নিশ্চয়ই সালাত নির্লজ্জ ও অশ্লিল কর্ম হইতে বিরত রাখে। সূরা আনকাবুত। আয়াত ৪৫।
আসুন দেখে নিই, কি ভাবে সালাত আপনাকে অশ্লিল ও নির্লজ্জ কর্ম হইতে বিরত রাখতে পারে।
আপনি যখন ফজরের সালাত আদায় করবেন। তখন সালাত শেষে বাইরে স্বাভাবিক কর্মে মন দিলে যখন আপনার সামনে কোন মিথ্যা বা অশ্লিল কর্ম করার মত অবস্থা তৈরী হয়, তখন একবার হলেও আপনার মনে হবে, আমি তো ফজরে সালাত করেছি। কিভাবে আমি এখন এই মিথ্যা বা অশ্লিল কর্মটা করি। না এই মিথ্যা ও অশ্লিল কর্মটি আমার করা উচিৎ নয়।
এভাবেই আপনি অশ্লিল ও নির্লজ্জ কর্ম হইতে বেঁচে থাকতে পারেন।
আবার বেলা ১০ টা বা ১১ টার দিকে ঐ রকম মিথ্যা বা অশ্লিল কর্মের সম্মুখীন হলে, একবার হলেও আপনার মনে হবে যে- আপনি ফজরে সালাত করেছেন, আবার সামনে জোহরের আযানের সময় হযে গেলো। একটু পরেই জোহরের সালাতের জন্য মসজিদে যেতে হবে। কিভাবে আমি এই অশ্লিল ও নির্লজ্জ কাজটি করতে পারি। না! একাজ করা আমার জন্য উচিৎ হবে না।
আর এভাবেই সালাত আপনাকে অশ্লিল ও নির্লজ্জ কর্ম হইতে বিরত রাখতে সহায়ক ভুমিকা রেখে থাকে।
এবার আপনি জোহরের সালাত আদায করলে, এই সালাত আপনাকে আছর পর্যন্ত অশ্লিল ও নির্লজ্জ কর্ম হইতে বিরত রাখবে। আবার আছরের সালাত কায়েম করলে এই আছরের সালাত আপনাকে মাগরিব পর্যন্ত নির্লজ্জ ও অশ্লিল কর্ম হইতে বিরত রাখবে। আবার আপনি মাগরিবের সালাত কায়েম করলে, এই মাগরিবের সালাত আপনাকে ইশা পর্যন্ত অশ্লিল ও নির্লজ্জ কর্ম হইতে বিরত রাখতে সহায়ক হবে।
এর পরে আপনি রাতে ঘুমাতে গেলে, সারাদিনের কাজের বিষয় চিন্তা করলে দেখতে পাবেন যে- আজ আপনি একটিও নির্লজ্জ ও অশ্লিল কর্ম করেন নি। এতে আপনার মনের প্রফুল্লতা বাড়বে। এবং আপনার মনে এও সাড়া দেবে যে- সালাতের জন্যই আপনি আজ কোন নির্লজ্জ ও অশ্লিল কর্ম করেন নি। তখন সালাতের প্রতি আপনার অনেক শ্রদ্ধা বেড়ে যাবে। এবং আপনি সালাত আদায়ে আরও মনোযোগী হবেন। আর এভাবেই সালাত আপনাকে অশ্লিল ও নির্লজ্জ কাজ হইতে বাঁচাইয়া রাখবে।
তাই আসুন- আজ হতেই সালাত আদায়ে ব্রতী হই।