একটা সময় ছিল ঘুষখোর সুদখোরেরাও রমজান মাসে বিরতি দিতেন রমজান উপলক্ষে। কিন্তু এখন যুগ বদলাইছে, রমজান মানে বাড়তি খরচ, ঈদের অতিরিক্ত কেনাকাটার ঝামেলা। অতিরিক্ত চাই অতিরিক্ত। এমনও দেখা গেছে এলাকার সব থেকে খারাপ লোকটি রমজানের পরে খারাপ আচরণ তো দুরে থাক কেও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করলেও সে নিরবে সহ্য করেছেন।
কিন্তু হায় আফসোস রমজান আসে যায় বদলায় না কিছুই; কিছু যে বদলায় না তা নয়, রমজান উপলক্ষ্যে হয়তো দু'চারজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ বৃদ্ধিপায় দেখাদেখি। অথবা পরিবারের চাহিদা মেটাতে।
মুসলিমদের মধ্যে শুধু হারাম মানতে দেখা যায় শুকুরে। তাছাড়া অন্যগুলি যা আছে সেগুলি যে হারাম সেটি কও মনেই করে না। আজ ফতোয়া খোজে হালালের ছকে ফেলানোর জন্য ঘুষকে বকশিস হিসেবে ধরে। হারাম টাকায় সবকিছুই যে হারাম সেটি আমরা আজ আর মানি না। গতকদিন আগে একজন তো জোড় গলায় দাবী করল সে যে ঘুষ নিচ্ছে শুধু ঘুষ নেয়ার অপরাধ হবে; খাবার তো সে হালাল খাবারই খাচ্ছে, আবার দান করছে তার জন্য তো নেকিও হবে। ধর্মজ্ঞান দেখে শুধু মুচকি হাসি ছারা কিইবা করার আছে।
আশ্চর্য হয় যখন মসজিদের নামাজ পড়তে গিয়ে মানুষ একে অপরের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়, মসজিদ থেকে বেরিয়েই শুরু করে কার কিভাবে দেখে নিবে। অনেকে তো দাবি করে আরে ধর্ম মেনে কে কবে উন্নতি করেছে; এসব ধর্মটর্ম মানুষকে দমিয়ে অনুন্নত করে রাখার প্রচেষ্টা। তাদের মতে ধর্ম না হয় বাদই দিলাম, রাষ্ট্রীয় আইনও তো অমান্য করছেন, ক্ষমতার বলে হয়তো বেচে যাচ্ছেন, নিজের বিবেকের কাছে খুশি প্রশ্ন করে জিতবেন তো আপনি?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩