আমার বিগত একটি পোস্টে প্রশ্ন ছিল- ‘সিআইএ’, ‘র’, এবং ‘আইএসআই’-এর সাথে যোগসাজশের অভাবে প্রধানমন্ত্রী ২০০১-এ ক্ষমতায় আসতে পারেননি। এবারে যে ২০০৮-এ ক্ষমতায় এসেছেন, সেটা কী তাহলে তাদের সাথে যোগসাজশ করেই এসেছেন?
বিগত ৬-৭ মাসের হিসাব, সেনা প্রত্যাহারের পর বিবদমান ত্রি-পক্ষের লড়াইয়ে অন্তত নিহত হয়েছে ৫০ এরও বেশি। এছাড়াও পরস্পরের উপর সশস্ত্র হামলা ২৬ , বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে ১৯ বার, আহত শতাধিক, অপহরণ ২২, চাঁদাবাজি হিসাব ছাড়া।
* পাহাড়ে জামাতী ভাবধারার ছাত্র সংগঠন ‘বাঙালি ছাত্র পরিষদ’ তৎপর রয়েছে। খাগড়াছড়িতে উপজাতিদের ঘর পোড়ানোয় জামাত-শিবির ক্যাডার মূল ভূমিকা পালন করে। এদের অনেকেই বিদেশীদের দালাল। এ কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের সমীহ করে চলে।
* নাকদারাসুরে এখন উলফাসহ ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপগুলো ঘাঁটি স্থাপন করেছে বলে মিডিয়া তেমন কিছু প্রকাশ না করলেও আমরা সকলেই এ ব্যপারে নিশ্চিত। উলফা সম্পর্কিত খবর থেকেই এ বিষয়ে স্পষ্ট ইশারা পাওয়া যায়।
* নিষিদ্ধ ঘোষিত এনজিও হেরিটেজ, রাবেতা আলেম আল ইসলামী, এনাম আর নট, তাওহীদ ট্রাস্ট এ ব্যাপারে অর্থায়ন করছে। এদের সঙ্গে আল কায়েদারও যোগসাজশ রয়েছে।
* এছাড়া দুগর্ম পাহাড়ি এলাকায় গভীর অরণ্যে সবজি চাষের ফাঁকে ফাঁকে গাঁজা, হাসিস, আফিম, পপি চাষ করা হচ্ছে। ভূমি নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি বিরোধ জিইয়ে রাখা হয়েছে। জমির মালিকানা পাহাড়িদের বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না। এই বিরোধ জিইয়ে রেখে দেশী-বিদেশী চক্র তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
.............সব মিলিয়ে পাহাড়ের অবস্থা ঘোর বিপদসঙ্কুল।
পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সুযোগেই কি এ অব্যাহত সন্ত্রাস আর খুনোখুনি?
কিছুদিন আগে আমি আমার একটা পোষ্টে আমাদের সরকারদের র" সি.আই.এ আইএসআই এবং মোসাদের যোগসাজশ বিষয়ক একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম, আমার মনে প্রশ্ন, পাহাড় থেকে সেনা সরানোও কি তাদেরই ইঙ্গিত?
____________________
১২ মার্চ: গনতন্ত্র ফাঁস হল যেভাবে....(?)
____________________
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৩