আর তার গোটা কয় চোখ
ভাসছিল আর কারো চোখের তারায়।
কথায় কথায় কেউ এমনি হারায়?
সেই তো শুরু, সেই নদী সেই বালুতট;
চকচকে চাঁদের দেশে আমাদের দোলনা ভেসে যায়।
নি:শব্দ দু চারটি নিশি-সারমেয় আর পাখী
ছোট্ট নদীর মত একটি মেয়ে তার নথ আর পথ হারায়।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার ছবি ডুবে যায় দখিনা ফুলে।
ঘুমন্ত একেকটি নদী, বয়ে চলুক দোলনার মত
তার হাতে আঁকা বিড়ালের কালো কালো চোখ,
হাসছে অট্ট এ আকাশ রূপালী চাঁদের দেশের।
তারপর ছাদ হলো আকাশ
তারপর চাঁদ হলো মাটি
উইলো গাছের ছায়া কাঁদে তার ঘরের ছাদে।
তার হৃদয় আর বাঁ হাতের একটি আঙ্গুল
পাওয়া গেল রাতের হ্রদে।
দুটি ভিন্ন শব্দের দু গ্লাস ভিন্ন অনুভুতি
কাটেনি বিষাদের দিন বেশী তার এরপর।
বিজবিজ কথার তরঙ্গ বাড়ে কমে বাড়ে
দূরের ঘাটে নতুন বাজার পারে বাজারিরা হাতে নিয়ে আলো।
বিড়ালটি সেদিনও এমনি কোনায় বসেছিলো।
চিমনির বাগানের মত রয় দাঁড়িয়ে দেবদারু বন
সুউচ্চ মেঘের মতন নি:শ্বাস নিয়ে যায় কিছুটা সময়।
তাছাড়া তার আর হয় না সময়,
তার আর তারপর ক্ষয় না সময়।
বৃষ্টি প্রিয় ছিল একটি পাখীর
বৃষ্টি তাকে আর ছুঁতে পায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:০৫