একটা নিউজ দেখলাম, অস্ত্রোপাচারের আগে মুস্তাফিজকে ফোন করে সান্তনা দিয়েছেন, অভয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চমৎকার খবর, প্রেরণাদায়ক। ইতোমধ্যে এ নিয়ে অনেককেই উল্লাস করতে দেখেছি। তখনই হঠাৎ মনে আরেকটা প্রশ্ন আসলো, মুস্তাফিজের অপারেশনের আগের দিনই বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে এক বাংলাদেশীকে। আচ্ছা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি সেই নিহতের পরিবারকে ফোন করেছেন? সান্তনা দিয়েছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন?
.
নাহ, কোনো বিরোধীদলীয় নেতার গুম হবার পর সান্তনা দিতে বলবো না। বলবো না, ঝিনাইদহের রঘুনাথপুরের মাদ্রাসা শিক্ষক ইদ্রিস আলির পরিবারকে সান্তনা দেওয়ার কথা। যে শিক্ষককে শাদা পোশাকধারী পুলিশ তুলে নিয়ে গেছিলো। অত:পর তার লাশ পাওয়া গেছে ট্রাকের নিচে, বলা হয়েছে ট্রাক এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
ওই শিক্ষক হয়ত মানুষ না, হয়ত জামায়াত।
কার ইশারায় গুম হয়, সেটা তো ওপেন সিক্রেট! সান্তনা চাওয়া বাতুলতা। তাছাড়া, এসব স্বাধীনতাবিরোধীরা মরুক, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না!
.
কিন্তু সীমান্তে মারা যাওয়া লোকটি তো রাজনীতির বাইরের ছিল!
হয়ত আমিই ভুল করছি। নিহতের পরিবার তো এমনিতেই সর্বশান্ত হয়েছে। নতুন করে সান্তনা দেবার দরকার কী?
তাছাড়া লোকটা বোধহয় গরুচোর ছিল। গরুচোরের মৃত্যু নিয়ে কথা বলে, প্রধানমন্ত্রী তার "পবিত্র" মুখ, অপবিত্র করবেন না কী!
প্রকৃতপক্ষে সীমান্তে নিহতদের সান্তনা দিতে গেলে, প্রধানমন্ত্রীকে হয়ত প্রতি সপ্তাহে দু দিন বরাদ্দ রাখতে হবে, শুধু সান্তনা দেবার জন্যে, প্রতিনিয়তই যে মারা পড়ছে মানুষ!
.
আচ্ছা, আমাদের কি দেশ আছে? আমরা যারা ছোটলোক গরীব গরুচোর আমাদের কোনো দেশ নেই, অধিকার নেই, প্রধানমন্ত্রী নেই। আমাদের হয়ে কে কথা বলবে? কে অভয় দিবে? বেঁচে থাকাই অনিশ্চিত, আর সান্তনা!! সে তো আকাশ কুসুম কল্পনা
Kausar alam
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১