তখন আমার ভীষণ রকম দুঃসময়
চারিদিকে শুধু হাহাকার
নেই আর নেই
এতকিছুর মাঝেও আমি সামলে রাখার চেষ্টা করছিলাম
নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিলাম ক্রমাগত
ঋণ বাড়ছিল প্রতিনিয়ত
আর্থিক-মানবিক, পার্থিব-আত্নিক; সব রকমের ঋণ
ক্লান্ত ছিলাম খুব, শারীরিক-মানসিক সব দিক থেকেই
এক কথায় বলতে গেলে
একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছিলাম আমি প্রতিদিন
দেবদাস হবার সাধ থাকলেও সাধ্য ছিল না
তাই হাল ছাড়িনি
হাজার বছরের ক্লান্তি নিয়ে আমি হেঁটে গেছে নিয়ত
মানুষের মিছিলে, তথাকথিত মানুষ হবার প্রচেষ্টায়
প্রতিটি দিন শুরু হতো ভীষণ রকম দায় নিয়ে
প্রতিনিয়ত সেই দায়ভার ভারিই হচ্ছিল ক্রমশ
আমার খুব ক্লান্ত লাগত, আশাহত হতাম
তবু হাল ছাড়িনি, শেষ দেখবো বলে
মনের মাঝে তোমার ঐ কথাটিই বাজত প্রতিনিয়ত
"একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে-সব সয়ে যাবে ঠিক"
আমার কিছুই ঠিক হয়নি মিথিলা
তবে হ্যাঁ, সয়ে গেছে সবই।
উপায় নেইতো!
মধ্যবিত্ত জীবনের ততোধিক মধ্যবিত্ত স্বপ্নগুলো
ইচ্ছে থাকলেই কুইট করা যায়না
তাই করিনি।
মাকড়সার জালের মত দায়বদ্ধ জীবন
ক্রমশ জড়িয়েই যাচ্ছিল শুধু
তবু আশা ছাড়িনি
ঐযে!! শেষ দেখবো বলে!
আজ সময় পরিক্রমায় আমার পায়ের নিচের মাটি শক্ত হয়েছে
সোজা হয়েছে মেরুদন্ড
তবু শুন্যতাটুকু কাটেনি মিথিলা
যেটা তুমি সৃষ্টি করে গেছো
এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায় দীর্ঘশ্বাস
তীব্র কষ্ট নাঁড়া দেয় বুকের গহীনে
তুমি হাতটি ছেড়ে দেবার পর থেকে
আমার বাম হাতের বোধটুকু এখনও ফেরেনি
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




