রানা প্লাজার গ্রাউন্ড ফ্লোরে নামাজ পড়ার জন্য একটি স্হান ছিল। গ্রাউন্ড ফ্লোরটি মূলত গাড়ী পাকিং এর জন্য নিধারিত ছিল। পাকিং এর সামনের দিকে নামাজের স্হানটি ছিল। অথাr ঠিক ব্র্যাক ব্যাংকের নিচে ছিল নামাজের জায়গাটি।
সাভার বাজারে থাকা অবস্হায় যখন নামাজের সময় হত, তখন রাস্তার পাশে থাকায় এখানে প্রায়ই নামাজ পড়তাম। ঢুকার সময় ভয় লাগত।কারন গ্রাউন্ড ফ্লোরটি অনেক নিচু ছিল ।ভেতরে অনেক গরম, বাতাসের অভাব- নিশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে আসতো। নামাজ শেষে যখন বেড় হয়ে আসতাম, তখন মনেহতে- আহ বাচলাম ! তারপরও যেতাম বাস কাউন্টার থেকে কাছে ছিল বিধায়।
লোকদের মুখে শুনতে পেলাম- নামাজ স্হানটি যেখানে ছিল, সেই স্হানটি অক্ষত। অথাr উপর থেকে ব্র্যাক ব্যাংক পযন্ত ধসে পড়েছে। তারপর থেকে অক্ষত। বিষয়টি আশ্চাযজনক।
এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় বেশ প্রকাশ হয়ে পড়েছে- তাহল আমাদের দূঘটনা মোকাবিলায় অনেক অভাব রয়েছে। অনেক অভাগ লাগছে- একটি ভবনের উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে আমরা সেনা বাহিনী, ফায়ার সাভিস, জনগন, সরকার হিমশিম গিয়ে যাচ্ছি। নেই পযাপ্ত পরিমান অ•জেন, লাইট, মই, হাতুড়ি, শাবাল, আধুনিক মেশিনারিজ – যা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। সাথে কোন মেডিকেল টিম নেই। সাথে সাথে ফিতা দিয়ে স্পটকে কডন করা হয়নি। নেই কোন সমন্বিত প্রচেষ্টা। সবাই কেমন আনাড়ির মত যে যার মতো কাজ করছে। অনেককেই অসহায়ের মতে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি। অথচ তার পায়ের নিচ থেকে ক্ষিণ কন্ঠে বলছে- ভাই বাচান, ভাই বাচান। সেনা বাহিনী, ফায়ার সাভিস কাউকেই প্রফেশনাল মনে হয়নি। খুবই স্লোল গতিতে কাজ করেছে। আমার মনে হয়েছে- প্রশিক্ষণ এবং অভিগ্তারও অভাব রয়েছে সকলের।
বিষয়গুলো কাটিয়ে উঠাটা অনেক দরকার। বিশেষ করে সরকারের এ দিকে যথেষ্ট পরিমান নজর দেয়া দরকার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


