।কিন্তু ফিল্মটি দেখে এসে রিভিউ দেয়ার লোভ সাম্লাতে পারলাম না
খুব ভাব নিয়ে গেছি ফিল্ম দেখতে একা একাই.।
এবার আসা যাক আসল কাহিনীতে।
জন এম.চু এর পরিচালনায় জি.আই.জো সিরিজের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র জি.আই. জো : রিটালিয়েশন।
আই.এম.ডি.বি রেটিংঃ ৬.২/১০
আমার রেটিংঃ৭.৫
রোটেন টমেটো রেটিং ২৮%
প্রথমে দেখা যাক কার আছেন এই ফিল্মটিতেঃ
ডোয়াইন জন্সন (দ্যা রক)- রোডব্লক
ব্রুস উইলিস-জেনারেল জোসেফ কল্টন
চ্যানিং ট্যাটাম- ডিউক
জোনাথন প্রাইস-ইউ.এস প্রেসিডেন্ট
বিউং হান লি- স্টর্ম শ্যাডো
রে পার্ক- স্নেক আইস
আদ্রিয়ানে পালিকি-লেডি জে
এলোডি ইয়ং- জিনক্স
রে স্টিভেন্সন-ফায়ারফ্লাই
ডি জে কট্রনা-ফ্লিন্ট
লিউক ব্রেসি- কোবরা কমান্ডার
মুল কাহিনিঃমিলিটারি এলিট দল জি.আই. জো। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তারা পাকিস্তান থেকে পারমানবিক অস্ত্র লুট করেছে। তাদের দমন করার জন্যে প্রেসিডেন্ট সশস্ত্র দল পাঠান।প্রেসিডেন্ট এর পাঠানো আর্মি টিমের সাথে জি.আই.জো'র সংঘর্ষ হয়। ডিউক সহ অনেকে নিহত হন। বেঁচে জান রোডব্লক, ফ্লিন্ট আর লেডি জে।আসলে এই ঘটনার পেছনে ছিলো কোবরা স্পাই জার্টান। সেই পারমাণবিক অস্ত্র লুটের ঘটনাটি সাজিয়ে জি.আই. জো দলকে ফাঁদে ফেলে।
এদিকে জার্মানির একটি আন্ডারগ্রাউন্ড প্রিজনসেল থেকে কোবরা কমান্ডার লিউক ব্রেসি কে উদ্ধার করে স্টর্ম শ্যাডো ও ফায়ারফ্লাই। পালানোর সময় স্টর্ম শ্যাডো আহত হয়। এবং তাকে চিকিতসার জন্যে হিমালয়ের একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়।আরাশিকেজ ক্ল্যান এর লিডার ব্লাইন্ড মাস্টার একথা জানতে পেরে স্নেক আইস আর তার সহযোগি জিনক্সকে পাঠান স্টর্ম শ্যাডোকে ধরে নিয়ে আসতে। কারন সেই জানতো জিনক্সের বাবা হার্ড মাস্টারের হত্যাকারি কে?
অন্যদিকে রোডব্লক,ফ্লিন্ট আর লেডি জে অ্যামেরিকায় ফিরে আসে এবং একটি পুরাতন জিমহাউজে তাদের বেসক্যাম্প গড়ে তোলে। দেশে ফিরে তারা জানতে পারে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছে দেশের নিরাপত্তার জন্য কোবরা জি.আই. জো দলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। এ খবর শুনে লেডি জে সন্দিহান হয়ে পড়েন আসলে এটা প্রেসিডেন্টের আদেশ কিনা। রোডব্লক সবাইকে নিয়ে জি.আই.জো জেনারেল জোসেফ কল্টনের কাছে যান। তিনি তাদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র যোগান দেন এবং একটি ফান্ডরেইজিং ইভেন্টের আয়োজন করে দেন যেখানে প্রেসিডেন্টও আমন্ত্রিত থাকবে।লেডি জো কৌসলে প্রেসিডেন্টের ডি.এন.এ সংগ্রহ করেন এবং নিশ্চিত হন জি.আই.জো কে সমূলে নিঃশেষ করে দেয়ার পিছনের হাতটি প্রেসিডেন্টের নয়।আসলে তা কোবরা'র জার্টানের ষড়যন্ত্র।সেখান থেকে পালাবার আগমুহুর্তে তাদের সাথে মুকাবিলা হয় ফায়ারফ্লাই আর যান্দার এর সাথে।যান্দার ছিলো প্রেসিন্সিয়াল ডিটেইলের হেড এবং টিম কোবরা মেম্বার।
স্নেক আই আর জিনক্সের সাথে যুদ্ধ বাধে স্টর্ম শ্যাডোর। যুদ্ধে শ্যাডো পরাজিত হয় এবং তাকে জাপান নিয়ে যাওয়া হয়। তখন স্টর্ম শ্যাডো জানতে পারে হার্ড মাস্টারের আসল হত্যাকারি আসলে জার্টান। সে আসলে তার চাচা হার্ড মাস্টারের হত্যার প্রতিশোধ নিতে কোবরাদের দলে ভিড়েছিল। এরপর স্নেক আইস, জিনক্স আর স্টর্ম শ্যাডো কোবরাদের থামাতে যোগ দেয় জো'দের সাথে।
জার্টান বিশ্ব নেতাদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে সে তাদের পারমানবিক অস্ত্র তৈরির কর্মকান্ড বন্ধ করে দিতে বলে। এবং সবাইকে প্রজেক্ট জিউস নামে তার নতুল প্রকল্পের কথা জানায়। সে তার শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর জন্যে হামলা চালিয়ে সেন্ট্রাল লন্ডন পুরো লণ্ডভণ্ড করে দেয়। এবং বিশ্ব নেতাদের হুমকি দেয় তার কথা মত না চললে অন্যান্য বড় শহরগুলোরও একই দশা হবে।স্টর্ম শ্যাডো কোবরা কমান্ডারদের ধোকা দেয় এবন জার্টানকে মেরে ফেলেন। এবং কোবরাদের ধোকাবাজি সবার সামনে নিয়ে আসেন।কোবরা কমান্ডার অন্য ৬ টি মারণাস্ত্র সক্রিয় করে দেন আর ফায়ারফ্লাইকে নির্দেশ দেন সেগুলোকে রক্ষা করার।পরে রোডব্লকের সাথে ফায়ারফ্লাই এর লড়াই বাধে এবং ফায়ারফ্লাই নিহত হয়। লেডি জে আর জেনারেল কল্টন উদ্ধার করেন আসল প্রেসিডেন্টকে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কোবরা কমান্ডার পালিয়ে যায়। চাচার মৃত্যুর বদলা নিয়ে স্টর্ম শ্যাডো উধাউ হয়ে যায়। আসল প্রেসিডেন্ট জাতির সামনে পরচিত করে দেন রোডব্লক,ফ্লিন্ট,লেডি জে,জিনক্স আর স্নেক আইস কে।এবং তাদের জাতীয় বীর ঘোষনা দেন।
ফিল্মিটির শুরুতে পাকিস্তানকে একটি আন্সট্যাবল ন্যাশন হিসেবে দেখানোর জন্যে পাকিস্তানের সেন্সর বোর্ড ফিল্মটিকে ছাড়পত্র দেয়নি।
দুর্দান্ত একশনে ঠাসা ফিল্মটি সমালোচকদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছে।রোটেন টম্যাটো রেটিং ২৮%
এতো সমালোচনার পরেও জুন ৩০ এর মধ্যে ফিল্মটির শুধু উত্তর আমেরিকাতেই আয় করেছে $122,393,554 আর পুরো বাকি অংশে$249,400,000। মুক্তির দিনেই উত্তর অ্যামেরিকায় এর আয় ছিলো $10.5মিলিয়ন ডলার। ইস্টারের ছুটিতে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিল্মগুলোর মধ্যে আয়ের দিক থেকে এটি দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে 'ক্ল্যাশ অফ দ্যা টাইটান।সিনেমাস্কোরের মতে অধিকাংশ দর্শক সিনেমাটিকে রেটিং করেছে A- গ্রেডের মধ্যে।
ফিল্মটির ডিভিডি ও ব্লু-রে মুক্তি পাবে ৩০ জুলাই ২০১৩ তে। আর ২৮ মার্চ থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে 3D তে চলছে ফিল্মটি। সময় করে দেখে আসুন জি.আই.জোঃরিটালিয়েশন
ডিভিডি রিপ বা ব্লু রে আসার আগে আমি কখনো মুভি নামাই নি। আর ডিরেক্ট ও নামাইনি। টরেন্ট লিঙ্ক দিলাম। কাজ না হইলে পোস্টার হিসেবে আমি দায়ি নই। কারন লিঙ্কটি আমি ট্রাই করি নাই।জি.আই.জো'র টরেন্ট লিঙ্ক-
Click This Link
**রিভিউটি ফেইসবুকের মুভি অ্যান্ড সিরিজ অ্যাডিক্টেড গ্রুপে প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




