আমার একটা খাসী আছে, খাসীটার দুইটা শিং, দাঁড়ি আছে তাতে শখ কইরা মেহেদী মাখাইয়া রাংগা করা হয়।
খাসীটা খাসি হইলেও তার স্বভাব অতি বিনম্র। কিঞ্চিত আলুর্দোষ আছে। যার কিছু নাই তার মুখ আছে জিহবা আছে, খাসী সেইটাই ব্যবহার করিত। জিহবা ব্যবহার করিতে গিয়া এক কৃষকের ধানী জমিতে মুখ দিছে। কৃষক তাকে ধরে খোঁয়াড়ে পুরিয়াছে।
খোঁয়াড়ে তার খুব কষ্ট হচ্ছে। ব্যবহার করিতে না পারিয়া জিহবায় মরিচা পড়িয়া যাইতেছে। খোঁয়াড় কতৃপক্ষ বলিয়াছে খাসিটি মুক্ত করিতে দেড় কোটি ছাগাক্ষর (ছাগলের স্বাক্ষর) লাগিবে।
ইহা শুনিয়া আমার মাথায় আকাশ ভাঙিয়া পড়িবার উপক্রম হইয়াছিল। সম্প্রতি নিযামি কাকুর জন্য দেড় কোটি ছাগাক্ষর সংগ্রহের কথা শুনিয়া জানে পানি পাইআছি। আমার খাসীটি খাসি হইলেও তাহাদের সগোত্রীয়, তাহারা তাহাদিগের গোত্রীয় খাসীভ্রাতঃটির মুক্তির জন্যও নিশ্চয়ই ছাগাক্ষর দিতে ঝাপাইয়া পড়িবে।
কয়দিন সমানে রাজাকারগো গালি দিয়া আপাতত কমেন্ট ব্যান অবস্থায় আছি। কারো মন্তব্যের উত্তর দিতে পারমু না।