বিচারকরা সাফ জানিয়ে দিলেন, 'তুমি ভালো করোনি, আমরা তোমাকে ঢাকায় নিতে পারছি না।' মাথা হেঁট করে নেমে গেলেন অরিন। হঠাৎ বিচারক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আবার মঞ্চে ডাকলেন তাকে। আরেক বিচারক কুমার বিশ্বজিত জানতে চাইলেন, বড় দুঃখের পর খুব আনন্দ পেলে কেমন লাগে? উত্তর না শুনেই বললেন, তোমাকে আমরা ঢাকায় যাওয়ার ইয়েস কার্ড দিচ্ছি। এ কথা শেষ হতে না হতেই বিচারক ফাহমিদা নবী বললেন, 'আমরা যুক্তি করেই তোমার সঙ্গে এমন করলাম।' এমন নাটকীয়তার মধ্য দিয়েই দ্বিতীয় প্রতিযোগী হিসেবে ঢাকায় দ্বিতীয় রাউন্ডের ইয়েস কার্ড পান তাসমিনা চৌধুরী অরিন। এর আগে সারাদেশ থেকে 'গাও বাংলাদেশ গাও' শীর্ষক ক্লোজআপ তোমাকে খুঁজছে বাংলাদেশ 2006 প্রতিযোগিতার প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ইয়েস কার্ড পান বিবিএর ছাত্রী সৈয়দা অনন্য। এভাবে একে একে 96 জন প্রতিযোগী থেকে বিচারকরা আধুনিক, লালনগীতি, পল্লীগীতিসহ বিভিন্নগান শুনে নানাভাবে যাচাই-বাছাই করে দ্বিতীয় রাউন্ডের ইয়েস কার্ড দিয়েছেন 7 প্রতিযোগীকে।
সোমবার চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে সকাল থেকেই প্রতিযোগীরা আসতে শুরু করেন। ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের। তবে সকাল সাড়ে 9টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অডিশন পর্ব শুরু হয় আরো তিন ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে 12টায়। একে একে 22 জন প্রতিযোগীর পর প্রথম ইয়েস কার্ড পেয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটান সৈয়দা অনন্য। অভিন্ন অভিব্যক্তি ইয়েস কার্ড পাওয়া চৈত মুৎসুদ্দি, শারমিন চৌধুরী দিনাসহ অন্যদের। অডিশন রাউন্ডে বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন পিয়ারু খান, জালাল আহমেদ, বাসুদেব ঘোষ, সুমনা বর্ধন, মনোয়ার হোসেন টুটুল, আনিসুর রহমান তনু, প্রণব ঘোষ, সুজেয় শ্যাম, সেলিম আশরাফ ও পার্থ বড়ূয়া।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০