বুদ্ধিজীবীরা রাত পোহাবার আগেই বিক্রি হওয়ার জন্য বসে থাকে (বাংলাদেশের স্বনামখ্যাত একজন লেখকের উক্তি)। অনেক সময় বুদ্ধিদীপ্ত দেহখানা নিলামে দরপতন হলে অনেকে খাট থেকে লাফিয়েও পড়েন ! অনেকের এতই কল্পনাবিলাসী মন যে, কল্পনা দেখতে দেখতে চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। তাদের করুণ চেহারা সেই মেয়েদের মতো মনে হয়, যারা আষাঢ় মাসের জন্য অপেক্ষা করত-আমার নি কেউ আসে। বিক্রি হয়ে গেলে, প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা আটঘাট বেঁধে নামেন। তাদের অবস্থা তখন সেই পল্ট্রি খামারের বিদেশী হাঁসের মতো মনে হয়, নিজ বাড়ি ছেড়ে এলেও তারা প্যাঁক প্যাঁক করতে ভুলেন না। তাদের কেউবা হরেক প্রজেক্ট নিয়ে মাঠে নামেন। অবশ্য তাদের এসব প্রজেক্টে আমাদের অনেক তরুণ বন্ধুরা বলে উঠেন- গুরু তুমি না থাকলে দুনিয়াতো অন্ধকার। তুমিই একমাত্র পথের দিশা। যুগের কান্ডারী। এদু:সময়ে তোমাকেইতো দেশ চায় ! কিন্তু এসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের যখন তাদের বুঝতে বাকি থাকেনা, তখনতো আসমানে লালবাত্তি ! তারপরও থেমে নেই তরুণ বন্ধুরা, এগিয়ে যায় আরও কিছু পাওয়ার আশায়। তখন মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, ওরা আবার কীভাবে তরুণদের নিয়ে দেশ বদলাবে ? সামনে আগাবে ? সোনার বাংলা নতুন করে গড়তে তরুণদের স্বপ্ন দেখাবে ? টুপাইস দেখলে যাদের চোখ বড় হয়ে যায় ! যারা বিদেশী প্রভুদের পদলেহন করতেই বেশী স্বাচ্ছন্দবোদ করে। যারা বস্তুগত সম্পদের লোভে নিজেকে বিক্রি করতে কুন্ঠাবোধ করে না, তারাতো পতিতাদের চেয়েও অধম। পতিতাদের নাম একটিই পতিতা। পতিতাদের কেউ অমুখ পতিতা, তমুখ পতিতা বলে ডাকে না। কিন্তু এসব বুদ্ধিজীবীরা সময়ের স্রোতের সাথে কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর মতো গাঁয়ের রং বদলায়, কথার ধরণ বদলায় সেই সাথে সঙ্গিনীতো আছেই। তাহলে এরাই কি জাতিকে পথ দেখাবে। তরুণ প্রজন্মকে আবার জাগিয়ে তুলবে। যে নিজেই ঘুমিয়ে আছে, সে আবার কাকে জাগাবে ?
পাদটীকা: গাঁজার কল্কি থেকে মাদকতাময় ধোঁয়ার চেয়ে ভাল কিছু আশা করা মহা বোকামী।