকে উপদেষ্টাগণ কী ফর্মুলার ভিত্তিতে আলোচনা হবে তা নির্ধারণ করেন।
শিল্পী কামরুল হাসানের পরিকল্পনা ও নকশায় তৈরি বাংলা স্টিকার একেকটি বাংলা অক্ষর একেকটি বাঙালির জীবন’ প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রামে মওলানা ভাসানী বলেন, শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা অর্পণ ছাড়া পাকিস্তানকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।’
অন্যদিকে, পশ্চিম পাকিস্তানী নেতা মিয়া মমতাজ দৌলতানা, শওকত হায়াৎ খান ও মুফতি মাওলানা মাহমুদ ঢাকায় আসেন। করাচিতে ভুট্টো বলেন, ক্ষমতার হিস্যা থেকে বঞ্চিত হলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না। তিনি শক্তি প্রদশর্নে বাধ্য হবেন।’ তিনি এ সময় গণআন্দোলনের হুমকি প্রদান করেন।

২০ মার্চ ’৭১, শনিবার
গতকালের গুলিবর্ষণে আহতদের মধ্যে হাসপাতালে আরও কয়েকজনের মৃত্যু। জয়দেবপুরে সান্ধ্য-আইন অব্যাহত।
সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু ও ইয়াহিয়ার মধ্যে ৪র্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত। এ বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইএম কামারুজ্জামান, এম মনসুর আলী, খোন্দকার মোশতাক আহমদ এবং ড. কামাল হোসেন। ইয়াহিয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এ কে ব্রোহি, শরফুদ্দিন পীরজাদা, মি. কর্নেলিয়াস। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু বলেন, বৈঠকে অগ্রগতি হয়েছে। কাল আবার বৈঠক হবে। তিনি সংবাদপত্রে এক বিবৃতিতে মুক্তি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনতাকে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃক্সক্ষলভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে আহ্বান করেন। অন্য একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৩ মার্চ লাহোর দিবস উপলক্ষে ছুটি থাকবে সারা বাংলাদেশে। ১৪ মার্চ ঘোষিত নির্দেশ ও ব্যাখ্যা মতো সবকিছু চলবে। আগামীতে যেসব নির্দেশ দেওয়া হবে সে-মতে সব কর্মসূচি পালন করতে হবে।’ মওলানা ভাসানী চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ২৩ মার্চ স্বাধীন পূর্ব বাংলা দিবস হিসেবে পালিত হবে।
চারু কারুশিল্পীরা বুকে স্বাধীনতা পোস্টার বেঁধে অসহযোগ আন্দোলনে রাস্তায় নামে। শহীদমিনারে প্রাক্তন নৌসেনারা সমাবেশে অবাঙালি সেনা অপসারনের দাবি জানায়। ছাত্র ইউনিয়নের সশস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী রাজপথে সশস্ত্র প্যারেড করে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সামরিক বাহিনী ও অস্ত্রশস্ত্র-বোঝাই বিমান চলাচল বন্ধের জন্য প্রতিবেশি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়।
অন্যদিকে, প্রতিদিন ৬টি থেকে ১৭টি পর্যন্ত পিআইএ ফ্লাইট, বোয়িং ৭০৭ বিমানে সেনা ও যুদ্ধরসদ শ্রীলঙ্কা হয়ে ঢাকায় এবং অসংখ্য জাহাজ-ভর্তি সেনা ও আগ্নেয়াস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। সামরিক শক্তি এখন মার্চের শুরুও দিকের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। জেনারেল ইয়াহিয়া তার সামরিক উপদেষ্টাদের নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে সামরিক প্রস্তুতির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে সচেষ্ট হন।


সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×