“তোমরা কি ভাবিয়া দেখো’না তোমাদের ও ঈমানদারগণের মধ্যে কতটা সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান? ঈমানদার তারাই যারা আল্লাহর কিতাব ও বিশুদ্ধ হাদীসের জ্ঞান ধারন কারী, তাহারা এসব বিষয়ে সম্যক অবগত ও সুকঠিন অগ্নীপরীক্ষায় উত্তীর্ণ, যা ঘূর্নীবায়ুতে প্রেথিত হয় আরো সুগভীরে।
হে উত্তোরাধীকারী মুসলমানগণ তোমরা তো হচ্ছো, সে সুউচ্ছ অট্টালিকার সন্মুখ প্রান্ত যা কতনা দৌদূল্যমান!
তোমরা তার মুখাপেক্ষী হও যে মহা প্রজ্ঞাময়-মহাজ্ঞানী। তাহাতে তোমাদের সর্বকালের কল্যান নিহিত। অতঃপর নিজেদের কে সামীল করো, যাদের তিনি দিয়েছেন স্বীয় চেষ্টায় অথবা সুশীতল রহমতের ছায়া, আল্লাহ যাকে চান তাকে জ্ঞান দান করেন , আর যাকে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে।
হে জরাগ্রস্থ মুসলিমগণ নিশ্চয় জ্ঞান অন্বেশন তোমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে। তোমরা কি ভেবে নিয়েছ কিছু হুকুম আহাকাম মেনে চললেই জান্নাতুল ফেরদাউস আমি তোমাদের জন্য রেখেছি? এটার হকদার তো তারাই যারা শুধু তোমাদের মতো নয় উপরোন্ত মহা পরীক্ষায় উর্ত্তীণ
সুদঢ় বিশ্বাস স্থাপনকারী ও প্রচারকারী।
হে চর্মচক্ষুধারী মুসলিমগণ আমি কি তোমাদের জন্য আমার জ্ঞান উম্মোচন করিনি?
তবে কেন তোমরা এর প্রতি যত্নবান নও? যা কিছু রিতীনীতেই সীমাবদ্ধ? অথবা দায়সারা- নিরীহ সহাবস্থান- উদারপন্থী- গোবেচারা- নির্ঝাট –ভদ্রলোক? এ মতবাদ দ্বারা কি প্রতীয়মান হয়?
নিশ্চয় ইসলামে এর স্থান অত্যান্ত নগন্য করা হয়েছে। এবং ক্ষেত্র বিশেষে তা রদ করা হয়েছে। সুরম্য অট্টালিকার মাঝে কি তুমি কুঁড়েঘর কে বেছে নিতে চাও? আর তাও যদি মৃত্যু অবধি তোমরা ধারন করতে পারো। যা অত্যান্ত কঠিন, সে খড়খুটো যা সামান্য বাতাসেই স্থানচ্যুত হয়....
হে আত্নপ্রঞ্চানাকারী মুসলিমগণ তোমরা কি আমার কিতাব শুধু চুমু খেয়ে তুলে রাখতে চাও? আর পাঠ করো- শ্রবন করো, ছাওয়াবের আশায়, সে ভাষা, যা তোমাদের বোধগম্য নয় ? যা তোমাদের মনে গভীর চিহ্ন অঙ্গনে অসমর্থ? নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য তার অনুগ্রহ করেছেন সেটাই যা তোমরা অনুধাবনে সমর্থ, তিনি বান্দার ক্ষমতার অধিক চাপিয়ে দেননা, নিঃসন্দেহে তিনি পরম দয়ালু।
হে বেওয়ারীশ মুসলিম গন, তোমরা নূন্যতম জ্ঞান পরীক্ষায় উর্ত্তীন হও যা আল্লাহর কিতাবকে ও সুমহান চরিত্রকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে উদ্যত হয়, যারা তোমাদেরই মতো দূর্বল- অনুত্তীর্ণ
অতঃপর তা মহামারীর মতো তোমাদের আচ্ছন করে।
তোমরা তিনটি সুরা’র প্রতি যৌক্তিক সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করো, আন নূর, আহযাব, তাহরীম। যদি তোমরা সত্যবাদী হও, আর তার কাছে ফানা চাও যিনি মহাজ্ঞানী মহাপ্রজ্ঞাময়, নিশ্চয় তিনি তোমাদের সে জ্ঞান দান করবেন, যা তোমাদের গভীর অন্ধকারের তলদেশ হতে সমুজ্জ্বল আলোতে ভুমিষ্ট করবে।
নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ভেতর ও বাহিরের চিন্তা-চেতনা- উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল। তিনি জানেন যা তোমরা জানোনা।