নিযামী গ্রেপ্তারের খুশীতে রাজাকার বাদে সবাইকে বনফুলের মিষ্টির শুভেচ্ছা।
"সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ।" - এরকম সংলাপ আর চলে না এদেশে। আমরা আর কিছুতেই আশ্চর্য হই না। আশ্চর্য হতে ইচ্চে করে খুব, তবুও কোন সুশীল স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী জিভ চালিয়ে যান, আমরা কেমন নির্লিপ্ত হয়ে থাকি, কারো ধান্দাবাজি, বুদ্ধিবাজী, টুপাইস ফর্মূলার তৈলিক ব্যবহারে আমাদের এখন আর কোন ভাব জাগে না; না কোন মুগ্ধতা, না কোন চেতনা, না কোন আশা, না কোন তীব্র ঘৃণা।
ব্লগে সারওয়ার চৌধুরী খুব নির্বিরোধী মানুষ। তিনি দর্শনালোচনা করেন। দুর্জনেরা বলেন, তার এই নিকের বাইরেও একাধিক নিক আছে, যাতে তিনি আকাম-কুকাম করে থাকেন। সারওয়ার চৌধুরী প্রতিবাদ করেন, তিনি ধার্মিক মানুষ। খুব চেপে ধরায় স্বীকার করেন, একসময় থেরাপিস্ট নিকে তিনিই ব্লগিং(?) করতেন, এখন ভাল হয়ে গেছেন, মহাজাগতিক, বীর এসব নিকের মালিক তিনি না। আমরা ম্যাংগো পিপল এতে আর সেলুকাসকে ডাকি না।
ব্লগ নীতিমালা ভঙ্গ করে ফারজানা মাহবুবা ব্যান হন। সাথীকে হারিয়ে অভিমান ভরে ব্লগ ত্যাগের হুমকি দেন সন্ধ্যাবাতি, উম্মু আব্দুল্লাহরা। গঙ্গার স্রোত অন্তত ফারাক্কা পর্যন্ত অনেক দিন ধরে বয়ে যায়। সারওয়ার চৌধুরী মনে বড় ব্যথা অনুভব করেন, সব শূন্য শূন্য লাগে। আহা! অমি পিয়াল!
"একটি মেয়ে বেশ হেসে-খেলে ব্লগে ঘুরে বেড়াতেন। চমৎকার বাক্য বুনে বুনে ব্লগ লিখতেন। আপনি একটা কমেন্ট করে তাকে এতোটাই আহত করলেন, তিনি আর ব্লগে আর আসতে চাইছেন না!"
সারওয়ার চৌধুরী কবি মানুষ, দার্শনিক মানুষ। তার পোস্টের ছন্দে ছন্দে দর্শন বেয়ে বেয়ে পড়ে। একসময় ফারজানা১৬ নিকে লেখা ফারজানা মাহবুবাকে দার্শনিক কল্পনা দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন তিনি। রাজাকারের মুখপাত্র ফারজানা মাহবুবা হয়ে যায় সারওয়ারের ভাষায় আওয়ামী লীগ করা অমি পিয়ালের (যদিও পিয়াল কখনো ব্লগে বলেন নি তিনি কোন রাজনৈতিক দল করেন) ছোট বোন!
"ফারজানা মাহবুবা আপনার আমার ছোট বোনের মতো"।
আহ! বেশ চমৎকারই তো চলছিল। এত সুখ দুর্জনের সহ্য হয় না। এক সময়কার সারওয়ার চৌধুরীর প্রিয় চরিত্র নীলপরিরূপী মৎস্যকন্যা এসে সব ভেস্তে দেয়। নারী ব্লগারদেরকে ছোট বোন ছোট বোন করা সারওয়ার চৌধুরীর ভালোমানুষীর অন্তরালে থাকা নারীলোলুপ জিহবাটার নমুনা প্রকাশ পেয়ে যায়। ভন্ডামি প্রকাশিত হওয়ায় সারওয়ার চৌধুরী তার এত ভালোবাসার পোস্টটি মুছে ফেলেন! আহ! কত কষ্ট!
সেই যে সেলুকাসের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, এবার শুরু হয় সেই সেলুকাস বিধ্বংসী নায়কদের খেল। হাতুরে হুজুরেরা নারী ধর্ষিত হলে ফতোয়া দান করেন, দোষ নারীরই হবে, সে নিশ্চয়ই ধর্ষণে প্রলুব্ধ করেছিল। ব্লগ জিহবাজীবী সমিতির সুশীল নেতা মিরাজ একই বক্তব্য প্রদান করে ব্লগ সমাজকে চমকে দিতে চান। আহা! আমরা কি আর চমকাই বাছা? আমাদের সেলুকাসকে ডাকার প্রয়োজন সেই কবেই মরে গেছে!
মিরাজ তো এমনটাই বলবেন। সারওয়ার চৌধুরীরা তো এমনই পোস্টাবেন। তারা সুশীল মানুষ। সন্ধ্যাবাতি, ফারজানা, উম্মু আব্দুল্লাহরা ধর্মপ্রাণ নারী ব্লগার, তারা চলে গেলে ব্লগ খালি খালি লাগে। আপনি মৎস্যকন্যা নিশ্চয়ই বাজে স্বভাবের নারী হবেন। আপনি পর্দা করেন না, শুধুই সারোয়ার চৌধুরীর মত সুবোধ ব্লগারকে উষ্কিয়ে খারাপ কথা বের করেন!
সারোয়ার চৌধুরী এই যে বললেন, "ধুর, শিশ্ন এইটা না থাকলে তো ঘুমানোতে ডিস্টার্ব করতো না দাঁড়িয়ে থেকে। মাঝে-মধ্যে থাপ্পর মারি, বলি ঘুমা ঘুমা কোন নীলপরী এসে তোমাকে উষ্ণতা দেবে না।", এর জন্য আপনিই দায়ী মৎস্যকন্যা, আপনিই তাকে প্রলুব্ধ করেছেন!
নাহ! সুশীলদেরকে দেখে, তাদের জিহবার নড়াচড়া কিংবা কীবোর্ডের চাপাচাপিতে আমরা আর আশ্চর্য হই না। তারা এমনই, তাদেরকে এমনই হতে হয়!