somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কলো টাকা সাদা করার ইতিহাস (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার)

০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের সময় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে। ১৫ শতাংশ কর প্রদার করার বাধ্যবাদকতা দিয়ে মাত্র ৭০ কোটি টাকা সাদা করা হয়। এসময় সরকার রাজস্ব পায় ১০ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরে ঠিক একই সুযোগ করে দেওয়া হয়।

এরপর দ্বিতীয়বারের মত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয় ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে এরশাদের আমলে এবং কর ধরা হয় ২০ শতাংশ। এসময় ২০০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয় এবং সরকারের কোষাগারে জমা হয় ৪০ কোটি টাকা।

১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে কর ধরা হয় ১০ শতাংশ এবং শর্ত দেওয়া হয় ’শিল্পে বিনিয়োগ করলে বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া হবে’। এসময় ২৫০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয় আর সরকার রাজস্ব পায় ৩৫ কোটি টাকা।

১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে নিয়ম একই থাকে, সাদা হয় ৪০০ কোটি টাকা আর সরকার পায় ৪০ কোটি টাকা।

১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের আমলে সব মিলিয়ে ১০০০ কোটি কালো টাকা সাদা হয় এবং সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে ১০০ কোটি টাকা।

বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান। বিএনপি আমলে ৭৭৫ কোটি টাকা সাদা হয়। যেহেতু সেসময় কোন কর ধার্য করা হয়নি সেহেতু সরকারের পকেটে একটি টাকাও আসেনি। তবে শর্ত ছিল সেবার শিল্প বাণিজ্যে বিনিয়োগ করতে হবে। সব মিলিয়ে কালো টাকা সাদা করেন ১ হাজার ৭৭ জন।

২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন সাহেবের সরকার আসার পর দুবছরই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়। তবে এসময় কালো টাকা না বলে অপ্রদর্শিত আয় বলা হয়েছিল। প্রথমবার ৪২ হাজার ৫৯১ জন করদাতা এ সুযোগ গ্রহন করে ৮ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা সাদা করেন মানে অপ্রদর্শিত আয় ঘোষনা করেন। সরকার রাজস্ব আদায় করে ৮০৩ কোটি টাকা।

পরের অর্থবছরে সুযোগ দেওয়া হয় চার মাসের জন্য। সুযোগ লুফে নেন ১৪ হাজার ৬২২ জন করদাতা এবং ৭৮৮ কোটি টাকা অপ্রদর্শিত আয় ঘোষনা করে সরকারকে জরিমানা দেন ১০৮ কোটি টাকা।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×