দেখা যাক পার্থ সরকারের ব্যাঙ্কের লাইসেন্স দেয়ার নতুন তালিকা সম্পর্কে বিজেবির সভাপতি কি বললেন : আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি হিসাব সংক্রন্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড, সাংসদ ফজলে নূর তাপসের মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান ও নসরুল হামিদের প্রস্তাবিত মেঘনা ব্যাংক, মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রস্তাবিত ইউনিয়ন ব্যাংক সহ ৫ টি নতুন ব্যাংক লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবরে প্রকাশ। কিন্তু এই ব্যাংকগুলোর উদ্যেক্তাদের আয়ের উৎস নিয়ে আজকে সংসদ অধিবেশনে প্রশ তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। মহাজোট সরকারকে ব্যাংকারদের সরকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম, আওয়ামী লীগ গরীব মানুষের সরকার। এখন দেখছি ব্যাংকারদের সরকার।’
"তিনি বলেন, ‘একটি ব্যাংক চালু করতে ৪ শ’ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। একজন পরিচালককে দিতে হয় ৩২ কোটি টাকা। কিন্ত সরকারি দলের যে লোকদের ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাদের নির্বাচনী হলফনামায় লাখ টাকার হিসাব দেওয়া ছিল। তারা ৩ বছরে কীভাবে ৪ শ’ কোটির টাকার মালিক হলেন?"
তিনি বলেন, ‘মানুষ দুর্নীতি করে লুকিয়ে লুকিয়ে। এখন দেখছি এ সরকারের দুর্নীতি খুললাম খুললাম অবস্থা।’
আমাদেরও পার্থের মত একি প্রশ্ন, নির্বাচনী হলফনামায় যাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে দেয়া হিসেবে ৩০-৪০ লাখ টাকার বেশী ছিলনা তারা এই তিন বছরে এমন কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন যে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক খোলার আবেদন করেছেন??
... আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘সরকারের পছন্দের লোককে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়ায় মাত্র দু’টি পরিবারের কাছে আমাদের বিদ্যুৎ খাত বন্দি আছে। সরকার ৪হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ হাতে নিলেও ওরিয়ন গ্রুপকে ১২ শ’ মেগাওয়াট ও সামিট গ্রুপকে ১২ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৪হাজার মেগাওয়াট বিদুতের মধ্যে ২৪ শ’ মেগাওয়াট-ই কেবল দু’টি গ্রুপকে দেওয়া হয়েছে। এ দু’টি গ্রুপ এখন বিদ্যুতের মাঠে ম্যারাডোনা-মেসি।
৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিলে বিদ্যুতের এই দৈন্যদশা হতো না দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, কুইকরেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের পর চায়নায় আর কোনো ভাঙা মেশিন নেই। সব ভাঙা মেশিন বাংলাদেশে এক্সপোর্ট করেছে তারা।
তার সংসদের আলোচনা ভালো লেগেছে। এমনই গঠনশীল আলোচনা হওয়া উচিত সংসদে। সেখানে কাকে কোলে তুলে নিয়ে ক্ষমতায় কে বসালো বা আরো কিছু - কে মদ খেয়ে গাড়ী চালিয়েছিল, কার কুৎসিৎ মুখ দেখে মানুষ টেলিভিশন বন্ধ করে, কার জন্ম ভারতে আর কার জন্ম পাকিস্তানে এসব কথার জন্য সংসদ নয়। এমনটি দেখে জাতি সত্যিই হতাশ হবে।