somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফার্স্ট ডেট নিয়ে চিন্তিত??(পোস্টটি পড়ে নিন, কাজে লাগবে!);)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোবাইলে বা নেটে কোন সুন্দরীকে পটিয়ছেন। এবার ঠিক করলেন তার সাথে ডেটিং করতে যাবেন। প্রথম ডেটে স্বভাবতই আপনি একটু নারভাস থাকবেন। আচ্ছা ধরে নিলাম আপনি কষ্টবিষ্টে নারভাসনেসটা কাটালেন, খুব সুন্দর একটা সময় সেই সুন্দরীর সাথে অতিবাহিত করলেন। পরদিন সেই নারীকে ফোন দিলেন কিন্তু সে আর আপনার ফোন রিসিভ করছেনা। বারবার ট্রাই করেই যাছেন কিন্তু হতাশই হচ্ছেন। শুনুন জনাব, আর ট্রাই করে লাভ নেই। এখন খামাখা ঐ মেয়েকে গালাগালি করবেন না। আপনার আতলামীর কারনেই হয়ত মেয়েটি আর ফোন রিসিভ করছেনা। হয়ত আর কোনদিনই করবেনা।

এবার একটু লাইনে আসেন। নিজের ভুলগুলো শুধরে নিন। এরপর আপনাকে আর ফোন দিতে হবেনা। ঐ সুন্দরীই আপনাকে ফোন দিয়ে কুল পাবেনা। নিচে কিছু টিপস দিলাম। আশা করি কাজে লাগবে।

নিজের মৌলিকতা হারাবেন না
সবাই কিন্তু মজা করে কথা বলতে পারেনা। আর আপনার পারতেই হবে এমন কোনো কথাও নেই। দেখা গেল সুন্দরীকে মজা দিতে গিয়ে এমন কিছু একটা বলে ফেললেন যা আপনার ব্যাক্তিত্তের সাথে যায় না। সেই মেয়ে যদি কোনভাবে বুঝে ফেলে আপনি তাকে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করছেন তাহলে কিন্তু আপনি তার কাছে হাল্কা হয়ে যাবেন। আজকালকার মেয়েরা কিন্তু অনেক চালাক-ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। আর যেই বিষয়টা সম্পর্কে আপনার ধারনা অল্প সেটা নিয়ে বেশী কথা বলতে যাবেন না। হোক না সেটা হিন্দি সিনেমা!!

দেরী করা চলবে না
প্রথম ডেটিং-এ কোনোভাবেই দেরী করা চলবেনা। কারন এতে আপনার অলসতা বা পার্টনারের প্রতি আপনার উদাসীনতা প্রকাশ পায়। সে হয়ত ধরে নিবে আপনি তাকে খুব একটা সিরিয়াসলি নেননি। যদি রাস্তায় যানযট বা অন্য কোন সমস্যা হয় অবশ্যই তাকে ফোন করে ইনফর্ম করবেন। অনেকে ভাব নেয়ার জন্য একটু দেরী করে যান এতে কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

পরিচ্ছন্ন হোন
মেয়েরা কিন্তু একটা ছেলের চেহারার চেয়ে অনেক বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ ভাবে সে কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। বেশিরভাগ ছেলেরাই একটু এলোমেলো থাকতে পছন্দ করে যা মেয়েরা খুবই অপছন্দ করে। দেখা গেল, সেদিন আপনি ভালমত ব্রাশ করেননি। মুখ থেকে গন্ধ বেরুচ্ছে কথা বলার সময়--অবস্থাটা কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন? শরীর থেকেও যাতে বিশ্রি ঘামের গন্ধ না বের হয় সেজন্য ভাল পারফিউম মেখে যেতে ভুলবেন না। আপনার চুল ঠিকমত ছাটানো কিনা বা নখ ঠিকমত কাটা কিনা এসব সুক্ষ সুক্ষ ব্যাপার মেয়েরা খুব লক্ষ করে। আগেভাগেই সতর্ক হোন।

ডেটিং-এর সময় অন্য মেয়ের প্রসংশা করতে যাবেন না
আপনি যখন কোনো একটি মেয়ের সাথে ডেটিং করতে যাবেন, মেয়েটি কিন্তু ধরে নিবে অন্তত ডেটিং-এর পুরো সময়টা আপনি শুধু তাকেই উতসর্গ করেছেন। ঐ সময় আপনি যদি পরিচিত অন্য কোন মেয়ের প্রসংশা তার সামনে শুরু করেন, সে হয়ত ভাবতে পারে তার প্রতি আপনার ইন্টারেস্ট কম। কিছু কিছু ছেলেদের কমন হেভিট হল সুন্দরী মেয়ে দেখলেই আড়চোখে তাকানো। আপনাদের সামনের টেবিলেই হয়ত কোনো অনিন্দ্য সুন্দরী বসে আছে...তাতে কি? ভুলেও তাকাবেন না!! যদি ধরা খান, তাহলে ওটাই হতে পারে আপনার লাস্ট ডেট।

তাকেও কথা বলার সুযোগ দিন
অনেকে হয়ত অনেক সুন্দর করে কথা বলতে পারেন। কথা দিয়ে আরো ভালমত ইম্প্রেস করার জন্য হয়ত মজার মজার গল্প বা জোক্স একটার পর একটা বলেই গেলেন। মনে রাখবেন, কথোপকথোনে কিন্তু দু’জন মানুষেরই অংশগ্রহন লাগে। আপনি অবশ্যই আপনার কথা বলবেন কিন্তু তাকেও কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।

কোন প্রকার অভিযোগ করা যাবেনা
হয়ত কোন কারনে সেইদিনটা আপনার ভাল কাটেনি। তাই বলে ফার্স্ট ডেট করতে এসেই কোন প্রকার হতাশার কথা ডেট-পার্টনারের সাথে শেয়ার করবেন না। এসেই বললেন, “এই শহরের ট্রাফিক জ্যাম অসহ্য!আর থাকবই না এই শহরে!!” এই ধরনের হতাশাব্যাঞ্জক কথাবার্তা কিন্তু পার্টনারের বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে। আপনার ভিতরে যতই হতাশা থাকুক, চেহারায় বা কথাবার্তায় সেটা প্রকাশ করা যাবেনা। মনে রাখবেন, সে কিন্তু কোন হতাশার কথা শুনতে ডেটিং-এ আসেনি। আপনার সাথে সুন্দর একটা মুহুর্ত কাটানোর জন্যই তার ডেটিং-এ আসা।

শারীরিক ভাবে এগ্রেসিভ হওয়া যাবে না
মনে মনে হয়ত ভাবছেন আপ্নার পার্টনারকে কথাবার্তা দিয়ে বেশ ভাল ভাবেই পটিয়ে ফেলেছেন। তাড়াহুড়া করেই কিস করার জন্য এগিয়ে গেলেন। দয়া করে এই কাজটি করতে যাবেননা। তার চোখের ইশারা-ইঙ্গিত ভালমত বুঝে নিন। সে আদৌ কোন শারীরিক স্পর্শের জন্য তৈরী কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।

মিথ্যা আশা দেবেন না
যদি দেখা হওয়ার পর পার্টনারকে পছন্দ না হয়ে থাকে, বিদায়কালে তাকে কোন প্রকার মিথ্যা আশা দেবেন না দয়া করে। তার সাথে যদি পুনরায় আর ডেট করার ইচ্ছা না থাকে তবে তাকে মিথ্যা কথা না বলে বলবেন, “তোমার সাথে দেখা হয়ে ভাল লাগল” বা “গুড বাই”। আবার “দেখা হবে বা কথা হবে” এরকম আশা না দেয়াই ভাল।

আশা করি উল্লেখিত গাইডলাইনগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ফার্স্ট ডেট-কে চিরস্মরনীয় করে রাখতে পারবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
২২টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×