বুজতে পা্রছিনা দেশটা কি হিরক রাজার দেশ হয়ে যাচ্ছে নাকি ধীরে ধীরে?? এক সময়ের বীরের জাতী এত দ্রুত কি করে অসভ্য, বর্বর, হিংস্র, বিবেক ও মনুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে?? নিজের বা নিজের গোষ্ঠি বা দলের স্বার্থ ছাড়া কেন অন্য কিছু বোঝেনা? এতদিন ভাবতাম কাঁঠাল কেন আমাদের জাতীয় ফল? তরমুজ জাতীয় ফল হওয়া উচিৎ, কারণ এর উপরে সবুজ কিন্তু ভিতরে লাল।কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পর বিষয়টা আমার মত মূর্খের কাছে পরিষ্কার হলো।কাঁঠাল যেমন বাইরে থেকে একটি পুরো বা আস্ত বা গোটা একটা ফল মনে হলেও ভাঙার পর প্রত্যেকটি আলাদা আঁটি বা বীজ সম্বলিত রোয়া পাওয়া যায়, আবার খাওয়ার প্রক্রিয়াতেও তেল অত্যাবশ্যক ঠিক তেমনি দেশের সাধারন জনগনকে দেখতে এক মনে হলেও আদতে আমার সবাই ঐক্যহীন, কেবল নিজ স্বার্থ বোঝে এমনই স্বতন্ত্র মানুষ। আর যেকোন কাজ সুষ্ঠ ও দ্রুত করতে চাইলে তেল মানে ঘুষ বা চামচামীঅতিব দরকারী বস্তু। এদেশে চোর, ডাকাত, মজুদদার, ব্যবসায়ী, ড্রাইভার, হেলপার, অন্যান্য সকল পেশাদারদের জোট আছে, শুধু সাধারন মানুষ আমরা যারা তাদের কোন ঐক্য নেই।কথায় আছে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় আর নলখাগড়ার প্রাণ যায়। না হলে গত দু’দিন আগে নিউ মার্কেট এলাকাতে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে অনাকাঙ্খীত ঘটনা ঘটে গেল, এদের মধ্যে যদি কোন্ একদলের সাধারন বিবেকবুদ্ধি থাকতো তাহলে তা আর এতদুর গড়াতো না।আর হলো দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ কিন্তু প্রাণ গেল নলখাগড়ার মতো নিরীহ একজনের।আর এখন দুইদিন হয়ে গেলেও কোন পক্ষই দায় নিচ্ছে না, অথবা এই হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ অথবা মানব বন্ধন করছে না।কারণ, সে না ব্যাবসায়ী ছিল আর না সে ছিল শিক্ষার্থী..। সে ছিল আপনার আমার মত নিতান্তই সাধারণ একজন খেটে খাওয়া মানুষ। সেজন্য এবার আর কোন পক্ষই আমাদের দলের মানুষ অপর পক্ষ হত্যা করেছে এটা নিয়ে বিশাল আন্দোলন করছে না। কারণ এতো কোন পক্ষেরই লাভ নেই, তারা তো আর প্রচার পাবে না, না টিভিতে না সংবাদপত্রে। আর না পারবে ক্ষতিপুরণ আদায়ের নামে আন্দোলনের পর সেখান থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে। আর এখন চলছে তৃতীয় পক্ষকে দোষারোপ বরাবরের মতো। আরে ভাই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী মহা ধুমধামে পালন করতে পারি, কিন্তু এখনও সভ্য হতে পারলাম না তাহলে আর কতদিন লাগবে আমাদের মানুষ হতে? সাত কোটি সন্তান আজ সতেরো নয় আটারো কোটি হয়ে গেল তবু সেই অসভ্যই রয়ে গেল, এখনও মানুষ হলো না, এর চেয়ে বড় আক্ষেপ আর কি হতে পারে? এভাবে যে কোন বিষয়েই যদি দায় এড়াতে ও দলাদলী করতে থাকি, তাহলে আর বেশী দিন দেরী করতে হবে না, যখন নিজের পরিবারের জানাজাতে শুধু নিজেরাই থাকবো, আর অন্যের প্রিয়জন মারা গেলেও তাকে সান্তনা দেবার মত লোকও পাওয়া যাবেনা। এবং ভয়ঙ্কর দিন যেন আল্লাহ তা আলা না দেখায় আমাদের। সেজন্য দলাদলী বাদ দিয়ে আমরা যেন প্রকৃত মানবিক হতে পরি সে বিষয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে জ্ঞান দান করুন…।




অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



