ভাবনার ছোটোকাগজ। নতুন পদক্ষেপ। 5 ডিসেম্বর, 2006।
চযর্াকথন:
অনেকদিন পর আবার শুরু হ'লো চর্যা পূরাণ -এর পথচলা। আমাদের এবারের পথচলায় বিরতি আর না-আসুক সহজে।
তাই রবীন্দ্রনাথেই প্রার্থনা সারা যাক-
"কান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু. . ."
চর্যা পূরাণ -এর এই ভাবনায় আমাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন- তৌহিদ এনাম অপু, মাকসুমুল মোস্তাজী নিপুন।
আমরা জানি-
অপু, নিপুন, কুশল, বাকি, কাওসার, তোহা, রূপা, শুভ, রাসেল, সামিউল, শাকিল
. . .এখনো আমাদের সাথে
নীল একটা বন্ধুকে
তৎসম বাঙালি
1.
সানিদের নাগবাড়ি-ঘাটে
কতোবার গেয়ে গেছি ভুল!
ঈশ্বরী' স্বপ্নের ফেরে
কতো সুর হয় নি কো পাঠ্!
আমিও হো হারায়েই গেছি,
কবিতারা পাঠক হারায়েছে!
লালফুল শাপলার দল
কবেই সে' ভুলে গ্যাছে গান!
তাহাদেরই রঙ্ তুলে নিয়ে
রাঙা হোলো বিধাতার মুখ।
পুকুরের ওপারেই থেকে
প্রেমগুলো ম'রে গ্যালো খুব!
ভগবানও প'ড়েছেন প্রেমে
- এই কথা তারা কি জেনেছে?
2.
জানি না, কে এখোন রোজ
তোমারেই ছুঁয়ে যায় ঘুমে
কোন্ সে স্বপনেই আজো
বেজে চলো তুমি অবিরাম
জানি না কোন তারাপানে
কেটে যায় ঘুমহীন বেলা
কোন্ বেলাভূমি নদীপাড়ে
বেয়ে চলো স্নায়ুদের নাও
কোন্ দেশে সখি আজো তুমি
খুঁজে চলো ইউটোপিয়ারে
কোন্ কবি আজো রাতে নামে
ঈশ্বরসৃষ্টি-বিহারে
- সেই কথা আমারে শুধাও?
নীহারিকা বাঙাল-এর দু'টি কবিতা
1.
মহামান্য দুঃস্বপ্ন ও . . .
কান্ত আমি, দু'চোখ ভরা ঘুম, তাই -
আমার মায়ের সযত্নে পাতা বিছানায় ঘুমল্যে যাই,
চোখ বুজি। ঠিক তখনই চেঙ্গিসীয় প্রিতা
নিয়ে ছুটে আসে সেনাপতি দুশ্চিন্তা।
হাজারো চিন্তা ল অ-চিন্তা নিয়ে
শুরু হয় অনন্ত অশান্ত যুদ্ধ,
আমার চোখ বোজা-ই থাকে।
ফলাফল- পূর্বঘোষিত,
"ঘুম পরাজিত।"
সেনাপতি দুশ্চিন্তা মহামান্য দুঃস্বপ্নকে রাজা কোরে
ফিরে যায় তা'র ঘাঁটিতে।
আর, ঘুম
আবার তৈরি হয়
আশা- কবেকার হৃতরাজ্য পুনঃ কোরবে জয়।
2.
জ্যোৎস্নাস্নাত রাত
অপূর্ব রাত, তুমি, একাদশী চাঁদে কোরেছো স্নান।
ছাতিমের গন্ধমেখে আর সব
কোরেছো ম্লান।
শিশির শব্দে সবকিছুই মধু সঙ্গীতময়;
(এসব ছেড়ে মন কি আর ঘরের কোনে রয়?)
ব'সি যেয়ে তোমার কোলে
সবকিছুই ফেলে
আদর কোরে নাও টেনে আজ তোমার আঁচল মেলে।
হিমেল হাওয়া
সমীর কুমার দাশ
হায় হাওয়া, হিমেল হাওয়া!
তোমা' সাথে যেতে চায় মন;
বরষার প্রথম ধারাতে
শরতের কোন এক সাদা মেঘে
হৈমন্তী নবান্নে, কোন এক কৃষাণীর ঘরে;
শীতের শিশিরে হারাতে।
হিমেল হাওয়া,
প্রথম কুয়াশায় স্নাত হতে
কোনো এক চাঁদ ভরা রাতে
কোনো এক বাসন্তী কোকিলের ডাকে
তোমা' সাথে যেতে চায় মন;
গোধূলীর শেষ বেলাতে
কোনো এক সরিষা তে পাশে।
দিবা শেষে শ্রান্ত রবি যবে
গোধূলীর শেষ আলোয় পড়ি'ছে ঢলে;
তারই হাত ছুয়ে পূর্ণিমা' শশি
পুবের আকাশে হাসে
জ্যোছনায় ভেসে;
হায় হাওয়া, হিমেল হাওয়া!
তোমা সাথে যেতে চায় মন;
তেমনি কোন এক চাঁদের দেশে
কোন এক জ্যোছনায় ভেসে।
তুমি আছো আজো
কমল কৃষ্ণ রায়
তুমি হয়ত অনেক ক্রোশ দূরে, নয়তো চোখের অন্তরারে
তবু কই নও তো তুমি মনের সীমানার বাইরে।
ছেয়ে আছো, গেঁথে আছো এই সীমাবদ্ধ মনের সীমাহীন প্রান্তরে
যেন পরতে পরতে বিছিয়ে দিয়েছো বেদনার নীল রং।
এই যে ছিন্ন সম্পর্ক, কই আসলে সে কি ছিন্ন হয়েছে
তবে কেন তুমি আজো ব্যথা দিয়ে যাচ্ছ নিরন্তর
আমি আজো কিন্তু মুক্তির অপোয় তোমারই দুয়ারে
শীর্ণদেহ ভিখারীর ন্যায় দু'হাত মেলে সাহায্য প্রার্থী হয়ে অপোরত।
তুমি কি বলতো, তুমি কি এই হৃদয়ের হাহাকার শুনেও
স্বেচ্ছায় বধির হবার ভান করে আড়ালে
আমার সর্বনাশের উৎসব করছ
যদি ভেবে থাকো আমি দুর্বল, তবে ভুল করবে জেনে রাখো
তোমাকে একদা ভালোবেসেছি বলে- পেয়েছি বলে সামান্য
সৌজন্যবোধের আশ্রয় নিয়েছি যা তোমার কাছে হয়তো আমার
পরাজয় লাগছে, যা তোমার মনের সকীর্ণতারই পরিচয়।
সম্পাদনা পর্ষদঃ
কানাই (ইংরেজি '04),
সমীর (ইংরেজি '04),
আলীফ্ (ইংরেজি '04)।
প্রকাশনায়ঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

