![]()
‘আল্লাও আমেরিকা নিতে পারে না’ এটা আমার এক আত্মীয়ের বক্তব্য। বেশ কয়েকবার বিভিন্ন উপায়ে শখের দেশ আমেরিকায় যেতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে তার মুখ দিয়ে এ কুফরী বক্তব্য নির্গত হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, বাঙালীদের বিশেষ করে বর্তমান সময়ে গজিয়ে ওঠা তথাকথিত শিক্ষিতদের আমেরিকা প্রীতি সর্বদা মুখিয়ে থাকে। ভাবে ইউরোপ-আমেরিকায় ছেলে মেয়েটাকে একবার পাঠিয়ে দিতে পারলে, আর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা থাকল না। তারাই ভবিষ্যত গড়ে দিবে। আর একবার আমেরিকায় যেতে পারলে, বনে যায় ‘আমেরিকান সিটিজেন’। চলন বলনে বিজাতীয়দের অনুসরণ-অনুকরণ। মাটিতে তো আর পা পড়ে না। এমন ভাব দেখায়, যেন তার পয়দা হয়েছে আমেরিকাতেই।
এই রকমই ভাবত নাফিসের মা-বাবা। ২০-২২ বছরের ছেলেকে পশ্চিমা স্টাইলের নর্থ সাউথে পড়িয়ে আরো আধুনিক (!) করতে পাঠায় আমেরিকাতে। কারণ ঐ একটাই ‘আমেরিকার মুহব্বত থেকে আমেরিকান হতে চাওয়া’।
“মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী, অতঃপর মুশরিক” (সূরা মায়িদাহ: ৮২)
“হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। (সূরা মায়িদাহ:৫১)
প্রকৃত অর্থে নাফিসরা এ আয়াত শরীফ সমূহের মমার্থ না বুঝে আমেরিকাকে বন্ধু ভাবলেও, আমেরিকা কিন্তু নাফিসকে বন্ধু ভাবে না। তারা জানে নাফিস মুসলমান। আর মুসলমান মানেই তাদের ঘোর শত্রু। আর তাই কথিত স্টিং অপরেশনের নামে নাফিসকে চালবাজি করে বানিয়ে দেয়া হয়েছে ‘কথিত জিহাদি’। দেয়া হয়েছে ৩০ বছরের সাজা। তবে নাফিসের করুন পরিণতি দেশের আরো নাফিস ও তাদের পশ্চিমা মাইন্ডের বাবা মায়ের বোধ উদয় করবে কি না তাই ভাববার বিষয়......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



