চলমান ঘটনা প্রবাহের মধ্যে আমি বিশেষ করে এড়িয়ে চলি ধর্ষণের ঘটনাগুলি ও দলবাজির বক্তব্যগুলি। সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি গতকালই পরলাম, আগে শুধু হেড লাইন পড়েছি। যাহউক, এটা বাংলাদেশ, কুর্মিটোলা থেকে শাওড়া বাজার বা জোয়ার সাহারা প্রায় কিলো দুই হবে, ফুটপাত দিনের বেলাই নির্জন, আর রাতের অন্ধকারে তো চলাচলেরই অযোগ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ী ভুল করে নামাবে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ে ভুল করে শাওড়া বাজারের পরিবর্তে কুর্মিটোলা নামবে এবং কুর্মিটোলা থেকে শাওড়া বাজারে যাবার জন্য ফুটপাত দিয়ে হাটবে এ দেশে এটা বোকামী যেখানে অতি উন্নত দেশেও নির্জনে চলাচল ঝুকিপূর্ণ । যা হউক আমরা আশা করব বিচারের নামে যে জর্জ মিয়ার রূপে মজুন না হয়।
আমার দেখামতে সদ্য মধ্যবৃত্তে পা দেয়া পরিবার ও নগরায়নের ফলে বড়লোক বনে যাওয়া পরিবার যারা জীবনটাকে নাটক সিনোর মত মনে করেন তারা বিপদে পরে বেশি, তারা মনে করেন নাটক সিনেমায় যেভাবে অবাধে ছেলে মেয়ে চলাফেরা করতে পারে বাস্তবেও সেটা সম্ভব, কিন্তু বস্তুত সেটা যে আদতেও সম্ভব না সেটা তাদের মাথায়ই আসে না বা তারা মানতে চান না। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে যখন প্রাইভেটের নাম করে রাত ১০টা পর্যন্ত বাইরে থাকে তখন তারা বলে এ আধুনিক সমাজ, সেকেলে পদ্ধতিতে কি আর তাদের দমিয়ে রাখা যাবে। কলেজ পড়ুয়া মেয়ে যখন বান্ধবির বাসায় রাত কাটায় তখন আমরা আধুনিক মনে করি, আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েরা যখন বন্ধুবান্ধবী নিয়ে লং জার্নি বা ২/৩/৫ দিনের জন্য বেড়াতে যায় তখন আমরা গর্বের সাথে বলি বাংলাদেশ এখন আধুনিক হয়ে গেছে, মেয়েরা আর পিছেয়ে নেই একা চলতে শিখেছে।
এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে অধিকাংশ রেপ’এর ঘটনার সুত্রপাত প্রেম ঘটিত, আর গ্যাং রেপের ঘটনাগুলিও তাই, এক জনার সাথে দেখা করতে গিয়ে বিপদে পরে যায়। অন্যদিকে মাদক এবং পর্ণগ্রাফীও উষ্কে দিচ্ছে এসবে। কদিন আগেই কক্সবাজারে জীবন দিল একটি মেয়ে বন্ধুদের সাথে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে, শুধু যে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন হচ্ছিল সেখানে সেকথা কেও হলফ করে বলতে পারবে না, কারণ এ ড্রাগ কি জন্য মোটামুটি সবাই জানে। বেকারত্বও কম দায়ী নয়। কাথায় আছে বেকার মস্তিষ্ক শয়তানের আস্তানা।
অতএব আপনার মেয়েকে আপনাকেই আগলে রাখতে হবে, কেননা এটা বাংলাদেশ যেখানে পুলিশের সামনে ছিনতাই হয়, পুলিশের এসআই ধর্ষণের দায়ে কারাগারে যায়, ডিসি সাহেবেরা লাল বাতি জালিয়ে অফিস রুমে যৌনাচার লিপ্ত হয়, শিক্ষকেরা ক্লাসরুমে ছাত্রী ধর্ষণে মেতে ওঠে, নেতারা স্পেশাল বাংলোতে নিয়ে যায় ফুর্তি করতে, রিসোর্ট এর নামে অবাধে যৌন কর্ম করার সুযোগদান কারী প্রতিষ্ঠান চলে এদেশে।
আপনার মেয়েটি বড় হলে তারও যৌন চাহিদা আসবে, প্রেমে পরবে, রাতের বেলা বন্ধুদের সাথে পার্টি করতে চাইবে, বান্ধবীর বাসার কথা বলে বন্ধুর বাসায় যেতে চাইবে, কোচিং প্রাইভেটের নাম করে বন্ধুর সাথে পার্কে জড়াজড়ি করে বসে থাকতে চাইবে, রিক্সার হুড তুলে বসবে, রিসোর্টে যেতে চাইবে বন্ধুদের সাথে এটাই স্বাভাবিক। এসবের অধিকাংশ সময়ই ঘটে যায় যৌনাচার বা সেচ্ছা সেক্স বা ব্যাভিচারের মত ঘটনা আবার বদ লোকের খপ্পরে পড়ে হতে হয় গণ ধর্ষণও।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৮