¤এইমাত্র বাসায় ফিরলাম। টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় এবং পুলিশের তাড়ানী খেয়ে মোটামুটি অবস্থা বেগতিক। পুলিশ জায়গাটা ঘিরে রাখছে খুব একটা মানুষ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। সংকীর্ণ পথ হওয়ায় উদ্ধারকাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না ।
¤বলে রাখা ভাল, চট্রগ্রাম নগরী এখন গুজবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শুরুতেই আমিও ৫শর মত মারা যাওয়ার গুজব শুনি । তাই এইসব খবরে কান না দেওয়া ভাল। লাশের সংখ্যা ৫০ বা তাঁর চেয়ে সামান্য কম বা বেশি হতে পারে । তবে শতের উপরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই। (এই পেইজের এডমিনের আরেকজন সোর্স বলছেন লাশের সংখ্যা ২০ এর অধিক হবে না)
¤ফ্লাইওভারটার নিচে ভাসমান কাঁচা বাজার এবং পুকুড় পাড়ে রাত্রে অনেকেই আড্ডা দেওয়াই ধারণা করা হচ্ছে যে শতের উপর চাপা থাকতে পারে।তবে তা ঘটার সম্ভাবনা কম মনে হল। উদ্ধারকাজ শেষ হলে জানা যাবে ।
¤জামাত শিবিরের প্রচুর কর্মী আশেপাশে ছড়িয়ে আছে। তারা ইতিমধ্যে মারাত্মক একটি গুজব ছড়িয়েছে। যেমন সরকার নাকি লাশ গুমের চেষ্টা চালাচ্ছে! তাই বিক্ষুব্ধ জনতার পাশাপাশি তারাও প্রচুর ভাংচুর চালাচ্ছে।
- মাই ফরবিডেন কিংডম।
বহদ্দার হাটের দুর্ঘটনায় বাক রুদ্ধ ।১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম ।একের পর এক আহত মানুষ ঢুকতেসে ,অবস্থা দেখে হতাশ !হসপিটালে যখন ছিলাম তখন রাত ১১ টার দিকে আহত এক পুলিশ কনস্টেবলকে ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে আনা হল ।তার বাম পায়ের উরুতে গুলি খাইসে ,ক্রমাগত ব্লিডিং হচ্ছে ।জানাল দুর্ঘটনার স্থানে হঠাত একদল মানুষ সাধারন জনগণকে উস্কানি দিয়া পুলিশের সাথে দাংগা বাঁধায় দিসে ,পাবলিক পুলিশ পিটাইসে !কথা হচ্ছে সাধারন জনগ
নের কাছে বন্দুক আসলো কোত্থেকে ?বাংলাদেশের সাধারন জনগন কি ইদানিং বন্দুক নিয়া রাস্তায় চলাফেরা করে নাকি ??নাইলে পুলিশরে গুলি করল কে ??আরও গুজব ছড়ান হচ্ছে সরকার নাকি ঘটনাস্থল থেকে লাশ গুম করার চেষ্টা করতেসে !আবার ঐদিকে গাঞ্জাম লাগায় দিয়া উদ্ধারকারী দলকেও ঠিক মতো কাজ করতে দিতেসে না !কাহিনী কি ??একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকেও পুঁজি করে এর ভিতর থেকে চান্স নেওয়ার নোংরামি শুরু হইল !
- রাফসান সালমান মাহমুদ (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ)
লাস্ট খবর পাইলাম পুলিশ নাকি ঐ যায়গার আশেপাশে থেকে কয়েকটা জামাতের লোক আটকাইসে ।