http://bangladeshwarcrimes.blogspot.com/
উপরের ব্লগ সাইট টি নিউ এজ পেপারের সাংবাদিক ডেভিড বার্গমেন ধারাবাহিক ভাবে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইবুনালের একটিভিটি নিয়ে ব্লগ দিয়ে যাচ্ছেন। যারা আইন নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তাদের জন্য জানার অনেক কিছু আছে। ডেভিড বার্গমেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক , ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশে বসবাস করেন।( তিনি ড: কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনের হাসবেন্ড ) । তিনি বাংলাদেশের ওয়ারক্রাইম নিয়ে ডকুমেন্টারী বানিয়ে তা ব্রিটিশ চ্যানেল ফোরে প্রচার করেন। বোঝা যায় তিনি এ ব্যাপারে সচেতন এবং ওয়ার ক্রিমিনাল দের বিচার চান।
তিনিও ওয়ার ক্রাইম ট্রাইবুনালের কার্যক্রমে অনেক অসংগতি পাচ্ছেন । তা তার ব্লগ পড়লেই বুঝা যায়।
সাইদীর কেইসের ব্যাপারে তিনি তার কমেন্টে কিছু লিখেছেন, যা ইন্টারেস্টিং। তা হচ্ছে
১) সাইদীর বিরুদ্ধে ৩১ টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয় । তার মধ্যে ৫ টি অপরাধের সাক্ষী মাত্র একজন করে। ৪০ বছর আগের অপরাধে একজনের সাক্ষী উপর ভিত্তি করে কিভাবে অভিযুক্ত করা যায় ?
২) সাক্ষীদের বক্তব্য খুবই সংক্ষিপ্ত। এক বা দেড় পাতা। এমন কি যখন একজন সাক্ষী সাইদীর বিরুদ্ধে যখন একাধিক অপরাধের সাক্ষী দেন।
৩) বেশ কয়েকজন সাক্ষী সাইদীর বিরুদ্ধে একাধীক অপরাধের সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৬ জন সাক্ষী সাইদীর বিরুদ্ধে ৫ এর অধিক অপরাধের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর একজন তো সাইদীর বিরুদ্ধে ৯ অপরাধের সাক্ষী দিয়েছেন ! ( আমার (চাষী) মতামত এটা আশ্চর্য্য ব্যাপার, এই লোক গুলি কি ৭১ সালে সাইদীর পিছে অনুসরন করছিল)
৪) সাক্ষীদের স্টেটমেন্ট এর স্ট্রেংথ কেমন তা যানা যায় নি কারন সবার স্টেটমেন্ট কোর্টে পড়া হয়নি। কিন্তু যেগুলি পড়া হয়েছে,সেগুলি চাক্ষুষ সাক্ষী না। যেমন , ভাগিরথী হত্যার একমাত্র সাক্ষী তার ছেলে যে বলেছে, সে লোক মুখে শুনেছে তার মা হত্যায় সাইদী জড়িত ছিল। আর ৭১ সালে তার বয়স মাত্র ছিল ৫!
-------
এছাড়া অন্যান্য ব্লগে তিনি , বিচারকরা আসামী দের সময় দিচ্ছেন না সেটা উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, বিচারকরা আসামীদের যুক্তি খন্ডন করছেন না। যেমন,সাইদীর জামিনের আসামী পক্ষের যুক্তি খন্ডন না করেই জামিন বাতিল করেছেন।