কি পা-চাটা কুত্তা বলায় মাইড করলেন ? তাহলে দেখেন এর চেয়ে বেশি আর কি বলা যায় এদের !
মন্ত্রী বলেন আর এমপি বলেন, মওদুদ আহাম্মেদ বলেন সুরঞ্জিত সেন বলেন, জয়নাল আবেদিন বলেন আর সাহারা খাতুন বলেন অথবা কোন ওয়ার্ড আওয়ামী বা বিএনপি সভাপতি বলেন অথবা ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল সভাপতি বলেন এরা সবাই মুজিব ও জিয়া এই দুই পরিবারের গৃহপালিত পা-চাটা কুত্তা। তাদের এই পদবীটা আমরা দিচ্ছি না, এটা তাদের সংবিধানিক পদ, এরা সবাই সাংবিধান ভাবেই এক একটা পা-চাটা কুত্তা- তা কেউ পছন্দ করুক আর না করুক। সংবিধানকে কেউ অবশ্যই অস্বীকার করতে পারে না, এবং করেনা। বরং এদের স্বপ্নই "আমি আরও বড় পা-চাটা কুত্তা হবো, পা-চাটতে চাটতে আমার হাত মাটি পর্যন্ত ঝুলে যাবে", এই নিয়েই যত প্রতিযোগীতা"। কখনও পা-চাটায় সামান্য হেরফের হলে বাকি কুকুরের দল থেকে পিছিয়ে পরবে এমনকি লাথি দিয়ে বের করে দেবে প্রাসাদ থেকে যার উদাহরন অনেক আছে, ড. কামাল, বি চৌধূরী, কাদের সিদ্দিকী প্রমূখ। পর
সংবিধান কি ভাবে এদের কুত্তা বানালো ? এবার শুনুন সেই ইতিহাস ! বাংলার আপাময় জনগণ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বুকের রক্ত দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা তার সাথে বেইমানী করে দেশের তৎকালীন ৭ কোটি মানুষের সাথে প্রতারনা করে ১৯৭২ সালে যে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল তা একটি পরাধীনতার সংবিধান। শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের যে সংবিধান রচনা করা হয় তা এক কথায় ছিল হোসনি মুবারক, গাদ্দাফির মিশর লিবিয়ার আদলে পরিবারপ্রজাতান্ত্রীক বাংলাদেশের সংবিধানের মাধ্যমে।
এই সংবিধানে একই ব্যক্তি আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান থাকতে পারবে এমন সুযোগ রাখা হয় এবং অনুচ্ছেদ ৭০ মোতাবেক কোন নির্বাচিত সংসদ সদস্য যদি দলের "অর্থাৎ সেই সরকার প্রধানের" বিপক্ষে ভোট দেয়/কথা বলে তাহলে তার সংসদ সদস্য পদই বাতিল হয়ে যাবে। স্বাধীন দেশকে কোন ব্যক্তির কুক্ষিগত করার মনোবাসনা থেকে করা এই সংবিধান নিৎকৃষ্টতম, রাজতন্ত্রের চেয়েও খারাপ শাসনব্যবস্থা শাসনতন্ত্র। জনগণকে রাজনৈতীক দলের দাসে পরিনত করতে, তোষাম্মদ ও চাটুকারীর/ব্রিফকেস-পার্টির রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রণীত করা এই সংবিধানের মাসুল দেশর জনগণ গত ৪০ বছর যাবৎ দিচ্ছে। এর পর সংবিধানের অনেক পরিবর্তন হলেও কুকুরের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
কি এবার প্রমান হলো এরা সবাই সাংবিধানিক পা-চাটা কুত্তা ?
কারা এই সংবিধানের প্রস্তুত কারক ? ১৯৭০-এর পাকিস্তান রাষ্ট্রের নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য যারা কোরআনের শপথ নিয়ে পাকিস্তান রক্ষার অংঙ্গীকার করে নির্বাচন করেছিল। যাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের সংবিধান রচনা করবেন। তারাই করেছিলেন ১৯৭২ এর সংবিধান, যাদের বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির কোন নৈতিক অধিকার ছিল না। এই সংবিধান আসলে একটি অবৈধ্য জারজ সংবিধান। এই সংবিধান রচনার সাথে জনগণের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোন সম্পর্ক ছিল না। এই সংবিধানের স্বপ্ন বুকে নিয়ে কেউ সেদিন বুকের রক্ত দেয়নি।
এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্বের সর্বত্র গণপরিষদ গঠন করে সংবিধান রচনা করা হয়। যুদ্ধের পর সকল দল, ধর্ম, মতের মানুষ নিয়ে গণপরিষদ কোথায় ? গায়ের জোরে বললেই হলো নাকি যে আমি একা করবো ? পরে প্রশ্ন উঠবেই, আজ না হউক আরও পরে এই ভাবনা কি তখন তাদের মাথায় আসেনি, বিশ্বাস করতে হবে ? এই ভুলটা তখন কিভাবে করলো ? এতেই প্রমানীত হয় সংবিধানটা ম্যালইনটেনশন থেকে তৈরী - স্বেচ্ছাচারীতা থেকে তৈরী। যেমন আজ যদি একটা গণভোট নেয়া হয় এমনঃ একই ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান থাকতে পারবে না।
বলেন আজও এই সমস্ত পা চাটা কুত্তাদের কি আর ভোট দেয়া উচিত ? পা চাটা কুত্তারা দেশ ও জনগণের কি উপকার করবে ? এরা কোন দিন এই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে ?
এবার কিছু আসল বড় বড় কুত্তার ছবি।
পাঠক আরও কিছু মানুষকুত্তার ছবি যোগ করে পোষ্টটি সমৃদ্ধ করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




