somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামহোয়্যারইন ব্লগে কেন আমরা সেলুকাসকে পুছি না :D

১৯ শে মে, ২০০৮ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিযামী গ্রেপ্তারের খুশীতে রাজাকার বাদে সবাইকে বনফুলের মিষ্টির শুভেচ্ছা।

"সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ।" - এরকম সংলাপ আর চলে না এদেশে। আমরা আর কিছুতেই আশ্চর্য হই না। আশ্চর্য হতে ইচ্চে করে খুব, তবুও কোন সুশীল স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী জিভ চালিয়ে যান, আমরা কেমন নির্লিপ্ত হয়ে থাকি, কারো ধান্দাবাজি, বুদ্ধিবাজী, টুপাইস ফর্মূলার তৈলিক ব্যবহারে আমাদের এখন আর কোন ভাব জাগে না; না কোন মুগ্ধতা, না কোন চেতনা, না কোন আশা, না কোন তীব্র ঘৃণা।

ব্লগে সারওয়ার চৌধুরী খুব নির্বিরোধী মানুষ। তিনি দর্শনালোচনা করেন। দুর্জনেরা বলেন, তার এই নিকের বাইরেও একাধিক নিক আছে, যাতে তিনি আকাম-কুকাম করে থাকেন। সারওয়ার চৌধুরী প্রতিবাদ করেন, তিনি ধার্মিক মানুষ। খুব চেপে ধরায় স্বীকার করেন, একসময় থেরাপিস্ট নিকে তিনিই ব্লগিং(?) করতেন, এখন ভাল হয়ে গেছেন, মহাজাগতিক, বীর এসব নিকের মালিক তিনি না। আমরা ম্যাংগো পিপল এতে আর সেলুকাসকে ডাকি না।

ব্লগ নীতিমালা ভঙ্গ করে ফারজানা মাহবুবা ব্যান হন। সাথীকে হারিয়ে অভিমান ভরে ব্লগ ত্যাগের হুমকি দেন সন্ধ্যাবাতি, উম্মু আব্দুল্লাহরা। গঙ্গার স্রোত অন্তত ফারাক্কা পর্যন্ত অনেক দিন ধরে বয়ে যায়। সারওয়ার চৌধুরী মনে বড় ব্যথা অনুভব করেন, সব শূন্য শূন্য লাগে। আহা! অমি পিয়াল!

"একটি মেয়ে বেশ হেসে-খেলে ব্লগে ঘুরে বেড়াতেন। চমৎকার বাক্য বুনে বুনে ব্লগ লিখতেন। আপনি একটা কমেন্ট করে তাকে এতোটাই আহত করলেন, তিনি আর ব্লগে আর আসতে চাইছেন না!"

সারওয়ার চৌধুরী কবি মানুষ, দার্শনিক মানুষ। তার পোস্টের ছন্দে ছন্দে দর্শন বেয়ে বেয়ে পড়ে। একসময় ফারজানা১৬ নিকে লেখা ফারজানা মাহবুবাকে দার্শনিক কল্পনা দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন তিনি। রাজাকারের মুখপাত্র ফারজানা মাহবুবা হয়ে যায় সারওয়ারের ভাষায় আওয়ামী লীগ করা অমি পিয়ালের (যদিও পিয়াল কখনো ব্লগে বলেন নি তিনি কোন রাজনৈতিক দল করেন) ছোট বোন!

"ফারজানা মাহবুবা আপনার আমার ছোট বোনের মতো"।

আহ! বেশ চমৎকারই তো চলছিল। এত সুখ দুর্জনের সহ্য হয় না। এক সময়কার সারওয়ার চৌধুরীর প্রিয় চরিত্র নীলপরিরূপী মৎস্যকন্যা এসে সব ভেস্তে দেয়। নারী ব্লগারদেরকে ছোট বোন ছোট বোন করা সারওয়ার চৌধুরীর ভালোমানুষীর অন্তরালে থাকা নারীলোলুপ জিহবাটার নমুনা প্রকাশ পেয়ে যায়। ভন্ডামি প্রকাশিত হওয়ায় সারওয়ার চৌধুরী তার এত ভালোবাসার পোস্টটি মুছে ফেলেন! আহ! কত কষ্ট!

সেই যে সেলুকাসের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, এবার শুরু হয় সেই সেলুকাস বিধ্বংসী নায়কদের খেল। হাতুরে হুজুরেরা নারী ধর্ষিত হলে ফতোয়া দান করেন, দোষ নারীরই হবে, সে নিশ্চয়ই ধর্ষণে প্রলুব্ধ করেছিল। ব্লগ জিহবাজীবী সমিতির সুশীল নেতা মিরাজ একই বক্তব্য প্রদান করে ব্লগ সমাজকে চমকে দিতে চান। আহা! আমরা কি আর চমকাই বাছা? আমাদের সেলুকাসকে ডাকার প্রয়োজন সেই কবেই মরে গেছে!

মিরাজ তো এমনটাই বলবেন। সারওয়ার চৌধুরীরা তো এমনই পোস্টাবেন। তারা সুশীল মানুষ। সন্ধ্যাবাতি, ফারজানা, উম্মু আব্দুল্লাহরা ধর্মপ্রাণ নারী ব্লগার, তারা চলে গেলে ব্লগ খালি খালি লাগে। আপনি মৎস্যকন্যা নিশ্চয়ই বাজে স্বভাবের নারী হবেন। আপনি পর্দা করেন না, শুধুই সারোয়ার চৌধুরীর মত সুবোধ ব্লগারকে উষ্কিয়ে খারাপ কথা বের করেন!

সারোয়ার চৌধুরী এই যে বললেন, "ধুর, শিশ্ন এইটা না থাকলে তো ঘুমানোতে ডিস্টার্ব করতো না দাঁড়িয়ে থেকে। মাঝে-মধ্যে থাপ্পর মারি, বলি ঘুমা ঘুমা কোন নীলপরী এসে তোমাকে উষ্ণতা দেবে না।", এর জন্য আপনিই দায়ী মৎস্যকন্যা, আপনিই তাকে প্রলুব্ধ করেছেন!

নাহ! সুশীলদেরকে দেখে, তাদের জিহবার নড়াচড়া কিংবা কীবোর্ডের চাপাচাপিতে আমরা আর আশ্চর্য হই না। তারা এমনই, তাদেরকে এমনই হতে হয়!
১৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×