somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ নামটির চেয়ে কি বঙ্গবন্ধু নামটি বড়????????????!!!!!!!!

১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমরা যারা তেজগাঁও টেক্সটাইল কলেজের ছাত্র তাদের কাছে গতকালকের দিনটি ছিলো স্বপ্নপূ্রণের দিন। তার আগে একটু পেছনের দিকে তাকানো যাক।

প্রায় শতবর্ষ পূর্বে ঢাকার নারিন্দায় ১৯২১ সালে গড়ে উঠে 'উইভিং স্কুল'। এখানে মূলতঃ টেক্সটাইল শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল গড়ার লক্ষ্যে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। ১৯৫০ সালে স্কুলটিকে 'ইস্টপাকিস্তান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে' উন্নীত করা হয়। সেখানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হত। এতে করে দেশে দক্ষ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী গড়ে উঠে এবং টেক্সটাইল শিল্পে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

পরবর্তিতে ১৯৬০ সালে এ প্রতিষ্ঠান বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তরিত হয় তেজগাঁও শিল্প এলাকায়। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ায় অবদান রাখা একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই ইনস্টিটিউটের বিকাশের দাবি ওঠে এবং এর আওতায় ১৯৭৮ সালে চার বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-টেক্সটাইল টেকনোলজি ডিগ্রীর কার্যক্রম শুরু হয় এবং এ প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি।

জাতীয় সংসদে ২৬সেপ্টেম্বর টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
২০১০ পাস হলো! ফলে সেদিন থেকে ‘কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’র জায়গায় লেখা হলো ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়’।


এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৫ মার্চ ২০১১ এ প্রধা্নমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বধন ঘোষণা করেন। সাথে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ ও স্থানীয় এম.পি কামাল।


এম.পি কামাল তার বক্তব্যে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করতে।এতে করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্রদের মাঝে একটা চাপা অসন্তোষ এর জন্ম নেয়। ১০ মিনিট পর শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যেও একই দাবি রাখেন।

তবে শেখ হাসিনা আপাতত কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম বলেই উদ্বোধণ ঘোষণা করেন।

জানিনা সামনে আমাদের নাম নিয়ে আবার কি রাজনীতি দেখতে হয়।তবে এই নোংরা মাণষিকতার পরিবর্তন চাই।

সবাইকে ধন্যবাদ।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:০৭
৯টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×