চন্দ্রাবতী! এখন অনেক রাত। অতি সাধারণ শিরোনামহীন রাত। তবু, কোনো কোনো রাতটা কেমন করে যেন অন্য রকম হয়ে যায়, তুমিহীনতায়। সারাদিনের কাজ শেষে ঘরে ফিরে সময়ের হিসেব রাখতে হয়না আর। ফ্ল্যাক্স ভর্তি চা কিংবা কফি আর এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে যখন কোডিং করতে বসি, কখনো কখনো নিজের অজান্তেই চোখ চলে যায় ল্যাপটপের কোণে, যেখানে সময়ের হিসেব থাকে। আমি বুঝতে পারি, এখন সত্যিই অনেক রাত! তখন নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও তোমাকে ভাবতে বসি। সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় কী জানো? তখন আমার মনে আসে, তুমি একজন অচেনা পুরুষের সংগে শুয়ে আছো! অচেনা মানুষের বাহুবন্দী হয়ে। বিশ্বাস করো, একটা ছেলের জীবনে এরচেয়ে বড় কষ্টকর অনুভূতি আর কিছুই হতে পারেনা। জানো তো, প্রেমিকার জন্য কালে কালে পুরুষেরা সাম্রাজ্য পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে, অথচ আমি কিছুই করতে পারিনি তোমার জন্য!
কী-বোর্ডে উপর আঙ্গুলের ছুটোছুটি বন্ধ হয়ে যায় তখনি। হয়তো একটা সিগারেট জ্বালাই। হয়তো এক কাপ কফি কিংবা চা। প্রচন্ড অপরাধবোধ নিয়ে তোমার ছবির ফোল্ডারটা খুলি, সেখানে অনেকগুলো তুমি।
অনেক দিন ধরেই তুমি আমার জীবনে নেই, হয়তো আর কোনোদিন ফিরবেও না আমার পৃথিবীতে। তোমাকে দোষ দেবোনা, অভিশাপও না, ব্যর্থতার যতটুকু দায়ভার, সবটুকুই আমার থাকুক। প্রার্থনা করি, তুমি সুখের হাঁটে সওদা করো সারাটা জীবন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




