কাজী মো. আহসান উল্লাহ ঢাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার হিসাবে মগবাজার শাখায় দায়িত্ব পালন করছেন।
নাফিসের বাবা বলেন, “আমার ছেলে নম্র ও ভদ্র। তার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
“নাফিস নিউইউর্কের জ্যামাইকায় এক আত্মীয়র কাছে থাকতো। স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরিতে হাফ স্কলারশিপ নিয়ে সে পড়াশুনা করে। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি সে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দেশের বাইরে গেছে।”
নাফিস ১৯৯১ সালের উত্তর যাত্রাবাড়ীতে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম রোকেয়া সিদ্দিকী।
২০০৬ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। ২০০৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে জিপিএ-চার পয়েন্ট নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হন। নর্থ সাউথ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে ছয় সেমিস্টার শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছেড়ে যান রেজোয়ানুল।
এদিকে, রেজোয়ানুল আহসান নাফিসের ঢাকার যাত্রাবাড়ীর বাসায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা গেছে বলে জানা গেছে।
nafizবুধবার বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে নাফিসকে গ্রেফতার করে এফবিআই ও নিউইয়র্ক পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে নাফিসকে আটকের বিষয়টি জানায়।
পুলিশ জানায়, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় ব্যবহৃত এক হাজার পাউন্ড ওজনের বিস্ফোরক নকল হলেও নাফিসের পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্যে খুঁত ছিল না।
আটকের পর আদালতে শুনানির পর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এফবিআই এবং নিউইয়র্ক পুলিশ গত এক মাস ধরে যৌথভাবে অপারেশন চালিয়ে অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো তাকে।
কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, নাফিস আল কায়েদার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমনকি এফবিআইর এক এজেন্টকেও তার দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে হামলার পরিকল্পনাতেও আল কায়েদার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সক্রিয় সদস্য নাফিস।
তিনি নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে বিস্ফোরক ভর্তি একটি ভ্যান সেলফোন ডিভাইসের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেন।