আজকের হরতাল লইয়া দেখলাম ফেবুতে হাসাহাসির ছড়াছড়ি...বুঝলাম না ব্যাপারটা...যারা হরতাল ডাকছে ওরা রাস্তায় খাড়াইয়া লাঠি আর বোমা দিয়া পিকেটিং করলেই মনে হয় খুব বেডাগিরি হরতাল হইতো, নাকি...
আজকের হরতাল নিয়া অনেকের নানা মত থাকতেই পারে...জেল হত্যা দিবসে অর্ধদিবস হরতাল ডাকায় অনেকে এর পেছনে অন্য গন্ধ খুঁজতেই পারেন...অথবা যে ইস্যুতে হরতাল ডাকা হয়েছে সে ইস্যুতে আপনি হিস্যু করতেই পারেন...কিন্তু যৌক্তিক কারণে ডাকা শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনকে আপনি খাটো করে দেখতে পারেন না...
এটাই হরতাল পালনের সঠিক এবং আধুনিক উপায়...হরতাল ডাকা যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার তেমনি মানা বা না মানটাও গণতান্ত্রিক অধিকার...কিন্তু হরতাল পালনে বাধ্য না করার বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা মূর্খতা বা বলদামির নামান্তর...
অবশ্য ছােটবেলা থেকেই দেখে আসছি, যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে আমাদের পুটুতে কেউ কইষা রোলের বাড়ি দিলে পাছু ডলতে ডলতে আমরা বলে উঠি 'নারে ভাই, বেডার জিদ আছে'...আর কেউ ভদ্র ভাষায় বিষয়টি বুঝিয়ে বললে, আমরা বলে উঠি 'আরে ধুর। হালায় পুরাই ম্যান্দা মারা'...এতোদিনের অভ্যাস ছাড়ি কেমনে!!!
বি:দ্র: আমি গণজাগরণ মঞ্চের কেউ না। তবে যে ইস্যুতে মঞ্চের জাগরণ হয়েছিলো আর সবার মতো সে ইস্যুর একজন সমর্থক। গণজাগরণ মঞ্চের যখন সরগরম অবস্থা তখন যারা মঞ্চের পরিচালক বা স্টার হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিলেন তারা একেকজন একেক মতাদর্শে বিশ্বাসী তাই এর কার্যক্রম বছরের বছর একত্রে চলবে একথা গর্দভেও বিশ্বাস করবে না। হয়েছেও তাই। আস্তে আস্তে তখনকার নায়কেরা একেকজন তার নিজ নিজ পথে হাঁটা শুরু করেছেন অথবা তাদের হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে।
এই নায়কদের সর্ম্পকে আমি এক-আধটু জানি। কয়েকজনকে এক-আধটু চিনি। সেই চেনাজানা থেকেই তখন আমি আমার স্ট্যাটাসে বলেছিলাম এদের মাঝেই বিশ্বাসঘাতক লুকিয়ে রয়েছে। যারা শুধু ফায়দা লটুবে আর নিজের তারাখ্যাতি উজ্জ্বলতর করবে।
বহুটুকরো গণজাগরণ মঞ্চের ক্রমশ জাসদ-বাসদ হাল দেখে মনটা খারাপ হয় বটে। তাই বলে আমি কখনোই আশা করিনি 'গণজাগরণ মঞ্চ' রাজনৈতিক দল হিসেবে আর্বিভূত হোক। আশা ছিল সঙ্কটে সমাধানে জাগবে গণজাগরণ মঞ্চ।
শুনেছি গণজাগরণ মঞ্চের মুখপত্র ইমরান এইচ সরকার রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন। এ নিয়েও তাদের মধ্যে টানাপােড়েন চলছে।
নিজে 'তারা' নই, তাই বলে 'তারা'-দের পতন দেখে উল্লাস বোধ করি না...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪